খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাংসদ। তার আরেকটা পরিচয় হচ্ছে একই দলের নেত্রী শেখ হাসিনার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার ছেলের। তার আরো একটা পরিচয় ব্লগ জীবনের শুরু থেকেই শুনছি। তিনি রাজাকার। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার পর আবারও আলোচিত হচ্ছেন তিনি। বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিভাবে করবে! তাদের দলেই তো যুদ্ধাপরাধী আছে। তাও আবার শেখ হাসিনার বেয়াই।
অভিযোগটা গুরুতর। এইজন্য যে এবার নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ঘোষণা দিয়েই ভোটারদের পক্ষে টেনেছে আওয়ামী লীগ। সরওয়ার্দীতে নিজের কানে শুনেছি ৯২ সালে শেখ হাসিনার সেই ঘোষণা- বুকের রক্ত দিয়ে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ছাড়ব। তাই এই মুহূর্ত এ ধরণের অভিযোগ স্রেফ স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবিরের প্রোপোগান্ডা হিসেবে মানতে পারছি না।
এ ব্যাপারে আমার ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলো সুশান্ত।
ভালোই সাড়া পড়েছে। উনি আহ্বান করেছেন রাজনৈতিক মত নির্বিশেষ ব্লগারদের নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করার। আর এই কমিটি বের করবে আসল ঘটনা। আসলেই মোশাররফ হোসেন ১৯৭১ সালে রাজাকার ছিলেন কি না কিংবা যুদ্ধাপরাধের মতো মানবতাবিরোধী কিছু করেছেন কিনা।
এজন্য প্রাথমিকভাবে মন্তব্যে নীচের ১৮জনের নাম এসেছে। আমি তাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাইছি। এই বিভ্রান্তি কিংবা অপপ্রচার শেষ হোক, নয়তো সত্যিটা প্রতিষ্ঠা পাক।
যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছেঃ
১। আরিফ জেবতিক
২। অমি রহমান পিয়াল
৩। শওকত হোসেন মাসুম
৪। ফারুক ওয়াসিফ
৫। টুটুল
৬। ত্রিভুজ
৭। জামাল ভাস্কর
৮। শামস
৯। হাসান রায়হান
১০। মেজবাহ য়াজাদ
১১। নজরুল ইসলাম
১২। মজিদ বিশ্বাস
১৩। মারুফ
১৪। কৌশিক
১৫।মাহবুব মোর্শেদ
১৬। একরামুল হক শামীম
১৭। মুকুল
১৮। ডট রাসেল
কেউ রাজী না থাকলে এই পোস্টে জানান। কারো কাছে প্রামান্য তথ্য থাকলে (শোনা কথা না) সেটাও দিন। আর চলুন বাকিরা বসি একদিন। কিভাবে কি করা যায় আলাপ করে ঠিক করি। সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।
আমার মেইল : [email protected]