প্রেম ভালবাসা পবিত্র। কিন্তু এটি এর পবিত্রতা হারিয়ে ফেলছে প্রতিনিয়ত। কখনো নিজের অজান্তে, অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে।প্রেম-ভালবাসা হারাচ্ছে তাদের পবিত্রতা।
হে প্রেমিক -প্রেমিকাগন,
পার্ক এ বসে হাতা-হাতি,,ঝোপঝাড় জড়াজড়ি, সিনেমা হলে একটু আধটু স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ , কিংবা লিটনের ফ্লাটে প্রেমিক প্রেমিকারে গা ভাসিয়ে দেওয়া যৌবনের উচ্ছাসে। এটাই কি তোমাদের ভালবাসা!!
যদি হ্যা উত্তর দাও, তাহলে বলব কুকুর, শুয়োর এই জানোয়ারগুলো মধ্যদুপুরে যে জনসম্মুখে রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হয় সেটাও তাদের ভালবাসা। আর তাই যদি হয় তাহলে তোমার আর ওই জানোয়ার কুলের পার্থক্য টা কোথায়?
পার্থক্য হয়তো এটুকু যে তোমারা ভান করতে জান আর তারা জানে না,,,তোমারা যাও লিটনের ফ্লাটে আর তারা রাস্তাঘাট এ।তোমরা ভালবাসার ভানের অভিনয় করতে জান,ওরা জানে না। তাই বলছি নিজের আর জন্তুদের সাথে তুল্য কর না।
হে অবোধ প্রেমিকা ,,
তুমি যার সাথে প্রেম করছ সে হয়তো তোমাকে খুব ভালবাসে। তুমিও তাকে ভালবেসে এক গাল হেসে তাকে ভবিষ্যৎ স্বামী ভেবে তোমার দেহ-মন উজার করে ভালবাসলে সে কি আসলেই শেষমেশ তোমার স্বামী হবে। আর হলেও কি তাতে আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন!!
আর না হলে ভবিষ্যৎতে যে তোমার স্বামী হবে তাকে কি উপহার দিবে! তার প্রাপ্য তাকে কিন্তু দিতে পারবে না।
হয়তো সে কখনো জানতে পারবে না তোমার অতীতকালের রংচঙা স্বপ্ন গুলো, কিন্তু তুমি সারাজীবন নিজের কাছেই নিজে অনুতপ্ত হবে।
অবোধ/চতুর প্রেমিক,,,,
তুমি হয়তো প্রেমিকাকে অনেক ভালবাস, তাকে বিয়ে করবেই। এটা তোমার আপাত লক্ষ,তোমার প্রতিজ্ঞা। তাই তুমি মেয়েটাকে বিয়ে করার আগেই শারীরবৃত্তীয় সম্পর্কে লিপ্ত হলে। কিন্তু শেষ মেশ বিয়ে করতে না পারলে তুমি কি এতটুকু অনুশোচিত হবে না!!
যদি না হও তাহলে তুমি মনুষ্যত্বহীন, তুমি চতুর ছিলে। মেয়েটাকে ভোগ করার জন্যই তুমি মিথ্যা অভিনয় করেছ!
তুমি যদি কাউকে ঠকাও তুমি নিজেও ঠকে যাবে। এপারে নাহলে পরপারে অবশ্যই।
আমি ঘৃণা করি সেই কলংকিত প্রেম-ভালবাসাকে;যে ভালবাসা শরীরকে ঘিরে,,আর ঘৃণা করি সে সকল প্রেমিক -প্রেমিকা কে। যারা সব জেনে বুঝেও ঝোপের আড়ালে বসে,লিটনের ফ্লাটে যায়।