জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আচরণ কোন সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না। জানি না তারা কি শিক্ষা লাভ করে নাকি আমাদের দেশের শিক্ষার গলদই তাদের আচরণের বহিপ্রকাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বাড়াবে আর তার জন্য রাস্তায় নির্বিচারে গাড়ী ভাঙ্গবে এইটা কোন শিক্ষারে ভাই ???? এই শিক্ষিতের দরকার মোঘল আমলে ছিল, এখন আর এই রকম শিক্ষায় শিক্ষিতদের কোন প্রয়োজন নেই বলেই মনে করি।
তারপর আসি আইনের কথা আমরা সবাই জানি একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা কি পরিমাণ ঝামেলার কাজ।তার উপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একরকম স্বতন্ত্র আইন করতে হলো। যারা তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল তারও পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাতন্ত্র করে তোলা হয়েছে।যাতে নিশ্চিত করা আছে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট হারে ফি দিতে হবে।এই আইনটা যদি কেউ না জেনে বা না বুঝে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তার দায় কার ? বিশ্ববিদ্যালয়ের না রাষ্ট্রের না শিক্ষার্থীর ????
আইন মানব না আর রাস্তায় গিয়ে ভাংচুর করে মাস্তানী দেখাব। মুখে বড় বড় কথা বলব " আমরা পাবলিকে পড়তে চাই, প্রাইভেটে পড়তে চাই না।" কেন ভর্তির আগে যাচাই করলেন না কেন ? এখন এত প্যাচাল কেন ? বিশ্ববিদ্যালয় তো আরো ছিল সেখানে গেলেন না কেন ?
আমি এই আন্দোলনের কোন যুক্তি দেখি না ।সরকার সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এইসব শিক্ষার্থীদের এহেন আচরণকে বরদাশত করতে পারে না। আমরা যারা সেইদিন উশৃঙ্খল ছাত্রদের জন্য অসহ্য ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল তাদের কাছে সরকার বা সেইসব কতিপয় শিক্ষার্থীদের কি জবাব হতে পারে ?প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাক দীর্ঘ সময় তারপরও চাইনা ছাত্রদের এমন উশৃঙ্খলতা।
ছাত্রদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবী থাকতে পারে কিন্তু রাস্তার সকল মানুষকে জিম্মি করে নয়।আমি আবারও বলতে চাই এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে শিক্ষার সুযোগ অনেক অবারিত হয়েছে তাই এমন উশৃঙ্খলদের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েরই লালন করা উচিত নয়। আমার সাথে অনেকের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু অন্যের অসুবিধা জানব না, বুঝব না, মানব না এইটা আমি কোনভাবেই সমর্থন করব না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৮