প্রিয় সামুর একেক ব্লগারের মন্তব্যের স্টাইল একেক রকম। কারো কারো কমেন্ট পড়ে মাথা ঘুরায়, কারো কমেন্টে প্রানখুলে হাসি আসে। উনাদের কমেন্ট বা মন্তব্য পড়তে পড়তে মন্তব্যের স্টাইলের সাথে আমি পরিচিত হয়ে উঠেছি।
আসুন আজ আমরা কয়েকজন পরিচিত ব্লগারের ট্রাডিশনাল মন্তব্যগুলোকে একটু ভিন্নভাবে দেখি। আমার পোস্টে এই ব্লগারগণ কিভাবে মন্তব্য করেন এবং সেখানে আমি কিভাবে প্রতিমন্তব্য করি তা লিখে প্রকাশ করছি......
[প্রথমে পোস্ট, তারপর পোস্ট ঘিরে মন্তব্য]
পুর্ণিমা রাতের পরী
লিখেছেন অচেনা হৃদি
সেদিন ভরা জোছনা রাতে আমার ঘুম আসছিল না। আমি জানালা খুলে কালো আকাশের কপালে সাদা টিপের মত ঐ চাঁদ দেখছিলাম। বাতাসে ভেসে এলো হাসনা হেনার ঘ্রাণ। আমি অপলক চোখে নিঁদ ভুলে সিঁদ হয়ে প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম।
হঠাত আমার প্রিয় হাসনা হেনা গাছের নিচে কি যেন নড়ে চড়ে উঠলো। আমি ভয় পেলাম, কি এটা? কোন ভূত নয়তো। নাহ, ধবল ছায়ার এই জোছনা রাতে তো ভূত আসবে না, এটা মনে হয় পরী। এটা নিশ্চয়ই পরী, তাই তো সে ফুলের গাছের নিচে অবস্থান নিয়েছে।
কিছুক্ষন পর সেই পরী উঠে দাঁড়ালো। তারপর সে হাঁটতে শুরু করলো। ওমা, এই পরীর হাতে রূপার বদনা! আমি তো অবাক!
কিন্তু অচিরেই বুঝলাম, এটা পরী নয়, এটা আমার এক প্রতিবেশী বুড়ি। মোখলেসের দাদী। আমার প্রিয় হাসনা হেনা গাছের নিচে বসে তিনি প্রাকৃতিক কর্ম সেরেছেন।
দুঃখে আমি অঝোরে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলাম। পৃথিবী, তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন?
(পোস্ট শেষ, এখান থেকেই মন্তব্য শুরু।)
১. কাওসার চৌধুরী বলেছেনঃ আপুনির আজকের এই পোস্ট কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও ভালো লেগেছে। আপনার লেখার হাত চমৎকার, লেখতে লেখতে লেখনীর মান আরও বাড়বে।
লন্ডনে দেখেছিলাম মানুষ পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য কত চেষ্টা করে। সেখানে সরকারিভাবে প্রত্যেকের ডুপ্লেক্স বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে সচেতন করা হয়। সেখানকার জনগণও বেশ হেল্পফুল। আপনার মতই সেখানে সবাই ঘরের সামনে ফুলগাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করে। আমি একবার একটা ফুল গাছের নিচে চুইংগাম ফেলেছিলাম। সেই বাড়ির সুন্দরী জেদি মেয়ে রেগেমেগে আগুন হয়ে গেলো। অগত্যা ফেলে দেয়া চুইং গাম তুলে নিয়ে আবার চিবুতে লাগলাম। জেনে হয়তো বিশ্বাস হবে না সেই চুইং গামে একটুও ময়লা লাগেনি। কিন্তু আমি যদি আপনার হাসনা হেনা গাছের নিচে চুইং গাম ফেলতাম তবে তা আবার তুলে মোটেও চিবাতাম না। আমাদের আর ইংল্যান্ডের মানুষদের মাঝে এটা এক বিরাট পার্থক্য।
পোস্টে ভালোলাগা ও লাইক। আপুনির জন্য শুভকামনা।
