একেক মানুষের চিন্তা ধারা একেক রকম। কাজেই প্রিয় সামুর বিশিষ্ট ব্লগারদের চিন্তা চেতনা এবং কল্পনাতে অনেক হেরফের রয়েছে। প্রায়ই দেখা যায় কোন একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ব্লগারগণ আলাদা আলাদা ভিন্নমুখি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকেন।
আচ্ছা, মনে করুন পাবলিক বাসে চড়ে সামুর কোন এক বিশিষ্ট ব্লগার কোথাও যাচ্ছেন। পরের স্টপেজে সেই বাসে উঠলো একজন কিশোরী যাত্রী, বাসে সিট খালি না থাকায় কিশোরীটি এসে দাঁড়ালো ব্লগারের সামনে। তখন উক্ত ব্লগার কি ভাববেন?
আসুন আমরা দেখে নিই এই পরিস্থিতিতে সামুর ব্লগারগণ কি ভাবতে পারেন!
উদাসী স্বপ্ন...
পৃথিবীতে থিউরির অভাব নেই। হেগেলিয় মতবাদ, প্লেটোনিক মতবাদ, কত যে খিচুড়ি। তবে মানবীয় প্রেমের ব্যপারে আমার কাছে ফ্রয়েডীয় মতবাদকেই সবচেয়ে ধারালো মনে হয়। আমার সামনে যেই মেয়ে হ্যাঙ্গার ধরে ঝুলে আছে, আমি নিশ্চিত একে দেখলে যুবকেরা ফ্রয়েডীয় থিউরি অনুযায়ী তার প্রেমে সিক্ত হতে বাধ্য!
আবু হেনা আশরাফুল...
এই মেয়ের নাকটা অবিকল মধুবালার মত। আর চোখগুলো ঠিক যেন প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র। আমি নিশ্চিত এই মেয়ে প্রিয়া প্রকাশের মত চোখ টেপাটেপি শুরু করলে এই বাসের ড্রাইভার ক্রাশ খেয়ে গাড়িটাকে রাস্তার পাশের ইলেকট্রিকের পিলারে মেরে নিজে মরবে, আমাদেরও মারবে। তবে আমাদের হয়তো তখন মরার অনুভূতিটুকু থাকবে না। চোখ টেপাটেপি দেখে আমরা এমনিতেই হারিয়ে যাবো দূর দিগ্বলয়ে। আহ, আমরা যখন কিশোর ছিলাম তখন এমন কিশোরীরা কোথায় ছিল? কোথায় ছিল প্রিয়া প্রকাশ?
সেলিম আনোয়ার...
এই বালিকা কি কখনো
দাঁড়িয়েছিল ধরলার তীর ধরে ?
কখনো কি তার খোলাচুল নিয়ে খেলেছিল
ক্লান্ত বিকেলের গন্ধবহ,
আমি যদি মেঘ হতাম তবে-
নিশ্চিত ভিজিয়ে দিতাম বালিকার কমলায় মাখা অধরের দুই ধার।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন...
মাহাথির কখনো এরকম মেয়ের পাল্লায় পড়েননি। তাই তিনি আজ তুন মাহাথির হয়েছেন। আমাদের দেশের ছেলেরা অল্প বয়সেই এমন মেয়েদের দেখে সমস্যায় পড়ছে। এদেশে মাহাথিরের জন্ম নিতে অনেক দেরি আছে।
গড়ল...
এই খুকী। এভাবে তাকাবে না। আমার মেয়ে আছে, কয়দিন পরে সে তোমার চেয়েও লম্বা হয়ে যাবে। যেখানে যাচ্ছ চুপচাপ চলে যাও।
চাঁদগাজী...
এটা কিশোরী? আমি এই পথে এতদিন আসা যাওয়া করেছি, এই পথের সব মেয়ের মুখ আমি চিনি। কিন্তু এই কিশোরীকে কখনো দেখেছি টেকেছি কিনা মনে পড়ে না। চোখ দুটো খুব খারাপ যাচ্ছে, নয়তো এই মেয়েকে দেখার কথা মনে থাকতো। এই মেয়ে কি ব্লগিং টগিং করে? নতুন জেনারেশনের মেয়েরা ব্লগিং এ পিছিয়ে, তারা এগিয়ে এলে জাতি ভালো করতে পারে, আমার বিশ্বাস।
কত আমেরিকান কিশোরীর সাথে ঘটনা মটনা ঘটিয়ে সেগুলা ব্লগে পোস্ট টোস্ট করেছি। এই কিশোরীর সাথে কিছু টিছু ঘটলে ভালো হত, লিখতে টিকতে পারতাম।
রাজীব নূর...
