শিশুদের সাথে যে ওয়াদা করা হয় তা রক্ষা করা উচিৎ। কেননা শিশুদের অন্তর সাদা কাগজের মতো। সেখানে আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড চিত্রিত হয়। তাই শিশুদের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করার অর্থ হলো, তার অন্তরে ওয়াদা খেলাফের বীজ বপন করা। এরপর একদিন যখন এই শিশুটি বড় হবে এবং অন্যদের সাথে ওয়াদা খেলাফ করবে, তখন এর গুনাহর একটি অংশ আপনার কাঁধে এসে পড়বে।
আমাদের সমাজে শিশুদেরকে নামী-দামী স্কুলে ভর্ত করা হয়। কিন্তু বাড়ি-ঘরের পরিবেশের ব্যাপারে আমরা অসচেতন। তাই শিশুদের মন-মানসে নানা খারাপ চরিত্র ঢুকতে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি কোথাও যাচ্ছেন। কিন্তু আপনার শিশুটি জিদ ধরেছে, সেও আপনার সাথে যাবে। আপনি তার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য তাকে বললেন, বাবা! আমি তোমার জন্য একটা জিনিস আনতে যাচ্ছি। এই বলে আপনি চলে গেলেন। তারপর ঘরে ফেরার সময় তার জন্য কিছুই আনলেন না। তাহলে আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অপরাধে অপরাধী হলেন, সাথে সাথে আপনার এই আচরণ শিশুটির মাঝে এই খারাপ গুণটির প্রবেশের নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
কোন লোক আপনার সাক্ষাতে এলো কিংবা আপনাকে ফোন করলো। আপনার শিশু-সন্তান এসে আপনাকে তা জানালো। আপনি তখন আপনার বাচ্চাকে শিখিয়ে দিলেন, গিয়ে বলো, আব্বু ঘরে নেই। অথচ আপনি ঘরেই আছেন। তাহলে একটা শিশুকে মিথ্যা শেখানোর পিছনে আপনার কাজটি অবশ্যই দায়ী। সুতরাং নিজে মিথ্যা বলার জন্য এবং শিশুটিকে মিথ্যা শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের শিশুদের চরিত্র গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারণ আপনার শিশুর চরিত্র খারাপ হওয়ার পেছনে যদি আপনার কর্মকাণ্ডের প্রভাব থাকে, তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহর দরবারে আপনাকে এর জন্য পাকড়াও করা হবে। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৯