লেখক বলেছেনঃ লন্ডনের লোকেরা তাঁদের গাছের নিচের জায়গা এতো পরিষ্কার রাখে জেনে খুব অবাক লাগলো। তারা চুইং গাম ফেলতেও দেয় না! আমরা তো আমাদের ফুলগাছের নিচে সার হিসেবে ব্যবহৃত চা পাতা ঢেলে দিই। আপনি আমার হাসনা হেনা গাছের নিচে চুইং গাম ফেলে আবার যদি চিবোতে যান তাহলে চা পাতার ঘ্রাণ পাবেন। অবশ্য মোখলেসের দাদীর ঘ্রাণও পেতে পারেন।
এনিওয়ে, সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অ-নে-ক ধন্যবাদ ভাইয়া।
২. রাজীব নুর বলেছেনঃ আমাদের একজন স্যার একটা ধাঁধা বলেছিলেন। বল দেখি কোন প্রাণী সকালে চার পায়ে হাঁটে, দুপুরে দুই পায়ে হাঁটে এবং সন্ধ্যায় তিন পায়ে হাঁটে।
কেউ জবাব দিতে পারেনি, আমি পেরেছিলাম।
লেখক বলেছেনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্ট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝে অতপর খুব চমৎকার এবং প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্য করলেন।
৩. রাজীব নুর বলেছেনঃ লেখক বলেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্ট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝে অতপর খুব চমৎকার এবং প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্য করলেন।
পোস্ট পড়ে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা ব্লগার হিসেবে আমার দায়িত্ব।
৪. লায়নহার্ট বলেছেনঃ {আপনি খুব সুন্দর, আমি ভালোবাসি। ইদানীং ব্লগে আপনাকে কম দেখছি।}
লেখক বলেছেনঃ আপনি খুব সুন্দর, আমি ভালোবাসি। এটা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন?
৫. লায়নহার্ট বলেছেনঃ {আগের মন্তব্য টাইপো হয়ে গেছে। এই মন্তব্য এবং আগেরটা ডিলেট করে দেন।}
৬. লায়নহার্ট বলেছেনঃ {আপনি খুব সুন্দর লিখেন, আমি ভালোবাসি। ইদানীং ব্লগে আপনাকে কম দেখছি।}
লেখক বলেছেনঃ হিহিহি...
ধন্যবাদ। একটু ব্যস্ত আছি তাই আগের মত সময় দিতে পারছি না। আচ্ছা একটা প্রশ্ন ছিল। আপনি কি নিজু মন্ডলের মাল্টি নিক?
৭. লায়নহার্ট বলেছেনঃ {না। আমি কার মাল্টি তা কোন একদিন আপনাকে বলে দেব। আপাতত গেস করে নেন আমি কার মাল্টি। আমার নামের প্রথম অক্ষর ক । এই মন্তব্যটাও ডিলেট করে দেন।}
৮. চাঁদগাজী বলেছেনঃ ব্লগিংকে ব্লগিং হিসেবে দেখুন, আপনি ফেসবুকের ধারা থেকে বের হতে পারেননি, মনে হচ্ছে। এই প্রজন্মের জন্য ব্লগিং একটি ভার্চুয়াল সুযোগের সৃষ্টি করতে পারে।
লেখক বলেছেনঃ ভেবেছিলাম পুর্নিমা চাঁদের পোস্টে চাঁদগাজী খুশি হবেন, যেহেতু নামের মিল আছে। কিন্তু এখানেও তিনি লেকচার দিয়ে দিলেন।
এনিওয়ে, মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৯. কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেনঃ আপনার পোস্ট ভালো। তবে ছবিটা উপযোগী নয়। এটা পরিবর্তন করুন।
লেখক বলেছেনঃ এহ, আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছে। আপনি কে? ভালো লাগলে পড়েন নয়তো যান ভাগেন।
