পদ্মার চরে তরুণীদের যৌবন পোড়ে তপ্ত বালুর তাপে
স্টালিন সরকার (শরিয়তপুর থেকে ফিরে) : শিউলি দারুণ খুশি। পালের চরের ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে ভাগ্যবান সে। বিয়ে হয়েছে ৫ বছর। স্বামীর সঙ্গে থাকতে না পারলেও সে গর্ব করে। মাঝে মাঝে স্বামী আসে; কিছু খরচপাতি দেয়, আবার চলে যায়। কামিজের ছেঁড়া অংশ গামছা দিয়ে ঢাকতে ঢাকতে জানালো ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারছে না। সেজন্য মাঝে মাঝে চোখে পানি আসে। একই গ্রামের সিরাজ মাদবরের মেয়ে জোসনা, সাত্তার মাদবরের মেয়ে শহরবানু, সাহিদা, বাদশা হাওলাদারের মেয়ে মুন্নি, খলিল মাদবরের মেয়ে শিলা, খাদিজা, সুবর্ণার বিয়ে হচ্ছে না যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে না পারায়। একই গ্রামের কুলচুম, ফাহিমা, শাহেরাদের বিয়ে হলেও স্বামী তুলে নেয়নি প্রত্যাশিত যৌতুক না পাওয়ায়।
অন্যদের চেয়ে কিছুটা হলেও ভাল অবস্থায় থাকা শিউলি তাই দারুণ খুশি। গর্ব করে বলে তার স্বামী প্রতিবছর আসে। পদ্মার কোল ঘেঁষে শরিয়তপুরের পালের চর ইউনিয়নের সিরাজ মাদবর, সামাদ মাদবর, খলিলের চর, কাঁচি মাদবরকান্দি, শরীফবাবুর চর, পাশের ভেদরগঞ্জ উপজেলার শখিপুরের কালাই মাঝিরকান্দি, ধুলার চর, মোল্লাকান্দি, মালদাকান্দি, নড়িয়ার চরত্রা, নেয়াপাড়া, কুচাইপট্টি, জাজিরা উপজেলার মাদবরকান্দি, দড়িকান্দি, হাজি গোলাপখাঁ কান্দি, কাথুরিয়া, মাঝির চর, গফুর মোল্লাকান্দি, ফয়সাল সিকদারকান্দি, গংগানগর, পালং উপজেলার আংগরপুর, গয়াতলা, মাদারিপুর জেলার ক্রোক চর, ভা-ারীকান্দিসহ অধিকাংশ গ্রামে একই চিত্র। অসংখ্য পরিবারে বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছে না। যাদের বিয়ে হয়েছে তাদের এক তৃতীয়াংশ যৌতুকের জন্য বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। বিয়ের পর যৌতুকের টাকা না মেটানোয় অনেক বিবাহিত মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে পারেন নি। বিবাহযোগ্যা মেয়েরা বাপকে মাছ ধরা, চরের তপ্ত বালুতে কৃষিকাজে সাহায্য সহযোগিতা করেন। পালের চরের এক বিবাহযোগ্যা মেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বাদাম তুলছিল। ভদ্রলোক দেখে লজ্জা পেয়েছেন তাই কাজ ফেলে অন্যমুখ হয়ে রয়েছেন। কাছে গেলে অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেন। পরিচয় পেলে বললেন, বৃদ্ধ বাপ কাজ করতে পারেন না। তাই তাকে সহায়তা করতে হয়। টাকা পয়সা নেই তাই বিয়ে দিতে পারেন না। নিজের জমি থাকলে হয়তো বিক্রী করে হলেও বিয়ে দিতেন। পরের জমি ভাড়া নিয়ে থাকি। বিয়ে দিবেন কিভাবে? মেয়েদের যদি কাজ করার সুযোগ থাকতো তাহলে মেয়েরা কাজ করতো, স্বাবলম্বী হতো। বিয়ের চিন্তা করতে হতো না।
ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের দূরত্ব ৬০/৭০ কিলোমিটার। