ঠিক যেন হয়ে উঠছে না। দগদগে ঘা থেকে ছিটকে পরা রক্ত কণায় উর্বর হয়ে উঠছে না শশ্য ভূমি, আরো রক্ত চাই । দেবাস্রে খুন হয়ে যাওয়া টাটকা রক্ত। দেবশিশু দের অগ্নিবানে ছিন্ন হয়ে যাওয়া লাশগুলো যেন কিছুতেই মন ভরাতে পারছেনা প্রভুদের। এবার তবে দেবদূত নেমন্তন্ন না করলেই নয়। প্রভুদের রঙ্গালয় থেকে তবে নিয়ে আসা হোক অপ্সরা। তাতে যদি দু’বেলার অন্ন যায় যাক না। তবু যদি দেবদূত কে কোন ভাবে খুশি করা যায় । কারন তিনিই তো আমাদের গল্প শোনাবেন আশু ভবিষ্যতের। আর পৌঁছে দেবেন আমাদের প্রার্থনা প্রভূর দারে। ততক্ষনে প্রভুর রক্ত হলিতে যদি আরো কিছু তুচ্ছ প্রান যায় তাতে কিই বা ক্ষতি? প্রভূর দয়ায় ই তো জন্মেছি আর তার দয়ায় ই তো বাঁচি , তার ভূমিতেই। সেখানে প্রভুর সন্তানেরা যদি কখোনো দেবভূমির সীমায় বসে দেবাস্রের পরিক্ষন চালায় তাতে মন্দ তো কিছু নেই। জয় তোমার প্রভূ। এই দেহ তো তোমার। আর আত্মাও সর্বদা তোমার ধ্যানেই মগ্ন। রাজাও তোমার মন্ত্রি ও তোমার, আমি অধম এর কি বা সাধ্য মুখ ফিরিয়ে থাকি।
তবু মাঝে মাঝে খুব পাপ করতে ইচ্ছা হয়। ইচ্ছা হয় রান্নাঘরের খুন্তি দিয়ে উপরে ফেলি তোমার দেব আসন। ইচ্ছা হয় তোমার গলায় ঝুলন্ত কেউটের সব বিষ তোমার শরির এ ঢেলে দিতে, তোমার দেবাস্রের আঘাতে ছিন্ন হয়ে যাওয়া পাপীদের বুক থেকে ঝরে পরা প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে বিষ মিশিয়ে তোমার মুখে ঢেলে দিতে ইচ্ছা হয়। ছিন্ন হয়ে যাওয়া পাপিদের জামা তোমার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে তোমাকে ঝুলিয়ে দিতে ইচ্ছে হয় সেই কাটাতারে যেখানে তুমি ভেজা জামার মত শুকিয়েছিলে আমার কিশোরি বোনকে। আর তারপর রসই ঘরের বাজারের মত তোমাকে ঝুলিয়ে ঘরে নিয়ে যাবে তোমার রক্ষীরা। সেই দৃশ্য দেখে আমি আবার মেলাবো ইতিহাস।
আমার এই ইচ্ছা জানার পর হয়ত রাজা তার মন্ত্রী এবং পেয়াদা নিয়ে বিলাপ করতে করতে ছুটে আসবে, আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে তোমার দরবারে। তোমার নামে বলি দেয়ার আগে জিজ্ঞেস করা হবে আমার শেষ ইচ্ছা। আর তখন কিন্তু তুমি দেবতা পার পাবে না। কারন শেষ ইচ্ছায় আমি চাইব বিষ। এক সাথে বসে তুমি আমি পান করব তোমার কেউটের ঠোঁট থেকে। তোমার আমার শেষ নিঃশাস এক প্রকান্ড সাইক্লোন হয়ে লন্ডভন্ড করে দিবে দেবালয়। উড়িয়ে নিয়ে যাবে সব দাসত্বের জঞ্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