শিশিরে পা ভিজিয়ে বলে উঠি আনমনে-
এমনটা কি হবার ছিল?
উদীয়মান সূর্যকে শুধাই অবচেতনে-
কেন চাঁদের সব রঙ কেড়ে নিল?
রাতের বুকে জ্বলন্ত চাঁদ
রাত ফুরোলেই বাদ!
চাঁদের বক্ষদেশে এ কীসের কলঙ্কের তীলক?
কোন অযাচিত অত্যাচারের স্মারক?
মানবাধিকার নয় আমার অধিকার,
প্রাপ্য সম্মানে নেই এখতিয়ার।
চাঁদ বলে কি শুধুই দর্শনীয়?
নিশ্চুপ দেখে কি শুধুই ধর্ষনীয়?
রাতের আকাশে চাঁদ আমি,
রাত হলেই ঘৃণ্যকাজে নামি।
সমাজ আমাকে ডাকে ধর্ষিতা-পতিতা,
আমার নামে থু ছিটায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।
ভোরের আলোতে আমি অন্ধকার,
সভ্য সমাজে নেই আমার দরকার।
দানবরূপী মানব রাতে আমাতে সাঁতরায়,
রাত পেরোলেই বাঁকা চোখে তাকায়।
সভ্য শহরের অসভ্য পতিতালয়
আমার চিরকালীন আশ্রয়।
প্রতিনিয়ত সভ্য দানব সেথায় নৈশখেলায় মাতেন,
সকাল হলে ভীষণ ভাষণে সমমর্যাদার ফাঁদ পাতেন।
চাঁদের নিজের কোন আলো নেই
এটুকু জেনেই বলেন বেশ!
চাঁদের নিজের কেন আলো নেই
করেন না জিজ্ঞেস।
শহুরে সভ্যগণ,
শোনেন দিয়ে মন-
শত কলঙ্কের পরও সবাই পূর্ণিমা ভালোবাসে,
ঘৃণ্য চাঁদকেই সবাই পেতে চায় রাতে পাশে।
সদা উজ্জ্বল সূর্য যেদিন থাকবে না
চাঁদকে আলো দিতে আর কাউকে লাগবে না।