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি-নয়াবাজার থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত বাসভাড়া ৭০ টাকা। যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া (মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পড়েছে) যেতে সময় লাগলো ৪৫ মিনিট। মাওয়া থেকে শরিয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাটে পৌঁছাতে লঞ্চে সময় লাগে ২০ মিনিট। লঞ্চে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগলেও ৬/৭ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে স্পীডবোটে গেলে এ সময়েই শরিয়তপুরের মাঝির ঘাটে পৌঁছা যায়। চরের গরীব মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করলেও যাদের টাকা আছে তারা স্পীডবোটে যাতায়াত করেন। পদ্মার বুক চিড়ে স্পীডবোটে মাঝিরকান্দি ঘাটে পৌঁছে হতবাক হতে হলো। প্রচ- রোদে দুই শতাধিক মোটর সাইকেল ঘাটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। স্পীডবোটের যাত্রীরা ঘাটের তীরে নামতে না নামতেই ঢাকার বাসস্ট্যা-গুলোর মতো টানাটানি শুরু হলো। কোথায় যাবেন; আসেন? আমার সঙ্গে যান। স্যার আমি ভাল গাড়ি চালাই ইত্যাদি। জানা গেল শরিয়তপুরে যাতায়াতের জন্য বাস-রিক্সা খুবই কম। বেশির ভাগ মানুষ মোটর সাইকেলে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বেকার যুবকরা মোটর সাইকেলে যাত্রী আনা নেয়া করেন। চা বিক্রেতা জানিয়ে দিয়েছেন যেখানে যান মোটর সাইকেলে যেতে হবে। আগেই ভাড়া ঠিক করে নেবেন। না হলে যা চাইবে দিতে হবে। টাকা না দিলে পকেটে যা আছে জোর করে সব রেখে দেবে। ঢাকার টাউটদের চেয়ে এরা বেশি ভয়াবহ। এদের অনেকেই ঢাকায় গিয়ে মলমপাটির্, হাফপ্যাণ্ট পার্টির কাজ করে। ঢাকার পকেট মার ছিচকে চোরদের বড় অংশ এই দুই জেলার। চা বিক্রেতার কথায় কর্ণপাত না করেই ঢাকার একজনের পরিচিতের বাইকে উঠতে হলো। উদ্দেশ্য পালের চর। পথে কথা হলো হাজি গোলাপখাঁকান্দির মোড়ে আবদুর রব সর্দারের সঙ্গে। জানালেন ২০০৭ সালের সিডরে বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। এখনো বাড়ি করতে পারেননি। খড় দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। ৬ বছর ধরে সে অবস্থায় রয়েছেন। বললেন, এখানে এমপিকে কেউ কখনো দেখেনি। অধিকাংশ ঘরে দেখবেন বিবাহযোগ্যা মেয়ে। পাশে বসা শাহ আলম জানালেন, সেও বোনদায়গ্রস্ত ভাই। নিজে খেতে পারেন না। যৌতুক না দিলে এখানে বিয়ে হয় না। গোপনে গোপনে যৌতুক দিতেই হবে। টাকার ব্যবস্থা করতে পারছেন না; বোনের বিয়ে দিবেন কি দিয়ে? ইসমাইল জানালেন, আগে প্রকাশ্যে যৌতুক লেনদেন হতো। এখন গোপনে গোপনে সেটা দিতে হয়। নদীতে পানি কমে গেছে। আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। শরীফ বাবু আর পিপড়ার চরে আমাদের ১০ বিঘা জমি ছিল। নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। প্রতি কাঠা জমি বছরে এক হাজার টাকা করে ‘কর’ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। সিকদার মাতবর গ্রামের সাফিয়া খাতুনের বয়স ৪৫ বছর। জানালেন, তার বাড়ি পদ্মায় ভেঙ্গেছে ১০ বার। এ গ্রাম সে গ্রাম করে ৯ জায়গায় ঘর তুলতে হয়েছে। স্বামী মারা গেছে। তিন ছেলে চার মেয়েকে নিয়ে চরম কষ্টে দিনযাপন করছেন। ছেলেরা ছোট। এর ওর সঙ্গে কাজ করে। মেয়েদের মধ্যে দু’জনের বয়স ১৬ থেকে ১৮। বিয়ে দিতে পারছেন না টাকার অভাবে। বছরে হাজার টাকায় জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলেছেন। পেট চলে না মেয়ের বিয়ে দিবেন কেমন করে? একই গ্রামের সালেহা জানালেন তার স্বামীর ১১ বিঘা জমি ছিল। ৪/৫ বার বাড়ি পদ্মায় বিলীন হওয়ায় এখন পালের চরে এসেছেন। তিনিও ধানি জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলেছেন। ছেলেরা অন্যের জমিতে কাজ করে যা পায় তা দিয়ে