(পূর্ববর্তী পোষ্টের পরে Click This Link)
শেষ মেষ উঠে পড়লাম তাহমিনা আপুর সিটে। হলে থাকি, মাঝে মধ্যে দেখা হয়, কথা হয় বন্ধুটির সাথে। মাসখানেক পরে সেতু আমাকে নিয়ে গেল হলের প্রোভোস্টের কাছে, পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমার আবাসন সংকট সম্পর্কে বিস্তারিত বললো এবং স্যার কথা দিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে আমার সিটের ব্যবস্থা করবে এবং হলোও তাই।
সত্যি বলতে কি প্রথম বর্ষের ছাত্রী হিসাবে ৪র্থ বর্ষের ছাত্রের সাথে বন্ধুত্ব প্রথমদিকে কেউ ই সহজভাবে নেই নি। সেতু ছাত্র হিসাবেও ছিল তুখোড়। রেজাল্ট যে অবস্থায় ছিল তাতে আমরা সবাই নিশ্চিত ছিলাম ও টিচার হবে।
ধীরে ধীরে সেতুর সঙ্গে আমার হৃদ্যতা বেড়েই চললো, প্রথম বর্ষে Raging এর শিকার হইনি শুধু সেতুর বন্ধুত্বের কারনে। কিছুদিনের মধ্যে এমন একটা অবস্থা হলো যে সেতুর জীবনের সব কথা আমাকে জানাতো। একদিন ও বললো সম্ভবত ওর জীবনে একটা ঝড় উঠতে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতে জানালো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সে হয়রানীর শিকার হতে পারে, অবাক হয়ে বললাম তা কি করে হয় সবাই তোমাকে এত ভালোবাসে................. ও বললো, এই ভালোবাসা ওর জন্য কাল হয়ে দাড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত, এবং তারা ষড়যন্ত্রের নীল নক্সা আকছে।
২০০৪ সালের জুলাই মাসের এক সন্ধ্যায় হলে বসে পরদিনের ক্লাসগুলির জন্য নিজেকে তৈরী করছি। এমন সময় তাহমিনা আপু কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এলেন হলে এসে বললেন সর্বনাশ হয়ে গেছে, জরুরী সিন্ডিকেট ডেকে সেতুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ঐদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাংচুর এর ঘটনা ঘটেছিল এবং সে সময় সেতু আমার সঙ্গে বসে গল্প করছিল। জিজ্ঞাসা করতে তাহমিনা আপু জানালো ঐ ভাংচুরের ঘটনায় সেতুকে জড়ানো হয়েছে। সেতুদের ব্যাচের তখন মাত্র থিসিসের ডিফেন্স বাকী ছিল।
চলবেঃ