লুকিয়ে ব্লগ চালানোর কোন মানে হয় না। আমি তো খারাপ কিছু করছি না, এত লুকানো ছাপানোর কিছু নেই। তাই মাকে গিয়ে বললাম, মা আমি ব্লগে লেখি।
মা কি উত্তর দেন তা নিয়ে কিঞ্চিত ভয় ছিল। কিন্তু মায়ের উত্তরটা ছিল বিস্ময়কর। মা খুশি হয়ে বললেন, কেমন ব্লগে লেখিস?
-সামহোয়ারইনব্লগ।
-দেখি তো কেমন লেখিস, আমাকে একটু তোর লেখাগুলো দেখা।
আমি অফলাইনে বসে মাকে আমার ব্লগ দেখালাম। সাথে সাথে মায়ের মুখ থেকে সব উতসাহ হারিয়ে গেল, মা বলেন- কিরে। এগুলো তো বাংলা লেখা।
আমি বললাম, হ্যাঁ, এটা তো বাংলা ব্লগ। লেখা বাংলাতেই তো হবে।
-অহ, ব্লগের নাম শুনে আমি মনে করেছিলাম ইংরেজি হবে।
আমিও ভাবলাম তাই তো, সাম হোয়ার ইন ব্লগ, এটা তো ইংরেজি কথা, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাংলা ব্লগের ইংরেজি নাম! এটা তো কখনো ভেবে দেখিনি।
এনিওয়ে, আমার মা শিক্ষিত লোক হলেও টেকনোলজির ব্যপারে উনি একটু কম বোঝেন। সেদিন থেকে আমি আমার মায়ের সামনেই ব্লগ চালাচ্ছি। শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে আপনারা আমার পোস্টে কি মন্তব্য করেন তা মাকে শুনাই। শুনে মা হাসেন। কোন কোন ব্লগারের বেশ রসালো মন্তব্য মাকে শুনিয়ে বলি, মা এই মন্তব্যে কি উত্তর দেয়া যায়? আমার মা খুব সুন্দর উত্তর বলে দেন। আমি সেটাই প্রতিমন্তব্যের ঘরে লিখে দিই। বুঝলেন তো, ব্লগে আমি একা নই, আমার মাও আছেন। তিনি প্রায়ই কে কি বলেন তা দেখছেন। যে প্রতিমন্তব্য পড়ে আমাকে বেশ চালাক মনে করেছিলেন সেটা হয়তো আমার মায়েরই অবদান।
সম্মানিত ব্লগারগণ, প্লিজ এই পোস্ট পড়ে টাশকি খাবেন না।
আমি তথ্যটা একটা বিশেষ কারনে শেয়ার করছি। তা হল- মন্তব্য করার সময় আপনারা প্লিজ খেয়াল রাখুন, কেউ আমার পোস্টে এমন কোন মন্তব্য করে বসবেন না যে কারনে আমাকে বিব্রত হতে হয়। এখনো তেমন মন্তব্য আসেনি, কারন আমাকে যারা নিয়মিত মন্তব্য করে থাকেন তাঁরা বেশ রুচিশীল। তবুও জাস্ট একটু এলার্ট করে রাখলাম, এই আর কি।
হ্যাপি ব্লগিং।