মৃত মানুষ সম্পর্কে খারাপ কিছু বলা ঠিক না ।
তারপরও বলতে হয় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৯৯৬ সালের বরাদ্দকৃত টাকায় ও পরিকল্পনায় বাস্তবায়নকৃত মেঘনা নদীর উপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু উদ্বোধনকালে ১৯৭১ সালের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে হেয় করে দম্ভসহকারে বলেছিল, " কোথাকার কোন নিধিরাম সর্দার, ঢাল নেই, তলোয়ার.... তার নামে কেন নামকরন করতে হবে । "
সেদিনই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তাকে হারামজাদা বলে সারা জীবন গালি দিব। আজও দিলাম ।
সৃষ্টিকর্তার কি খেলা সেই সাইফুর রহমান মারাও গেছে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু অনতিদূরে গাড়ী দূর্ঘটনায় ।
এই সাইফুর রহমান ছিল নামের কাঙ্গাল । সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের একটি চেয়েছিল টার নাম করনে করতে। সে সেদিন দম্ভ করে বলেছিল "টাকা দেই আমি ,আর নামকরণ হয় অন্যদের নামে।"
মজার কথা হলো সাইফুর রহমান কখনোই নিজের টাকা কাউকে দিয়ে বা দান করে দেন নাই । সবসময় সে সরকারী টাকা নিজেও নিয়েছে ,আবার বরাদ্দকৃত টাকা থেকে বর্তমান মেয়ের আরিফের মাধ্যমে কমিশনও নিয়েছিল। অথচ সরকারী টাকায় তার নামে সিলেটে অনেক কিছুর নামকরন করেছে বেহায়ার মত ।
আর সরকারী জমি অবৈধভাবে সাইফুর রহমান দখল করে রেখেছিল । এই সাইফুর রহমান বনবিভাগের অনেক জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছিল ।
সাইফুর রহমানের অনেকগুলো গরুর রক্ষনাবক্ষণ করা হতো সরকারী টাকা ব্যায়ে।
সাইফুর রহমান তার ছেলে নাসের রহমানকে দিয়ে চট্রগ্রাম বন্দরে অবৈধ ব্যবসা খুলিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে পণ্য উঠা-নামার কতৃত্ব দিয়েছিল নাসের রহমানকে।
আর দূর্নীতির কথা নাই বললাম । তার কথা ছিল- খাদ্য ঘাটতি থাকলে সাহায্য বেশী আসে।
আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মানুষ ভূলভাবে তাকে চেনে, কেউ কি সঠিক উত্তর দিতে পারেন আজ উত্তরাঞ্চলে কেন মঙ্গা নেই ।
কারন সামাজিক নিরাপত্তা বর্তমান অর্থমন্ত্রী যেভাবে বুঝেন তা সাইফুর রহমান বুঝত না বা বুঝতে চাইত না । সবসময় দাম্ভিকতা দেখাত ।
এই সাইফুর রহমানই উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা জিইয়ে রেখেছিল তার অদক্ষতায় ।
আর আজ দেখি ব্লগে সাইফুর প্রেমিকের অভাব নেই। মৃত বলে শুধু গালি দিলাম না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২