রেখ স্বাধীনতা তুমি যত্ন করে,
সুখী হতে আর নেই বারণ।
গুণমুগ্ধ হোক তোমার স্বাধীনতার আমন্ত্রণ,
থাকুক না অবহেলায় নিয়ন্ত্রণের নিমন্ত্রণ!
চোখে আংগুল দিয়ে আর দেখাতে হবে না,
আমিও বুঝতে শিখেছি, নিয়মের পৃথিবীতে
অনিয়মের মানুষগুলো চিরশ্লাঘ্য।
যাদের কাছে ভালো মন্দের যাচাই কর বন্ধু
তারা নিজেরাই শত অভিযোগের কেদ্রবিন্দু
মন্দের ছন্দে দেখা কী যায় মন্দের চন্দ্রবিন্দু?
আমার প্রতি কিসে অভিযোগ ছিল তোমার?
এই মানুষরূপী লোকালয়ের বনে বাঁচতে হলে
সবার আগে দিও নিয়ন্ত্রণে নিমন্ত্রণ।
তোমার আমার ছোট্ট বেলার সেই জানা গল্প
থেকে বলতে চেয়েছিলাম—
লেজকাটা শিয়ালগুলোর উপদেশ না মানা
দুধের মাছিগুলো কে এড়িয়ে চলা উচিৎ
বঙ্কিম ভাষায় বোঝাতে চেয়েছিলাম—
ওরা বসন্তের কোকিল, শীত-বর্ষার কেহ নহে
আজ আমার ভাষায় বলে যেতে চাই—
যদি আমার কারণে তোমার জীবনে বিষাদের
এতো আয়োজন মনে হয় তবে আজ আমি
হাসিমুখে বিদায় নিচ্ছি।
আজ তোমার সুরে সুর মিলিয়ে বলছি—
নিয়মের পৃথিবী ছুটে যাক কক্ষের বাহিরে।
বেঁচে থাকা মানে খেয়ালখুশির উচ্চাটন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৬