অনেক হাঁপিয়ে গেছি, বুঝে ও না বুঝার তপস্বী তুই
হয় আমি না হয় তুই, হইতো দুজনেই ধুঁকে মরছি।
লাইব্রেরির হাজার বইয়ের লক্ষ পাতায় জুড়ে তুই,
তোকে ঘিরে চোখের নিশানা, মাথা কভু হয়না উঁচু;
আড় চোখে তাকানোর ঠিক মহূর্তে দেখবি সামনে
বসে থাকা কত্ত ভালো ছাত্র, জানি তোর মাথা হবে হেট।
ঐ যে তোর প্রাক্তন ছিলো নাকি বিচক্ষণ বোকা আমি
কই যাবো বল, এই না তাড়িয়ে দিলি, ফিরিয়ে দিলি;
সেই তোরি ডাকে আবার পিছনে ফিরি, তুই যে আমার
পথ ভুলানোর মস্ত কারিগর, তাইতো আবার ফিরে আসি।
তোর খারাপ লাগা জানিস আমার মনখারাপের অজুহাত;
ঔষধ আনতে হবেনা দেরি, কপালে হাত এই বুঝি হল জ্বর
আরেকটু ছুঁয়ে দেখার কৌশল; আর বেলা শেষে দুই রাকাত
নফল নামাজ, তুলি দুই হাত করি মোনাযাত-“হে মোর খোদা
তুমি তারে সর্বদা খুশি রেখো, এই ভাবে তার পাশে রেখো।”
একবার এই মনের কথাগুলো যদি আন্দাজ করতি;
কাকন পড়া হাত বাড়িয়ে যদি চলতি হাতে হাত রেখে;
আলতা রাঙ্গা পায়ে পা মিলিয়ে যদি আসতি আমার শহরে;
আর কতকাল ঘোলাটে আয়নার বন্দিনী হয়ে রইবে তোর চোখ,
ক্ষণিকের জন্যে যদি বুঝতি এই এগিয়ে চলার নামই জীবন।