প্রথমেই বলে রাখি, কোন প্রকার ব্যক্তিগত আক্রমন, অশালীন মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। প্রাসঙ্গিক আলোচনা কাম্য।
কোন ধর্ম সত্যি কোনটি মিথ্যা সেই তর্কে আমি যাবনা। আসিফ মহিউদ্দিনের একটি পোষ্টে আমার ২টি কমেন্ট তুলে ধরছি--
"যার যা বিশ্বাস তাকে সেটা নিয়েই থাকতে দেওয়া উচিৎ। মানুষের চিন্তাশক্তি অকিঞ্চিতকর নয়। সব ধর্ম এবং সাম্প্রতিক কালের নতুন ধর্ম "নাস্তিকতা" সবার কথা শুনেও কেউ যদি ভুডু ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে চায়, ইসলাম বা খ্রিস্ট বা নাস্তিকতা যে ধর্মেই বিশ্বাস করতে চায় তো সেটা তার ব্যপার, অন্যরা কেন বাকিদের বিশ্বাস কে আঘাত করবেন? যারা জেনে করে তারা জ্ঞানপাপী আর যারা না জেনে করে তারা মূর্খ।"
আসিফ মহিউদ্দিন উত্তরে বলেছিলেন--
ধরেন ভুডু ধর্মের নিয়ম হইতাছে অন্য ধর্মের মানুষরে কাইট্টা খায়া ফেলা। তখন কি তাদের বিশ্বাসে আঘাত করা একজন মানুষ হিসেবে আমার কর্তব্য না?
তেমনি ইসলামের নির্দেশ হইতাছে কাফের হত্যা করা, দেশে ইসলাম কায়েম করা।
মধ্যযুগীয় বর্বর ব্যাবস্থা, শরিয়তী আইন কায়েম করা।
তখন কি সেই বিশ্বাসরে আদর সোহাগ করা উচিত, না লাত্থি মারা উচিত?
আমার ২য় মন্তব্য--
"ইসলাম কখনো বলেনি ধরে ধরে কাফের হত্যা কর। ইসলাম বলেছে দাওয়াত পৌছে দিতে এবং যে যা ধর্ম পালন করছে তাকে শান্তিপূর্নভাবে তা পালন করতে দিতে যদি না সে তোমার কোনরূপ ক্ষতি করে। তবে ইসলাম বলেছে জিহাদ করতে সেইসব লোকদের বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্যে বা পরক্ষভাবে ইসলামের ক্ষতি করছে বা মুসলিমদের ধর্মপালনে বাধা দিচ্ছে। যদি তাদের শান্তিপূর্নভাবে প্রতিহত করা না যায় তবে তাদের অস্ত্র দিয়ে প্রতিহত করতে বলা হয়েছে।
যে পোস্টটির লিঙ্ক দিলেন, আয়াত গুলো পুরোটা পড়ুন এবং তার আগে পুরো কোরআন এবং তার শানে নূযুল পড়ুন।
টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখাত, একজন কর্মচারী তার বস কে ফোন করে বলছে - "স্যার আপনি একটা কুকুর।" পুরো বাক্যটি ছিল, স্যার আপনি একটা কুকুরের বাচ্চা কিনতে চেয়েছিলেন অথবা এই ধরনের কিছু একটা।
কোরআনের আয়াতগুলো মাঝখান থেকে তুলে আনলে তার অর্থ বিকৃত করা সম্ভব।
এবার আসুন শরীয়তের বিধানের কথায়, কোন বিধান টি আপনার কাছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা মনে হয়েছে? দয়াকরে ফতোয়াবাজ দের এবং মুখোশধারী ধার্মিকদের বিধানের কথা বলবেন না।"
ইসলাম এর কোথায় কোথায় আপনাদের সমস্যা বলুন, শুনি।