১০. কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেনঃ এটা কোন ধরনের মন্তব্য? আপনি কে- এই প্রশ্নটি শুনে অবাক হয়েছি। আপনি জানেন না আমি মডারেটর? ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মন্তব্য করার কারণে সামুর নিয়মানুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লেখক বলেছেনঃ ওহ স্যরি। ভাইয়া আমি রিয়েলি স্যরি। প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন। ইদানীং আমার কিচ্ছু মনে থাকে না। আমি আজ দুপুরে ভাত খেয়েছি কিনা মনে ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন খেয়েছি, তাই আর একদম ভাত খাইনি। সন্ধ্যায় মা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আমি দুপুরে খাইনি। এদিকে রাতেও ভাত খেয়েছি কিনা মনে ছিল না, আমি দশটা বাজে ভাত খাবার পর পেট খুব ভরা ভরা লাগছিল। তখন মনে পড়েছে আমি নয়টা বাজেও ভাত খেয়েছি। আসলে আমার কেন যেন কিছুই মনে থাকছে না, সব কেবল ভুলে যাচ্ছি। আপনি যে প্রিয় সামু ব্লগের মডারেটর তা আমি জানতাম। কিন্তু মন্তব্য পড়ার সময় হঠাত ভুলে গেছি। এখন আমার মনে পড়েছে আপনি খুব ভালো রান্না করতে পারেন। সামুতে একদিন আপনি তুর্কি কাবাব বানানোর একটা চমৎকার রেসিপি পোস্ট করেছিলেন। সেটা দেখে আমিও কাবাব বানাতে চেয়েছিলাম, সেদিন আমার নিজের হাত পুড়েই কাবাব হয়ে গিয়েছিল, কারণ আমি তো আপনার মত এক্সপার্ট নই। আমি আপনার ফ্যান, আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে। আজ মাথা ঠিক নেই বলে উল্টাপাল্টা বলে ফেলেছি। ভাইয়া প্লিজ মাফ করে দেন। আমি আমার আব্বুর ডেসিগনেশন ভুলে গেলেও আপনার ডেসিগনেশন আর জীবনেও ভুলবো না। এবারের মত মাফ করে দেন।
১১. কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেনঃ ঠিক আছে। আপনার সমস্যা বুঝেছি। আপনার এই লেখাটাতে একটা লাইক দিয়ে নির্বাচিত পাতায় পাঠিয়ে দিলাম।
আশা করি সামহোয়ারইনব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী আপনার মনে থাকবে।
লেখক বলেছেনঃ অবশ্যই ভাইয়া। কি বলে যে ধন্যবাদ দেব মনে করতে পারছি না। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১২. ডার্ক ফক্স বলেছেনঃ সুন্দর পোস্ট।
আমি একজন নতুন ব্লগার, আমার পোস্ট পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে সাহায্য করুন।
আমার আজকের পোস্ট আলু চাষের উপকারিতা।
১৩. পাঠকের প্রতিক্রিয়া বলেছেনঃ
জান্টু...
লায়নহার্ট আমার মাল্টি? আলামত দেখে মনে হয় তুমি নিজেই তো শ্যামা দত্তের মাল্টি।
এসব কথা কোথায় পাও বল তো টুকটুকি?
জোছনা রাতে একা বাইরে তাকাতে ভয় পাও না।
তোমাকে বলি একটা প্রেম করতে।
তাহলে একা জোছনার আলোয় ঘুরতেও পারতে।
লেকিন দিল তো বাচ্চা হে জিইইইই...
পুনশ্চঃ ভেবেছিলাম তোমার সাথে প্রেম করব। কিন্তু তোমার জন্য কমেন্ট লিখতে বসলেই
আমার ল্যাপটপের চার্জার স্পার্ক করে কেন? আবার ফট করে শব্দও হয়।
১৪. কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেনঃ হা হা,
আলো ভরা জোছনা রাতে
ফুলের গন্ধে জাগে কে,
গাছের তলে বদনা হাতে
একলা বসে হাগে কে?
