
এই সমাবেশ এর দুইটি দিক রয়েছে।একটি পজেটিভ দিক হলো তরুণরা তাদের আইপট ল্যাপটপ কম্পিউটার ফেলে রাজ পথে এসে দাড়িয়েছে। তারা রাস্তায় দাড়িয়ে প্রতিবাদ করতে শিখলো। এর ফলে হবে কি?
যারা ভবিষতে অনৈতীক কাজ করবে, ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে তরুণরা পথে নামবে।প্রতিবাদ করবে।
নেগেটিভ দিক হলো তরুণদের ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া। যেমন গতকাল যে শপধ তাদের পড়ানো হয়েছে তা সঠিক ছিলনা। হিংসা আর ঘৃর্ণার রাজনীতির সবক ছিল তাতে। বিশেষ করে ইসলামি ব্যাংক এ আক্রমন করা আমারদেশ, সোনার বাংলা ব্লগ দিগন্ত টিভি,ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আওমীলীগের দলীয় বক্তব্যর টাই যেন শপধ পড়ানো হয়েছে।
যা মূল আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক।
সাধারণ জনতা ওই খানে কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতে যায়নি। তারা গিয়েছে রাজাকারদের ফাসির জন্য। তারা যেই রায় কথিত আন্তজাতিক টাইবুনাল দিয়েছে তাতে খুশি না হয়ে প্রতিবাদ করছে।
এর আগেও এরকম অনেক রায়ের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।
প্রতিবাদ করেছিল।
তবে এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন। সরকার যখন তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষে আদালতকে প্রেসার দিচ্ছিলো । তারা পাগল হয়ে যাচ্ছিলো মনের মত রায়ের জন্য। তখন আমারদেশ স্কাইপ স্ক্যান্ডালের নিউজ দিয়ে জনগনের ভেতর বিচারটা কে উলংগ করে দেয়। স্বভাবতই মানুষ ভাবতে ছিল রাজাকারদের ফাসি হবে। কিন্ত সরকার নীল নকশা করে ইউটার্ন দিয়ে বিভান্ত করে।
সরকার সব কিছু দখল করে শেষ পযন্ত এই সাধারণ মানুষের আন্দোলনকেও দখল করার চেষ্টা করেছে। এটা খারাপ দিক।
নিদিলীয় মঞ্চে দলীয় লোকজনের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে ব্লগারদের আন্দোলন আর ব্লগারদের হাতে নেই।
তারা অনেকেই বিভিন্ন বাংলা ব্লগে হতাশা প্রকাশ করে লেখা পোষ্ট করেছে। তাই মনে হচ্ছে এই আন্দোলন শেষ পযন্ত হয়ত মাঠে মারা যাবে। যা চরম হতাশার কথা।