চলে না। সামাদ মাদবর গ্রামের বিলকিস এক হাজার টাকা দিয়ে এক কাঠা জমি ভাড়া নেয়ার পর তার কাছে দুইশ’ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে এ দুঃখে আছেন। বললেন, নদী ভাঙ্গা মানুষ। কাজ নেই, খাওয়া নেই, ঘর করার টাকা নেই। তারপরও জমির ভাড়া বেশি নিচ্ছে। গ্রামের সবচেয়ে ভাগ্যবান কালাম মাষ্টার বছরে ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জমি নিয়ে চক চকে টিনের ঘর তুলেছেন। চরে সে বড়লোক হিসেবে পরিচিত।
অধিকাংশ গ্রাম বা চর ব্যক্তির নামে। রহস্য কি? জানতে চাইলে কয়েকজন জানালেন, এখানে কেউ কাউকে মানেন না। জোর যার মুল্লুক তার। যাদের কিছু অর্থকড়ি আছে তিনি নিজেই একটি গ্রাম তৈরি করেন। এখানকার মানুষ দেশের আর ১০টি এলাকার মানুষের মতো মিলে মিশে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করেন না। কারো সঙ্গে কারো বনিবনা হয় না। নিজেরাই কয়েকটি ঘর তুলে গ্রামের নাম রাখেন নিজের নামে। এমনো রয়েছে একই গ্রামে ৫০ গজের মধ্যে দুটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আমি অন্যের মসজিদে নামাজ পড়বো না এ মানসিকতা থেকেই মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
বাইকের ব্যবস্থা করেছেন ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব। পথঘাট দেখিয়ে দিয়ে বললেন, দুপুরে রোদ প্রখর হওয়ার আগে পৌঁছাতে হবে। দ্রুত চলে যান। প্রচ- রোদে মটর সাইকেলে ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হলো শখিপুর যেতে। স্থানীয় সাংবাদিক এম হারুনার রশিদ প্রচুর কথা বলেন। পথে পথে বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। পথে হাজী শরীয়তউল্লাহ মহাবিদ্যালয় চোখে পড়লো। বিখ্যাত ব্যক্তির স্মৃতি মহাবিদ্যালয় নেমে বিল্ডিং ছুঁয়ে নিজেকে ধন্য মনে হলো। ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধ্যেই শখিপুর থানা। শখিপুরের তোরাবুনিয়া গ্রাম পদ্মা তিন দফায় ভেঙ্গেছে। নদী ভাংগা প্রায় দুইশ পরিবার সারি সারি ঘর তুলেছে জমি ভাড়া নিয়ে। অনেকের ঘরের চালে সোলার শোভা পাচ্ছে। হাবিবুর রহমান মাঝির দুই ছেলে বিদেশ থাকেন। টাকা পয়সার অভাব নেই। তাই সকলেই তাকে মোড়ল মানেন। বেপারীকান্দি, মোদ্দাইনাকান্দি থেকে উঠে আসা কয়েকজনকে নিয়ে অন্যের ঘর তোলার কাজ তদারকী করছেন মোড়ল হাবিবুর রহমান মাঝি। জানালেন, পাশের হক বেপারীকান্দি, গাজীকান্দি, পাতলিয়াকান্দি, বাঘকান্দি, মোল্লাকান্দিসহ কয়েকটি গ্রাম গত বছর পদ্মায় বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গ ৫শ’ পরিবার সারি সারি ঘর তুলেছেন। তার হিসেব মতে, প্রায় ঘরেই বিবাহযোগ্যা কন্যা রয়েছে। যৌতুকের অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না। পরিবার পরিকল্পনার কথা কেউ বলেনি। তাই প্রতি পরিবারে ৬ থেকে ৮ জন করে সন্তান। মোড়ল অমুকের ৫ সন্তান, তমুকের ৬ সন্তান, ওই বাড়িতে ৮ সন্তান, সে বাড়িতে ৫ সন্তান এভাতে তথ্য জানাচ্ছেন। কিন্তু নিজের কত সন্তান সেটা বলছেন না। জিজ্ঞেস করলে মনে হলো লজ্জা পাচ্ছেন। মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, আমার ৬ ছেলেমেয়ে। ছেলে জাকির রহমান বৃত্তি পেয়েছে, মেয়ে খাদিজা রহমান ও মোনিয়া রহমান পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়েছে। দুই ছেলে বিদেশে থাকে। হাবিবুর রহমানের