ইনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ?
ইনি বাংলাদেশকে বিদেশে প্রতিনিধিত্ব করেন !!!
কষ্ট করে হলেও তার আরবী-বাংলিশ মিক্সার জগাখিচুড়ী শুনুন।।
( কৃতজ্ঞতা: আশীফ এন্তাজ রবি ও আরিফ জেবতিক )
ওমানের মাস্কাটে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন আওয়ামী লীগের তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য চট্টগ্রামের নুরুল আলম। তার বিরুদ্ধে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি ২০১০ সালের ২২ মে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন। ওমানের সুলতানের কাছে পরিচয়পত্র পেশের আগে দেখা করেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসূফ বিন আব্দুল্লাহর সঙ্গে। সাক্ষাৎকালে তিনি ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাঁধে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মতো হাত তুলে দেন। এতে বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর রাষ্ট্রদূত নুরুল আলমের সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ওমান সরকার। মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ রাখছে না, যে কোনো প্রয়োজনে সরাসরি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওমান। । সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেন। রাষ্ট্রদূত নূরুল আলম চিঠিটি হস্তান্তর করতে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বারবার সময় চেয়েও পাননি। ওমানের কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদরে আমন্ত্রিত হন না। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী নূরুল আলম চৌধুরী মাস্কাটে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এটিকে একটি আড্ডাস্থলে পরিণত করেছেন। ওমানে কর্মরত বাংলাদেশীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। আরো বেশি সংখ্যক শ্রমিক রফতানির সুযোগ আছে ওমানে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দরকার জোর কূটনৈতিক তত্পরতা। কিন্তু শিষ্টাচার বহির্ভূত অকূটনৈতিক আচরণের জন্য ওমানের সঙ্গে সম্পর্ক দিনে দিনে শীতল হচ্ছে।
এ ধরনের রাষ্ট্রদূত কিভাবে দেশকে উপস্থাপন করবে ??
আর অন্য দেশের মানুষরাই বা কি ভাববে বাংলাদেশ নিয়ে ???
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৩