গত ৫ মে শাপলাচত্বরে যারা তান্ডব নাটক তৈরি করেছে তারা একাত্তরের দোসর। নিরস্ত্র-নিরহ মানুষকে হত্যার সমস্ত আয়োজন করে তাদেরকেই দোষারূপ করা হয়। কিছু সংখ্যক মিডিয়া ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের যৌথ প্রযোজনায় এই নাটক সাজানো হয়েছে। ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করেছিল ২৫ মার্চের কালো রাতে ১৯৭১ সালে। সেই একই কায়দায় সরকার নিজ জাতিগোষ্ঠীর উপর একই বর্বরতা প্রদর্শন করলো।
তারা নগরিতে এতো গাছ নিধন করলো কেবল মাত্র তান্ডব সাজানোর জন্য, মূলত তারা নিজেরাই এই নিধন যজ্ঞে হাত লাগিয়েছে একটি গণহত্যাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার মানসে। তারা বইপত্র-দোকানপাঠে আগুন ধরিয়েছে কেবল মাত্র মানুষের আইওয়াস করে বোঝা, এই দেখো এদের আসল রূপ। মানুষ যদি সহিংস হয় তাহলে হঠাৎ করে হতে পারে না। এর জন্য দীর্ঘদিনের অভ্যাস্ততা লাগে। কেউ কোনো দিন বলতে পারবে না এইসব মাদ্রাসার ছাত্ররা কোনোদিন কোনো ন্যাক্কারজনক কাজে অংশ নিয়েছে।
বড় বেদনার কথা স্বৈরাচারী সরকারের আচরণ যেমনই হোক সংবাদ মাধ্যম সবসময়ই একটি মধ্যপন্থায় হলেও সত্য প্রকাশে তারা সচেষ্ট থাকে। কিন্তু সাংবাদিক নিজে যখন দলকানা হয়ে যান তখন সবকিছু অন্ধ হলেও প্রলয় বন্ধ হয় না। মানুষ সকল চক্রান্তকে অবিশ্বাসের চোখে দেখছে এটাই এখন তাদের মর্মপীড়ার কারণ।
আরো হাস্যকর একটি প্রেসি ব্রিফিং-এ রাতের আধারে সরকারের পেটোয়া বাহিনী বলেছে, এতো লোক মারা গেছে যারা বলছেন তাদের আত্মীয়স্বজন কোনো খবর নিচ্ছে না কেন? যাদের কোনো আত্মীয়স্বজন নেই, যাদের সকল অভিভাবক আল্লামা শফি, যাদের এতিম জীবনকে তিনি অভিভাবকত্ব নিয়ে ভরে তুলেছিলেন তাদের আর কে আত্মীয়স্বজন থাকবে যে যারা এসে খোজখবর নেবে? তার কি মনে একবারও প্রশ্ন জাগে না, যেসব লাশ মর্গে পড়ে আছে তাদের কোনো খুজ খবর নেবার মতো কোনো আত্মীয়স্বজন নেই একমাত্র শফি সাহেব ছাড়া? তারা শব্দ ও ভাষা দিয়ে তাদের মিথ্যাচারকে ঢাকার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবেই এই অন্যায় আর অত্যাচার শতমিথ্যাচারিতা দিয়েও ঢাকাতে পারবেন না। দলকানা সংবাদমাধ্যম ভাবছে সাধারণ মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করেন। আসলে এই সত্যটিকে বুঝতে তাদের হয়তো আরো কিছু সময় ব্যয় করতে হবে।
সব শেষে বলতে চাই : মজদুরের কান্না ব্যথা যাবে না।