কে আছে শান্তিতে? সারা দেশে কেউ শান্তিতে নাই। এই আওয়ামীলীগ সরকারের খাড়ায় পড়ে পুরো দেশটা একটা জীবন্ত কারাগারে যেন পরিণত হয়েছে। মানুষ তার বাক স্বাধীনতার প্রকাশ ঘটাতে পারছে না, নিজের ইচ্ছেমত লিখতে পারছে না, ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করতে পারছে না। সব কিছুতেই যেন শেকল পরিয়ে রাখবার এক অপঃকৌশল ঘিরে রয়েছে আমাদের চারিদিকে।
আজকে শফিক রেহমানের মত একজন বৃদ্ধ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অপহরনের মামলা আনা হয়েছে। এই ৮২ বছরের বৃদ্ধ মানুষ কিভাবে জয়কে অপহরনের চেষ্টা করছে বা করবে? এগুলো কি বিশ্বাসযোগ্য? যেই এফ বি আই এর ধুয়ো তোলা হচ্ছে বার বার এবং বলা হচ্ছে রবার্ট লাস্টিক, থ্যালার ও রিজভী আহমেদের মামলার রায়ের মধ্যেই শফিক রেহমানের কথা বলা রয়েছে এবং সেটির মাধ্যমেই নাকি তারা শফিক রেহমানকে লোকেট করেছেন। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে উল্লেখিত মামলার রায়ে কোথাও শফিক রেহমানের কথা লেখা নেই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে ফেসবুকে এবং তাঁর অনুসারীরা যেভাবে একের পর এক ফেসবুকেই শফিক রেহমানকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তিও দিয়ে দিচ্ছেন তাতে করে আর আইন বা আদালতের দরকার কি? এত কষ্ট করে শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়েই বা লাভ কি? সজীব ওয়াজেদের আদালতেই কারারুদ্ধ করে রাখা হোক এই প্রবীণ সাংবাদিককে।
বাংলাদেশের আইনে কিংবা পৃথিবীর যে কোনো সভ্য দেশের আদালতেই একজন গ্রেফতার কৃত বা অভিযুক্তের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনভাবেই দোষী হিসেবে বিবেচিত হন না। ধরে নিতে হবে যে তিনি বিচারের পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগ পর্যন্ত একজন নিরপরাধ। অথচ জয়ের সঙী সাথী ও খোদ জয় যেভাবে শফিক রেহমানকে অপরাধী বলছে তাতে করে এই আইনী প্রিন্সিপালকে তারা অশ্রদ্ধা করছে। যদি বাংলাদেশের আইনকে খোদ প্রধানমন্ত্রী তনয় এইভাবে অশ্রদ্ধা করে তাহলে দেশ কিভাবে চলছে বা দেশে আইনের শাষন-ই বা কি এটা আর ঘটা করে বলতে হয়না।
পূত্রের সমর্থনে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তার ছেলে বলেই কি এত সমালোচনা হচ্ছে কিংবা তাদের কি বিচার চাইবার অধিকার নেই? এই কথাগুলো পুরোটাই প্রলাপের মত মনে হোলো। বিচার চাইবার অধিকার নাই মানে আবার কি? পুরো দেশটাই তো আজ শেখ হাসিনার খপ্পরে। মানুষ আজ শুধু একটা কথাই জানতে চায় এই বাকশালী সরকার থেকে মুক্তি কবে মিলবে বাংলাদেশীদের?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৫১