১৪ ফেব্রুয়ারি, আসছে ভালবাসা দিবস। এই ভালবাসা দিবসকে সামনে রেখে কত আয়োজন, কত পরিকল্পনা, কত চিন্তাভাবনা করে রেখেছে বা করছে তরুন-তরুনি,স্বামী স্ত্রী, প্রেমিক প্রেমিকারা। এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও সেই দলে থাকতে পারে।
ভারচুয়াল জগতেও একে নিয়ে কম কল্পনা জল্পনা হচ্ছে না।বিশেষ ককরে ফেইসবুকে,পুরাই জমজমাট অবস্থায় , কেউ এই ভালবাসা দিবসের পক্ষে কথা বলছে আবার কেউ সেটার বিপক্ষদল এ অবস্থান করছে,ঘোর বিরোধী সে। কেউ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর খারাপ,ক্ষতিকর দিক সমুহ তুলে ধরছে।
আজকালকার মানুষজন অক্টোপাসের মত ঘন ঘন রং বদলায়। তারা সব একেক সময় একেকরকম ভান ধরছে। যখন যেটার দরকার হচ্ছে।
যে ভালোবাসা দিবস নিয়ে কটুক্তি বা এর ঘোর বিরোধিতা করছে সে নিজেই হয়তো রাতের বেলা তার কোন মেয়ে বন্ধু/প্রেমিকা নিয়ে লেকের ধারে বসে আছে।
আমি বাস্তব জীবনে নিজের পাশের কোন লোককে দেখেছি,সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে,মাসিক রোজা রাখে,কিন্ত সুদ খাচ্ছে। সে জানে ইসলাম এ সুদ হারাম,কিন্তু তা সে না জানার ভান করছে।
যাই হোক, ভালবাসা দিবসে তরুণীরা অনেকেই ভালবাসার নামে যে তারা তাদের অমুল্য সম্পদ তাদের সতীত্ব উৎসর্গ করবেন ভালবাসার নামে। এটা ভালবাসা না,যে ভালবাসায় শারীরিক সম্পর্কীয় কিছু থাকে তাহলে তা কখনো ভালবাসা হতে পারেনা। ভালবাসার নামে যৌনতা। আচ্ছা এই যৌনাচার যদি ভালবাসা হয় তাহলে কুকুর শুয়োরের যৌনাচারকেও আমরা ভালবাসা বলি না কেন?
বলি না এ জন্য যে মানুষ ভান করতে যানে আর তারা ভান করতে পারে না। মানুষ হোটেল এ যায়,রুমে এ করে তাই এটা ভালবাসা। কিন্ত পশুরা ভান করতে পারে না বলে তারা পথে ঘাটে রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হয়,আর সে জন্য তাদের টা ভালবাসা বলিননা আমরা।
আমি ভালবাসা দিবসের বিপক্ষে না। আমিও কাউকে ভালবাসি। তবে ভালবাসার মতো পবিত্র জিনিস কে কলংকিত করবেন না। ভালবাসাকে সম্মান করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