একটি রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে একটি খরগোশ তার গুহোর বাইরে বসে টাইপরাইটারে টাইপ করছিল। এই সময় একটি শেয়াল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। শেয়ালটি খরগোশের কাজ দেখে অবাক হয়ে গেল।
শেয়ালঃ তুমি কি করছো?
খরগোশঃ আমি একটি থিসিস তৈরি করছি।
শেয়ালঃ কোন বিষয়ে?
খরগোশঃ ওহ, আমি লিখছি কি করে খরগোশ শেয়ালদের খায়!
শেয়ালঃ এটা আজগুবি কথা! যে কোনো বোকা জানে যে খরগোশ শেয়ালদের খায় না!
খরগোশঃ আমার সাথে আসো, আমি তোমাকে দেখাবো!
এরপর তারা দুজনের গুহোর ভেতর চলে যায় এবং কিছুক্ষন পর খরগোশটি শেয়ালের হাড্ডি চুষতে চুষতে বের হয়ে এল। তারপর আবার সে নিজের টাইপিং এর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
কিছুক্ষন পর একটা নেকড়ে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় খরগোশটিকে কাজ করতে দেখে অবাক হয়ে গেল।
নেকড়েঃ হে, তুমি কি করছো?
খরগোশঃ আমি একটি থিসিস করছি কেমনে খরগোশ নেকড়েদের খায় তার উপর।
নেকড়েঃ তুমি কি মনে কর এই সব ফালতু লেখা প্রকাশ করবে কেউ?
খরগোশঃ কোনো সমস্যা নেই। তুমি দেখতে চাও কেমনে খায়?
এরপর তারা দুজনের গুহোর ভেতর চলে যায় এবং কিছুক্ষন পর খরগোশটি নেকড়ের হাড্ডি চুষতে চুষতে বের হয়ে এল। তারপর আবার সে নিজের টাইপিং এর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
গুহার ভেতরের দৃশ্যঃ
গুহার ভেতরে ঢুকার পর খরগোশ তার শিকার-কে সিংহের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
নীতিবাক্য ১: আপনার থিসিস এর টপিক উপর থিসিস কেমন হবে নির্ভর করে না। থিসিস কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনি কার তত্ত্বাবধানে কাজ করছে।
নীতিবাক্য ২: আপনার কাজকর্ম যত বাজেই হোক না কেন, আপনার বস যদি তা পছন্দ করে তাহলে কেউ আপনার উন্নতি ঠেকাতে পারবে না।
একটি কর্মঠ খরগোশ ও দুটি নীতিবাক্য
আগের লেখাঃ
একটি অলস সিংহ ও ২টি নীতিকথা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:৪১