একদা এক দেশে গনসভার আয়োজন করা হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য সেই সভার আহবান করা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিরাই সেই সভায় যোগদান করেছিলেন। আবার এমন অনেক ব্যক্তিই ছিল যারা মূলত: সভায় কি হয় তাই দেখতে গিয়েছিল। সভা অনেকক্ষণ ধরেই চলে। গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা শুনে অনেক হাততালি পড়ে। তবে সেই সভায় কিছু ব্যক্তি ছিল যারা সভার আলোচনার ধারার সাথে একমত হতে পারছিল না। তাদের কথা ছিল যে, এগুলো তো গৎবাঁধা আলোচনা হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের আলোচনায় ব্যক্তির পান্ডিত্যই বেশি প্রকাশিত হচ্ছে কিন্তু বর্তমান পরিস্হিতির সাথে তার প্রয়োগ সূদূর প্রসারী কোনো ফলাফল আনবে না বলেই মনে হচ্ছে। যেমন: বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছিল যে, ফসল এর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি করে সার প্রয়োগ করতে মাঠে। এতে করে বর্তমানের ফসল উৎপাদন নাকি অনেক গুনেই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সেই সব ছোট খাটো লোকের মন্তব্য ছিল যে, এতে করে মাটির ক্ষয় হবে। কিন্তু তাদের কথার তো কোনো দামই দেয়া হল না বরং তাদেরকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া হল।
১৫ বছর পর:
সেই দেশে বিদেশ থেকে কিছু লোক আসবে। তারা নাকি বিদেশের মাটিতে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য সারাদেশে সাজ সাজ রব, তবে অল্প পরিসরে। কারন দেশ আজ খাদ্যাভাবে জর্জরিত।
তারপর:
সেই বহুল প্রতীক্ষিত সময় আসল। সেই লোক গুলো যখন বিমান থেকে নামলো, তাদের দেখে সবাই তো অবাক। এরা তো সেই দল যাদেরকে ১৫ বছর আগে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে তথাকথিত তর্ক করার জন্য দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল।
নীতিবাক্য:
১। গৎবাঁধা নিয়মের বাইরেও যে সফলতা আসে তা সব সময় মনে রাখা উচিত।
২। কারো অবদানই খাঁটো করে দেখা উচিত নয়।
৩। কারো অবদানই পরিত্যাগ করা উচিত নয়।