(পূর্বের পোষ্টের পর -http://www.somewhereinblog.net/blog/oparajita/28829912)
তাহমিনা আপুর কাছে সংবাদটি পেয়ে মোবাইলে কল করলাম সেতুকে, ও মোবাইল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই আমি কেঁদে ফেললাম, ও আমাকে সান্তনা দিলো, বললো কোন চিন্তা করোনা, আমি কোন অন্যায় করিনি, কিছু হবে না, এখন হলে একটা মিটিং এ আছি মিটিং শেষ করে কল করছি।
মিটিং শেষ করে কল করে বললো, তোমরা কোন চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে। আগামীকাল সকাল ১০ টায় শহীদ মিনারে ছাত্র-ছাত্রীদের মিটিং ডাকা হয়েছে, সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে কি কর্মসূচী আসবে, তবে আমি কোন আন্দোলনের পক্ষে নই, আমি চাইনা আমার কারনে কোন রকম সেশন জট তৈরী হোক।
পরদিন ঠিক দশটায় আমাদের শিক্ষকেরা কৌশলে আমাদের ক্লাসে আটকে রাখলো যেন কেউ মিটিং এ যেতে না পারে। তারপরও সকল ছাত্র-ছাত্রী শহীদ মিনারে এলো (মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া)। সিদ্ধান্ত হলো ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করবে পরদিন থেকে, এটা জানতে পেরে সেই সুবিধাবাদী মহল শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ঐ দিন থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচী ঘোষনা করলো এবং সেতু সহ সকল দোষী ছাত্রদের বিচার দাবী করে। কিন্তু তখন ও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে নি আসলে ভাংচুর এর ঘটনাটা ছাত্ররা ঘটিয়েছিল না কি পুরোটাই ছিল নাটক।
ছাত্ররা পাল্টা কর্মসূচী দিতে চাইলে বাঁধা হয়ে দাড়ালো স্বয়ং সেতু। সে তখন আইনের পথে এই অবিচারের প্রতিকার করার জন্য আইনের দ্বারস্থ হতে সিদ্ধান্ত নিলো।
চলবেঃ