ছেলেমেয়েরা জানালেন তারা ৪/৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে পড়েন। হাবিবের বাসায় চায়ের আয়োজন হয়েছে। বাইরের লোক এসেছে দেখে পাশের বাড়ির শুক্কুর আলি এসেছেন। তিনি জানালেন তার ৬ ছেলেমেয়ে। এক সময় পেশা ছিল মাছ ধরা। নদীতে পানি না থাকায় মাছ ধরতে পারছেন না। অন্যেরা পরের জমিতে কাজ করলেও বয়সের কারণে তিনি পারেন না। খেয়ে না খেয়ে তার সংসার চলে। বললেন, নিজে খেতে পারছি না। দুই মেয়েকে বিয়ে দিব টাকা কোথায়? পদ্মায় পানির প্রবাহ বেশি থাকলে মাছ ধরতে পারতেন বলে জানালেন। তারাবুনিয়া, মোল্লাকান্দি, গায়েরকান্দি, স্টেশন বাজার, নুরু মাঝির বাজার, আদার বাজার, আনন্দ বাজারসহ কয়েকটি চর ঘুরে জানা গেল অনেক পরিবারের রয়েছে বিবাহযোগ্য মেয়ে। তাদের বিয়ে হচ্ছে না। চাঁদ হাওলাদার দুই মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। কারণ তিনি মনে করেন কোনোদিনই তিনি মেয়েদের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে পারবেন না। হাবিবুর রহমানের মতে চরে শতকরা ৫০ জন মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না শুধু যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে না পারার কারণে। সরকারকান্দি চরের বাচ্চু প্রধান ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, আপনি লিখে কি করবেন স্যার? কাজতো হবে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, মাঠের বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার, সংসদ উপনেতা নারী। নারীরা দেশ চালাচ্ছেন অথচ নারী সমাজ অবহেলিত রয়েই গেল। যৌতুকের অভাবে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতার কান্না শোনার-দেখার যেন কেউ নেই। কিছু এনজিও বিদেশীদের টাকায় ঢাকায় নারী স্বাধীনতার আন্দোলন করে। সমঅধিকার চায়। তারা কী যৌতুকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করার দাবি করেছে? স্টেশন বাজার মসজিদ থেকে জুমা¥র নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসুল্লিদের একজন বাসায় খাওয়ার দাওয়াত দিলেন। দাওয়াত রক্ষা সম্ভব নয় জানালে তিনি মসজিদের পাশে চা খাওয়ালেন। বললেন, চরের মেয়েদের স্বাবলম্বী করা গেলে যৌতুক সমস্যা থাকতো না। দারিদ্র্য বিমোচন করতে মেয়েদের বৃত্তিমূলক কাজ শিখিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা, সমবায় করে চরের মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা গেলে বর্তমানের সমস্যা থাকতো না। গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, আশা, প্রশিকাসহ অনেক এনজিও দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ করে। ঢাকায় দামি দামি গাড়ী হাঁকিয়ে সভা সেমিনার করেন। কিন্তু নদী ভাঙ্গা চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে কার্যকর পদক্ষেপ নেন না। নিলে চরের মানুষ উপকৃত হতো। শরিয়তপুর উন্নয়ন সংস্থার মজিবুর রহমান আগের দিন কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন পদ্মার চরগুলোতে প্রচুর খাস জমি। সরকার খাস জমিগুলো কৃষকদের মধ্যে বিলি করে দিলেও তারা সমাজপতিদের হাত থেকে রক্ষা পেতেন। কিন্তু কে শোনো কার কথা? চরের মানুষের কান্নার আওয়াজ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের কানে পৌঁছায় না।
- See more at: Click This Link