তোমরা ৭১ কে বার বার ফিরে দেখ।
দলগত কাজ করো।
কে ছোট, কে বড়, কে ছেলে, কে মেয়ে,
এতো কিছু হিসেবের সময় ছিল না রে ভাই,
মানুষের মূল্যায়ন ছিল মানুষ হিসেবে।
তোমরা ৭১ থেকে বাঁচতে শিখো।
হারানো শতক থেকে শূন্য,
শূন্য থেকে আজীবন শতকের পুণ্য।
আমার বাংলা, আমার দেশ,
এর চেয়ে কী হতে পারে বেশ?
কে বলেছে এর চেয়ে হয় না কিছু বেশ?
আছে তো! স্বার্থপরতা।
খোঁজ নিলে দেখবে, তলানিতে পড়ে থাকা
কোটি মানুষের জীবনবৃত্তান্তের বুকে এতটুকুই অভিজ্ঞতা–
“আজ সমাজের প্রতিটি পরতে বৈষম্যতা, স্বার্থপরতা,
অপারগতা, দিন শেষে বেঁচে থাকাই যেন চরম এক তিক্ততা।”
তোমরা ৭১ কে বার বার ফিরে দেখ।
আহতকে বুকে নাও, অদক্ষকে দক্ষ বানাও,
মানুষরূপী অমানুষগুলোর প্রতি কঠোর হও।
তোমরা এতো সহজেই ভূলে গেছ?
ঐ স্যুটেড, বুটেড, আর খাকী পোশাকের
মুখ দিয়ে অনর্গল ইংরেজী বলা পশ্চিমা
বাবুদের অন্যায়, অত্যারচার, নিপীড়নের কথা!
আফসোস আজ আমরা নিজের দেশে
নিজেদের বাবুদের কাছেই হেরে গেলাম!
না, মোটেও না।
আমরা হেরেছি আমাদের ইচ্ছে শক্তির কাছে,
আমরা হেরেছি আমাদের একাকীত্বের কাছে,
আমরা হেরেছি আমাদের গোঁড়ামির কাছে,
আমরা হেরেছি ভিনদেশী ইংরেজী ভাষার কাছে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গেটি ইমেজেস
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২১