১৫. কুঁড়ের বাদশা বলেছেনঃ আফা ঘুম থেইক্যা উইঠা আপনার লেখা পইড়া ফিদা হয়ে গেলাম।
আবার ঘুমাইতে যাইতাছি।
০. সেফাতুল্লা সেফুদা বলেছেনঃ এই তারছেঁড়া মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী
১৬. গিয়াসউদ্দিন লিটন বলেছেনঃ আপনার সেন্স অব হিউমার খুব ভালো। খুব রম্য করতে পেরেছেন এই পোস্টে। আমি নিশ্চিত যারা এটা পড়বে তারা হাসতে হাসতে চাপ ট্যাকেল করতে না পেরে রূপালি বদনা হাতে নিয়ে দৌড়াবে।
১৭. পদাতিক চৌধুরী বলেছেনঃ হায় হায়, এত সুন্দর একটা লেখা কিভাবে মিস করে ফেলেছি বুজতে পারছি না। আমার ছোটবোনের পোস্ট সবসময় একটু ব্যতিক্রম। আমি কোছনার রাত উপভগ করতে পারিনি অনেকদিন হল। বাড়ি থেকে অপিস, অফিস থেকে বাড়ি আস যাওয়া করতে অনেক সময় শেষ হয়ে যায়। এই এখনো অটোতে বসে বসে মন্তব্য লিখছি। তাই কিছু টাইপো হয়ে যাচ্চে। কিছু মনে করবেন না।
ভালো থাকবেন প্রিয় ছোটবোন হ্রদি আপু।
১৮. সেফাতুল্লা সেফুদা বলেছেনঃ কি ব্যপার? আমি তো এই পোস্টে এই মন্তব্য করিনি। আমার মন্তব্যে এসব কি লেখা দেখছি? আর আমার মন্তব্যের নাম্বার শূন্য হয়ে গেছে কেন? আজ আঙুরের রস বেশি খাইনি। তারপরেও সব উল্টাপাল্টা দেখছি। মনে হয় আঙুরের রস ভেবে আজ ভুলে তালের রস খেয়ে ফেলেছিলাম।
১৯. সামুপাগলা০০৭ বলেছেনঃ হেই সুইট হৃদি আপু। অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগলো।
আমি বাংলাদেশি কিশোরী হিসেবে প্রথম যখন তুষার দেশে এসেছিলাম তখন বাংলাদেশের জোছনা রাতকে খুব মিস করতাম। হাসনা হেনা ফুলের ঘ্রাণ আমার মত কিশোরীদের ফুসফুসে বাড়তি এনার্জি এনে দিতে পারে। আপনার পোস্ট পড়ার সময় ঝলকে সেই জোছনা স্মৃতিপটে ভেসে উঠে।
পোস্টে লাইক। এমন চমৎকার পোস্টে মাত্র একটি লাইক দেয়া যায়, এটাই সামুর নিয়ম। ভালো থাকবেন আপু, শুভকামনা সকল।
২০. সেলিম আনোয়ার বলেছেনঃ গ্রামের বাড়িতে একা ঘুমানো উচিৎ নয়। বুড়ি বলে বেঁচে গেছেন।
আশা করি ভবিষ্যতে সাবধানে থাকবেন।
২১. শায়মা বলেছেনঃ পাঠকের প্রতিক্রিয়া বলেছেন আলামতে মনে হয় তুমি নিজেই তো শ্যামা দত্তের মাল্টি।
এই নিজু মণ্ডল, তুমি কি আমার কথাই বলছিলে? আমার মাল্টিয়া নিয়ে এতো ভাবাভাবি করো না ভাইয়ামনি।
সময় হলে আমি নিজেই বলে দেব সামুতে আমার মাল্টি কোনটা।
২২. টারজান০০০০৭ বলেছেনঃ আমাজনের জঙ্গলে এখন সবে প্রভাত হইয়াছে। নিদ্রা হইতে জাগিয়া সামুতে লগইন করিয়া আপনার পোস্ট পড়িলাম। পড়িতে পড়িতে আমার ইয়ে উপরে উঠিয়া গিয়াছে। মানে আমার পোষা বানর গাছে উঠিয়া গিয়াছে। উহার ইয়ে ধরিয়া টানিয়া নামাইলাম, মানে লেজ ধরিয়া টানিয়া নামাইয়াছি। তারপর উহাকে বলিলাম, যাহ দুইটা ইয়ে খুজিয়া আন, ইয়ে করিব। মানে কলা খুজিয়া আন নাস্তা করিব।
