মার্চ মাসের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে লেখা কবিতা একখানিঃ
সূর্যের প্রখর উত্তাপে
কাপুরুষদের দল ছিল লুকিয়ে,
তথাকথিত পরাশক্তিদের প্ররোচনায়
দমন নীতিই ছিল তাদের ভাবনায়।
ন্যায্য পাওনা না দিয়ে তারা
অসহায়দের ঘরে দিতো হানা,
যা আছে তা কেঁড়ে নিয়ে
সাহসীদের দাঁড় করিয়ে
মারতো তারা পেছন থেকে।
সাহস ছিল না তাদের বুকে
হাসি দেখার মৃত্যুর পথযাত্রীদের মুখে,
ভয় ছিল তাদের মনেও
ছাড়তো না তাই শিশু-কিশোরদেরও।
ছোট্ট শিশুর সাহস তারা
বুঝতে পেরেছিল অনেক আগেই,
এক থাকলেও বাঁচবে না তারা
সবাইকে হত্যা করতো এই ভয়েই।
নিশ্চুপ নির্বাক জাতি ধীরে ধীরে
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ঘরে ঘরে,
হুংকার দিয়ে অস্ত্র হাতে
প্রতিকার চাইতে নামে রাজপথে।
কাপুরুষ দল ভয় পেয়ে যায়
এই বুঝি হয় পতন হায়,
রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে
নারকীয় লীলা চালায় দেশ জুড়ে।
ভাই বোনের মৃত্যুকে
শোক নয় শক্তি হিসেবে নিয়ে
অকুতোভয় জনগন
ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে।
সাধারণ অস্ত্র তাদের হাতে
হয়ে যায় আধুনিক,
সেই অস্ত্র নিয়ে
যুদ্ধে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্বাধীনতার স্বপ্ন তাদের বুকে
সূর্যের আলোর চেয়ে উজ্জ্বলতর হয়ে
জ্বলজ্বল করে জ্বলে।
দীর্ঘ নয় মাস ধরে
বলতে গেলে একতরফা যুদ্ধ চলে,
কারণ রাতের আধাঁরে আর
অসহায়দের হত্যা নয় যে
কোনো যুদ্ধ।
মৃত্যুর আগ মূহুর্তেও বাঙ্গালীরা
স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে,
বাঁচার সুযোগ থাকার পরেও
মৃত্যুকে বরণ করেছে
যুদ্ধ করতে করতে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অকল্পনীয় সাহসিকতা
আর অপ্রতিরোধ্য কৌশলের কাছে
মাথা পেতে নেয় কাপুরুষেরা অবশেষে।
স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে
পেলাম আমরা বাংলাদেশকে।
কিন্তু হায় তিন যুগ পরে
কেন আমরা দেখি স্বাধীনতার স্বপ্ন আবারও?
কেনই বা আমাদের অনেকে
দূর্নীতিতে পড়েছে জড়িয়ে
আর কেনই বা অনেকে লিপ্ত হয়েছে
সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েমে?
আজও আমরা চাই স্বাধীনতা
মঙ্গা-বন্যা-দূর্যোগ থেকে,
সাথে রয়েছে দারিদ্রতা
কিছুই যে আমাদের পিছু ছাড়ে না।
স্বাধীনতার এই স্বপ্নগুলো কি
স্বপ্নই থেকে যাবে,
নাকি আবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে
স্বাধীনতাকে আনবে ছিনিয়ে।