মৃত্যু যাপনে বিধ্বস্ত, বড় ক্লান্ত দেহময় ব্যাথার সব অনুভূতি,
শুষ্ক চোখজুড়ে কান্নার আকুতি তবু রক্তাক্ত পলকের নেই অব্যাহতি,
গ্রাস করে চলে প্রতি মুহূর্তে অগ্নিকুণ্ডের যন্ত্রণাময় গহ্বর,
ম্রিয়মাণ হৃদয়ের জানা নেই খোঁজ, এতোটুকু আলোকের অস্তিত্ব!
শুধু মায়াময় মৃত্যু অপেক্ষমাণ, যেখানে জীবনের আহ্বান পৌঁছে না,
এখানে কুৎসিতের ঠিকানা, ভয়াল অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর দুর্গমতম সীমানা,
কাতর চিৎকার, অভিশাপ মোচনের ক্রন্দন শুধু জীবনের এ প্রান্তে,
আঁধার-প্রাণহীন প্রান্তরময় আলোহীন উত্তাপের প্রচন্ডতায় গলিত ধ্বংসস্তুপ
হতে গিয়েও, আঁকড়ে বুকে যন্ত্রণার পরিনাম,
তবু স্বাপ্নিক হবার দুঃস্বপ্ন-দুরাশা করে বিপর্যস্ত অবিরাম!
অনাকাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষারা ঘিরে ধরে করে অবাস্তব মোহে আচ্ছন্ন মস্তিস্ক,
ক্রন্দনের নিয়তি মাথায় হাত বুলিয়ে দেবার মমতা হবার অভিনয়ে করে প্রতারিত।
মনের অন্তনীলে অন্তরীন আবেগের কোলাহল এড়িয়ে,
পতনের পূর্বমুহূর্তে ধাবমান ভূমির আতংক পেরিয়ে,
খুঁজে দেখার প্রত্যাশার উৎপত্তি শঙ্কিত করে প্রতিক্ষণ,
ইচ্ছে হয় অবাক জ্যোৎস্নাহত মরণ করি বরণ,
লিখি কবিতা শুভ্র মেঘ কালি, আশ্রয় নীলচে গগন।
আকাশের বিশালতা কিংবা সুমুদ্রের গভীরতায়,
বা কোন চিরচেনা হারানো চোখের বিষাদময়তায়,
হই নির্বাসিত শত যন্ত্রণার অনুভূতি হতে!