হোস্টিং ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায় অধিকাংশ কাস্টমার যোগাযোগ করে থাকেন সার্ভার ডাউন মনে করেন বলে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দেখায় এগুলো মিথ্যা। দেখা যায় বিভিন্ন কারণে কাস্টমার তার নিজের সাইটে ঢুকতে পারছেন না। যেমন- কাস্টমার তার সিপ্যানেলে বার বার লগিন করার চেষ্টা করেছেন ভুল তথ্য দিয়ে, তাই সার্ভার ফায়ারওয়াল আইপি ব্লক করে দিয়েছে। তাই উনি সাইট ভিজিট করতে পারছেন না। অথবা দেখা যায় বাংলাদেশে শেয়ার্ড আইপি হওয়ার কারণে অন্য কোন কাস্টমারের কারণেও আপনি সাইট ভিজিট করতে পারছেন না। কারণ অন্য কাস্টমার হয়ত এই আইপি দিয়ে লগিন করার চেষ্টা করেছেন। অথবা আপনার আইএসপি’র ডিএনএস সমস্যার জন্য আপনার সাইট দেখা না যেতে পারে। আপনার আইএসপি’এর সমস্যার জন্য হোস্টিং কোম্পানি দায়ী না। যাই হোক কিভাবে আপনি নিশ্চিত হবেন আপনার সাইট ডাউন কি না-
১) প্রথমে আপনি ইন্টারনেট কানেকশন ডিসকানেক্ট করে চেষ্টা করুন। এতে আপনি ব্লক হয়ে থাকলে ডায়নামিক আইপি হওয়ার কারণ আইপি পরিবর্তন হবে এবং আপনি সাইট দেখতে পারবেন।
২) অন্য আইএসপি’র কানেকশন অথবা প্রক্সি সার্ভার দিয়ে চেক করে দেখুন সাইট ওপেন হয় কি না। অথবা http://www.downforeveryoneorjustme.com/ এই সাইটে আপনার সাইট আপ নাকি ডাউন চেক করুন
৩) তারপর আপনার ইমেইল চেক করুন, দেখুন হোস্টিং কোম্পানি কোন মেইনটেইনেন্স নোটিশ পাঠিয়েছিল কি না। অথবা কোম্পানি’র টুইটার, ফেসবুক পেজ চেক করুন।
৪) তারপরও যদি সাইট ওপেন না হয় তাহলে সাপোর্ট টিকেট পোস্ট করুন অথবা ইমেইল করুন। ফোন থাকলে ফোন করুন। কিন্তু ফোন করেই বলবেন না আপনাদের সার্ভার ডাউন। হোস্টিং কোম্পানির সাপোর্টকে আপনার ডোমেইন নেমটি আগে বলুন তারপর বলুন যে আপনার সাইট আপনি ব্রাউজ করতে পারছেন না। (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কাস্টমার ফোন করে সার্ভার ডাউন বলেই রাগ দেখাচ্ছেন। কিন্তু মনে রাখা উচিত একটা কোম্পানি’র অনেকগুলো সার্ভার থাকতে পারে এবং আপনার ডোমেইন নেম না বললে কোন সার্ভার অথবা ডাউন না কেউ বলতে পারবে না। আর মার্জিত ভাষায় কথা বলুন)
৫) ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করুন আপডেটের জন্য। তারপর মার্জিত ভাষায় আবারো টিকেটে আপডেট জানতে চেয়ে রিপ্লাই দিন অথবা ফোনে আপডেট জিজ্ঞাসা করুন।
কখণো কোন কোম্পানি’র স্টাফদের সাথে রাগান্বিত হয়ে কথা বলবেন না। আর সার্ভার যদি ডাউন হয় তাহলে ৫-১০ মিনিট পর পর ফোন করে অথবা চ্যাটে গিয়ে বার বার জিজ্ঞাসা করবেন না সার্ভার আপ হতে কতক্ষণ লাগবে। কারণ এত ঘন ঘন টিকেট, অথবা ফোন দিলে সার্ভার মেরামত বন্ধ রেখে কাস্টমারদের ফোন অথবা টিকেটের উত্তর দিতে হবে। ফলে মেরামত কাজ বিঘ্নিত হবে এবং ডাউনটাইম বাড়তে থাকবে।