(পূর্বের পোষ্টের পর - Click This Link)
সেতুকে আমরা অনেক বোঝালাম, বাংলাদেশে আইনের প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ বরং ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র ছাত্রী তোমার সাথে আছে। কিন্তু তার এক কথা তার কারনে কোন ছাত্র আন্দোলন হোক, বা সেশন জট হোক তা তার কাম্য নয়। আইনের দ্বারস্থ হলে একজনের (সেতুর) সময় নষ্ট হবে কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। তাই সে প্রথমে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে এবং পাশাপাশি সুশীল সমাজকে বিষয়টি জানাতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ও আয়োজন করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই কুচক্রি মহল এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং জুলাইতেস তাকে সাময়ীক বহিস্কার করলেও আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সে আগুনে পানি ঢালে স্বয়ং সেতু, স্থায়ী ভাবে বহিস্কারের পরদিন শিক্ষক সমিতি তাদের আন্দোলনের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে এবং ছাত্রদর ক্লাসে যেতে আহবান করে, কিন্তু ছাত্ররা আপত্তি জানায়। ঐ সময় সেতু নিজে এসে ছাত্রদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে যায় এবং সে জজ আদালতের মামলা প্রত্যাহার করে হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করে।
শুরু হয় সেতুর জীবনের নতুন অভিজ্ঞতার, ব্যারিস্টার আর উকিলদের পিছনে ছোটাছুটি, সেই কুচক্রি মহর এখানেও থেমে থাকেনা, সেতুর বিপক্ষে হাইকোর্টের একজন টাকালোভি ব্যারিষ্টারকে নিয়োগ করে তারা।
মামলাটির তদবির খুব জোরে শোরে এগিয়ে নেয় সেতু, কিন্তু তার দূর্ভাগ্য যখন ই মামলাটি শেষের দিকে যায় তখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেতুর সাঁজার মেয়াদ কমিয়ে আনে, প্রথমে আজীবন থেকে ৩ বছরের জন্য, সেখান থেকে ১ বছরের জন্য এবং সর্ব শেষ ৬ মাসের জন্য বহিস্কার করে সেতুকে। কিন্তু বাংলাদেশের আইনানুযায়ী যে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রীট মামলা দায়ের করা হয় সে সিদ্ধান্ত বহাল না থাকলে বা পরিবর্তন হলে রীট মামলাটি আপনা আপনি খারিজ হয়ে যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতবার সেতুর সাজার মেয়াদ কমিয়েছে ততবার সেতুকে নতুন করে রীট মামলা করেতে হয়েছে। পাশাপাশি বিম্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেতুর বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালতেও মামলা দায়ের করে।