আগামীকাল ৪টি সিটির স্থানীয় নির্বাচন । সবাই তাদের নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে নানা সাফাই গেয়েছে। অনলাইনেও নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে নানা সাফাই আর নিজদলের বিরোধী পক্ষের প্রার্থীদের কুৎসা করেছে ।
সবাই বলেছে সিলেটের কামরান কি করছে বিগত দিনে ?
আবার বলেছেন আরিফ কি করেছে বিগত দিনলোতে ?
অনেকেই জেনে বা ন জেনেই জলাবদ্ধতা নিয়ে নানা কথা বলেছেন। ভাল কথা কামরান পরেন নাই জলাবদ্ধতা দূর করতে। কেন পারেন নাই কামরান তার ডিফেন্স দিতে পারে আমি নই। যেটা কামরান পারে নাই এটা আরিফ কি করে পারবে ???
আরিফের যোগ্যতা টা কি ? আরিফ কি অপরিচিত কেউ নাকি ? এই সেই আরিফ যে সামান্য কাউন্সিলর হলেও যাকে ডিসি এসপিরা স্যালুড করতে বাধ্য হয়েছিল সাইফুর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যভারের কারণে।
গত পরশু নিউজ দেখলাম yahoo তে যেখানে জার্মানীর একটি শহরের জলবদ্ধতার খবর দিয়েছে। ওখানেও মেয়র আছে ওখানেও মেয়রে ব্যর্থতা নেই ???
আপনারা চট্টগ্রাম সিটির কথা চিন্তা করেন । ওখানে বিএনপি'র প্রার্থী মুঞ্জু মিয়া বিপুলভাবে জিতল। কথা ছিল শহরের জলাবদ্ধতা দূর করবে ? ৪ বছর হয়ে গেল প্রায় এখনও কোন খবর নাই । আরো খবর হলো LGED থেকে উন্নয়ন কাজের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে যে পরিমাণ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল ।সেই টাকার কাজও করতে পারেন নাই মুঞ্জু সাহেব। LGED র টাকা ফেরত আসে অথচ চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরশনে সিটি কর্পোরেশনের কোন উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান হয়নি ।আপনারাই বলুন মহিউদ্দিন চৌধুরী যেই পরিমাণ উন্নয়ন কাজ করেছিল তা তার দলের সরকারের আমলেরই হোক কিংবা বিরোধী সরকারের আমলেই হোক তার ধারে কাছেও নেই বর্তমান মেয়র মুঞ্জুর আলম সাহেব ।
তাই বন্ধুগণ নানা দলীয় কাদা ছোড়াছোড়ি থাকবেই রাজনীতি তারপরও কাজের মূল্যায়ন থাকা উচিত ।
সিলেটে কামরান মেয়র থাকার সুবাদে নন-সিলেটিরা যেই সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। তা অন্যকেউ মেয়র হলে পাবে না। সিলেটিরা এমনিতেই নন সিলেটিদের দেখটে পারে না। কিন্তু সাবেক মেয়র কামরান সিলেটি আর ননসিলেটিদের এক করতে পেরছেন। এইজন্য ননসিলেটিদের বেশীর ভাগ ভোটই সবসময় কামরান পেয়েছেন ,এবারও হয়ত পাবেন বলেই আশা রাখি।
আর অন্য সব মানে বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী তে বিগত দীর্ঘ দিন বিএনপি সমর্থিত মেয়ররা ছিলেন। কিন্তু কে কতটুকু কাজ করেছেন সবাই জানেন। মিনু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে সেবা দেয়া তো দূরের কথা দায়-দেনায় এমনভাবে নিমজ্ঝিত করে রেখেছিলেন তা থেকে বেরিয়ে সেবা প্রদান ছিল সূদূর পরাহত ।
আর আজ রাজশাহীর যত দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পরে তার সবগুলোতেই আছে সদ্য সাবেক মেয়র লিটনের আবদান ।আর সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করেও তোলেছেন এই লিটন সাহেব। তাই বলতে চাই যোগ্যতা কি আজ পারাজিত হবে ! অযোগ্যদের দখলেই সব যাবে কি ? নাকি রাজশাহী , সিলেট, বরিশাল, খুলনার মানুষ এত বোকা নয়। তারা তাদের যোগ্য প্রার্থী লিটন , কামরান, হিরণ, খালেক দের ই নির্বাচিত করে তাদের উন্নয়ের প্রতিশূতি পূরণে সাহায়তা করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
বরিশালে কামাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন কি করেছিলেন। আর বরিশালে বিএনপির চরম দাপটশালী নেতা সাবেক মেয়র সারোয়ার কি উন্নয়ন করেছিল তার হিসেব কি তারা দিতে পারবে ? আর বিগত দিনে সদ্য সাবেক মেয়র হিরণ বরিশালকে নি বানিয়েছেন তা দেখার পর কি আর বিএনপি'র প্রার্থীর পক্ষে সাফাই গাওয়ার কোন সুযোগ থাকে। আশা করি বরিশালের সচেতন মানুষ ও হিরণের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য আবার নির্বাচিত করে বরিশালবাসীকে সেবা করার সুযোগ দিবে।
খুলনার বিএনপি'র সাবেক মেয়র মরহুম তৈয়ব দলবাজি ছাড়া খুলনার তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেন নাই এইটা খুলনার সবাই জানে। একের পর একে শিল্প বণ্ধ হয়ে খুলনা শিল্পহীন হয়ে পড়তে ছিল বিগত বিএনপি সরকারের জোট আমলে কিন্তু তৈয়ব সাহেবও শিল্প শহরের উন্নয়নে দৃশ্যমান কিছু করতে পারেন নাই এমনকি সিটি কর্পোরেশনকে দায়-দেনায় নিমজ্জিত করে রেখেছিলন। সদ্য সাবেক মেয়র খালেক সাহেবের আমলেই খুলনা ওয়াসা জন্ম লাভ করে, বস্তুত দায়-দেন থেকে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর করে তোলেন। আর বর্তমান বিএনপি'র প্রার্থী মনি সাহেবেরও সার্বিক উন্নয়নের সেই যোগ্যতা নেই তা ওনা কাউন্সিল থাকার সময়ই প্রমাণিত হয়েছে।
তাই ভাই-বোন, বন্ধুগণ আসুন আবারও উন্নয়নের শপথ নেই ; লিটন,কামরান,হিরণ, খালেক সাহেবদের নির্বাচিত করি । দোহাই লাগে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৮