২৩. উদাসী স্বপ্ন বলেছেনঃ আপনার এই লেখাটা পড়ে এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল স্বর্ণার কথা মনে পড়ে গেল। তবে সে আপনার মত ভীতু নয়। বরংচ সে ছিল খুবই সা হসী। পরী পেত্নী কিছুতেই ভয় পেত না। এজন্য তার সম্পর্কে অনেক মিথ প্রচলিত ছিল। ভূতের ভয় পাওয়াটা সত্যিকারের মেয়েদের একটা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। স্বয়ং মার্গারেট থ্যাচারের মন থেকেও ভূতের ভয় দূর হয়নি।
২৪. ভুয়া মফিজ বলেছেনঃ ইস্তাম্বুল থেকে ব্লগে এসেছিলাম পোস্ট পড়তে,
কিন্তু মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে পোস্টের কথা ভুলেই গেছি।
আপনাকে বলেছিলাম লস এঞ্জেলস নিয়ে ভ্রমণ কাহিনী লিখতে, ভুলে গেছেন নাকি?
সেটা লিখেন, আর পারলে আমাকে সেই কাহিনীতে নায়ক বা খলনায়কের একটা পার্ট দিবেন।
২৫. আহমেদ জী এস বলেছেনঃ অচেনা হৃদি
.
.
.
সুন্দর প্রকৃতি সব মানুষকে টেনে নিতে পারে না, প্রকৃতির উপর অকৃত্রিম রাগ নিয়ে এভাবে কেউ কেঁদে দিতেও পারে না।
আপনি একজন নির্মল হৃদয়ের মানুষ বলেই এভাবে ভ্যা ভ্যা করে অঝোরে কেঁদে ভাসাতে পারেন।
যতদিন বেঁচে থাকবেন এমন থাকুন, সফেদ হোন হৃদয় পাথারে।
২৬. আখেনাটেন বলেছেনঃ চমৎকার লিখেছো। আসলে এটা টিপিক্যাল টিনেজ অনুভূতি। তোমার লেখা পড়ে আমার স্কুল জীবনের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমার বাড়ির পাশে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আমার সমবয়সী তার এক বিড়ালচোখী কন্যা ছিল। তাকে একনজর দেখার জন্য আমি রাতের বেলা জবা ফুল গাছের নিচে লুকিয়ে বসে থাকতাম। একদিন সে নিজেই আমাকে দেখে ফেললো, তারপর ভূত ভূত বলে চিৎকার শুরু করে। আমি আর কি করি, উসাইন বোল্টের মত উঠে দিলাম দৌড়।
যেখানেই থাকো, ভালো থেকো পিচ্চি হৃদি।
২৭. অপসরা বলেছেনঃ হা হা। পোস্টখানা আজ পড়লাম। তুমি মনে হয় আসলেই পিচ্চি, হৃদিমনি।
এই বয়সেও কেউ ভ্যা করে কাঁদে। আমি হলে কিন্তু ভুলেও কাঁদতাম না।
পরী হোক পেত্নী হোক, জোছনার রঙে সবই সুন্দর!
[এটা নিছক একটা ফানপোস্ট। কাউকে হেয় করা এই লেখাটার উদ্দেশ্য নয়। বিপরীতে, কাউকে প্রমোট করার জন্যেও এটা রচিত হয়নি। পরবর্তি সম্ভাব্য ফানপোস্ট- সশস্ত্র বাহিনীতে সাধু ভাষার প্রচলন এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিড়ম্বনা।]