দুর্দান্ত একটা এশিয়া কাপ শেষ করলো বাংলাদেশ। বিশ্ববাসী নতুন করে চিনলো নতুন এক পরাশক্তিকে। তবে বিশ্ববাসী হয়তো এটাও জানেন যে এই পরাশক্তির মূল শক্তিই হলো সাকিব এবং তামিম। পুরো টুর্নামেন্টে সাকিব এবং তামিমের পার্ফমেন্স ছিলো অতিমানবীয়, কিছুটা দানবীয়ও বলা যায়। সাকিব-তামিম ভালো খেললে দল ভালো ফলাফল পায় এটা আমরা বিশ্বকাপের আগেও দেখেছি। আর বিশ্বকাপে দেখেছি, সাকিব-তামিম খারাপ খেললে কি হয়!
পুরো এশিয়া কাপে সাকিব-তামিম আর নাসিরের পার্ফমেন্স ছিলো সত্যিই দেখার মতো। দলে এরকম ধারাবাহিক ৩-৪ টা খেলোয়ার থাকলে আর কি ই বা লাগে। তবে এটা মনে রাখতে হবে সাকিব-তামিম-নাসির সবসময়ই ভালো খেলবে না!
যাই হোক, আমার এই পোষ্ট মূলত টাইটেলের সাথেই সংগতিপূর্ন। আমি ভালো করেই জানি যে আশরাফুলকে দেখতে না পারার মতো ব্লগারের অভাব নেই, হয়তো এই পোষ্টের জন্য অনেকের গালিও শুনতে হতে পারে :-) কেউ কেউ আবার বলতে পারেন "আর কতো????"
আমি বলবো, আশরাফুলকে সুযোগ দেয়ার মতো করে আর একটা সুযোগ দেয়া হোক, এবং সেটা ওপেনিং এ। আশরাফুল বিপিএল এ ওপেনিং এ নেমে খারাপ খেলেনি। তাছাড়া ওপেনিং এ দুইদিন নাজিমউদ্দিন, দুইদিন ইমরুল কায়েস, আবারো নাজিমউদ্দিন, আবারো ইমরুল কায়েসকে সুযোগ না দিয়ে আশরাফুলকে টানা দশ ম্যাচের জন্য সুযোগ দেয়া যেতে পারে....
প্রধান নির্বাচক আকরাম খান পদত্যাগ করে অনেক কিছুই বলে ফেলেছেন। প্রধান নির্বাচকও কিন্তু চান আশরাফুলকে সুযোগ দিতে। অনেকেই মাশরাফিকে নিয়ে অনেক কিছুই বলেছিলো, আর ফিরতে পারবে না, ফর্ম পাবে না...... তামিমকে নিয়েও অনেকে বলেছে...... কিন্তু ভালোভাবে সুযোগ দেয়াতে তামিমও কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছে.... এই তামিমই কিন্তু বিপিএল এ দুই-তিন ম্যাচে রান পায়নি... কেনো পায়নি? কারন তামিমকে প্রেসারে রাখা হয়েছিলো, আর ওকে তেমন সুযোগও দেয়া হয়নি....
আমার কথা হলো সুযোগ দিলে নির্ভার হয়ে টানা কয়েক ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয়া উচিত......
দল গঠন করার দায়িত্ব নির্বাচকদের, আমরা আমজনতা বলে হয়তো কোনো লাভ হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৫৯