আমার ক্যামেরা কই?
আমার ক্যামেরা নেই। আজ ভুলে ফেলে এসেছি।
মেয়েটা সুন্দর। সুরভী তার মত নয়।
ক্যামেরা থাকলে মেয়েটার ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে দিতাম।
দিনশেষে সুরভীই আমার সব।
মেয়েটা আমার কেউ নয়। কে এই মেয়েটি?
নতুন নকিব...
সুবহানআল্লাহ!
তোমার সৃষ্টি যদি হয় এতো সুন্দর, না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর, কত সুন্দর।
সনেট কবি...
এই মেয়েকে নিয়ে কেউ কি কখনো সনেট লিখেছে? লেখেনি মনে হয়। আমি যদি তার নাম জানতে পারতাম তাহলে আজ নিশ্চিত পনেরো মিনিটে তিনটি সনেট লিখে নতুন রেকর্ড গড়তাম হয়ত।
নিজাম মন্ডল...
এই মেয়ে কি আমাকে চিনে? সে কি জানে আমি যে হিরো?
কি ব্যপার? সে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে কেন? মাঝে মাঝে সামুর জান্টুস আপুরা আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এই মেয়েটা সামুতে থাকলে নিশ্চিত আমি তাকে টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলা দেখিয়ে ছাড়তাম।
পুনশ্চ বলি, এই মেয়ে ব্লগে গেলে শামা আপুর গিনিপিগ বাহিনী হত। আমাকে মোটেই সে ফলো করতো না। তবুও সে যদি ব্লগিং করতো তাহলে কথার ফুলঝুরি আর হিরিদির মত পিচ্চিকে সাইডে সরিয়ে সারাদিন তার পোস্টে কমেন্টের পর কমেন্ট করতাম।
বিজন রয়...
যেখানে আসেনি ভোর যাও সেথা হে বালিকা,
এনে দিও ঊষার পরশ।
যেথা স্বাদহীন জীবনের সব রঙ,
দিও তাতে রংধনুর সজীব আবেশ।
কস্তূরীর ঘ্রাণ দিও অবহেলে এই অসহায় তরে।
কাওসার চৌধুরী...
আমি যখন লন্ডন ছিলাম তখন এমন মেয়ে দেখেছি। কিন্তু ক্যারিয়ারের ক্ষতি হতে পারে জেনে কাউকে পাত্তা দিইনি। আজ পাত্তা দিতে, তাকে নিয়ে অনুবাদ গল্প লেখতে খুব ইচ্ছে হয়, তবে পারছি না। এমবিএ ক্লাস নিয়ে আমি ক্লান্ত। সেই ক্লাসে এমন কোন ছাত্রী নেই। আছে দুই তিন বাচ্চার মায়েরা।
আজ লন্ডন ফিরে যেতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু সম্ভব নয়, স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ।
পদাতিক চৌধুরী...
এই আপু কি হাওড়া যাচ্ছে? নাকি সে বনগাঁও লোকাল ধরবে? জানি না। এই আপুর সাথে কথা বলতে মন চাচ্ছে, কিন্তু সারাজীবন পড়ালেখা করেছি বয়েজ স্কুল কলেজে। যাদবপুর ইউনিতে মেয়েদের সাথে মিশিনি। তাই আজ আমি লাজুক, নয়তো আপুটাকে ধরে জানতে চাইতাম সে কখনো গোয়া সৈকত দেখেছিল কি না।
ব্লগার প্রান্ত...
আরে, এই মেয়েটাও তো মনে হয় আমার মত ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী। দেখে মনে হয় নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছে। কোন কলেজে?
আচ্ছা, এটা কি স্রাঞ্জি সে?
নাহ, স্রাঞ্জি সে তো মাদ্রাসায় পড়ে। এই মেয়ে যদি ব্লগিং করে তাহলে তিনদিনের মাথায় সে সেফ হয়ে যাবে। আর আমি সেফ হতে এগারো মাস সময় লেগেছে।
সিগন্যাস...
জীনেরা মাঝে মাঝে মানুষের বেশে চলাফেরা করে, এটা একদম সত্য। আমি শিউর এই মেয়েটা আসলে মেয়ে নয়। সে একটা মহিলা জীন। কোন মানুষ এতো সুন্দর হতে পারে না।
আমার জীন বিয়ে করতে ইচ্ছে করে।
[ব্লগার ভাইয়াগণ, এটা জাস্ট একটা ফানপোস্ট। প্লিজ এটাকে ফান হিসেবে নিন।]