ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ৩৫০ জন মহিলার কুমারীত্ব ও গর্ভাবস্থা পরীক্ষার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৭ জুন ভারতের মধ্যপ্রদেশে উপজাতি অধ্যুষিত বেতুল জেলার হারাদ গ্রামে প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক আয়োজিত এক গণবিয়ে চলাকালীন সময় এই পরীক্ষা চালানো হয়। এতে করে বিব্রত ও হয়রানির শিকার হন অনেক তরুণী।
তবে সেখানকার জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেটদের এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আদেশ দিয়েছেন। কুমারীত্ব পরীক্ষার শিকার মহিলাদের ৯০ জনই স্থানীয় উপজাতি।
বেতুল জেলা কর্মকর্তা রাজেশ প্রসাদ মিশ্র বলেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানের ওই ঘটনা খতিয়ে দেখতে আমি নির্দেশ দিয়েছি যা ‘মুখমন্ত্রী কন্যাদান’ প্রকল্পের আওতায় ছিল।
রাজেশ প্রসাদ মিশ্র আরও জানান, তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেহা মারভায়া সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সূত্র জানিয়েছে, সরকারি কর্তৃপক্ষই এই পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন।
এরমধ্যে, রাজ্যে বিরোধীদলীয় নেতা অজয় সিং বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে এ ঘটনার জন্য উপাজাতি এবং নারীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” এছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদেরও কঠোর বিচার দাবি করেন অজয়।
প্রায় ২০০ উপজাতিয় জোড়ি হারাদ গ্রামে গণবিয়ের অনুষ্ঠানে জড় হলে দুই সরকারি কর্মকর্তা তরুণীদের প্রত্যেককে একটি রুমে নিয়ে সতীত্ব ও গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় বেশ কয়েকজনকে গর্ভবতী হিসেবে সনাক্ত করার পর তাদেরকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে উপজাতীয়দের মধ্যে বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়া দোষের কিছু নয়। স্থানীয় তরুণ জুটিরা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র যায়। অতঃপর মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তারা আনুষ্ঠানিভাবে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের এই প্রক্রিয়াকে নেতিবাচক হিসেবে দেখে না উপজাতীয়রা।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
(ভাই বলে সবাইকে ডাকছি.। এটাকে সাম্প্রদায়িকভাবে দেখবেন না। এটাকে একটা নিউজ হিসেবেই দেখুন, এমন ঘটনা সব দেশে সব গোত্রেই অনেকসময় ঘটে থাকে।)