মুসা সাহেব কে নিয়ে শেখ হাসিনা টিটকারী করেছে।
যদিও এটা তার সভ্বাব। প্রধানমন্ত্রী তার পদ-পদবী ভুলে প্রায়ই নানা জনকে নিয়ে এরকম ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করেন।
ক্ষমতা মানুষ কে অহংঙ্কারী করে জানতাম, কিন্তু এতটা করে তা বুঝিনি।
সম্প্রতি শেখ কন্যা এরকম অনেককে নিয়েই উপহাস করে যাচ্ছে। ইউনুস সাহেবকেও অনেক বিদ্রুপ করেছেন তিনি। সংসদে আবু সায়িদ স্যারকে নিয়েও উপহাস হয়েছে। বেগম জিয়াকে নিয়েও প্রধানমন্ত্রী অশ্রিল উপহাস করে ছিলেন।
কিন্তু মনে রাখা দরকার তার ক্ষমতা টা কিন্তু জনগনের থেকেই পাওয়া।
আজ মুসা সাহেব যেই কথা বললেন তাতে প্রমান হল যে রাষ্টে এখন স্বৈরতন্ত্র চলছে।
অথাৎ একটি টিভি চ্যানেল পেতে হলে আপনাকে শুধু মাত্র শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে হবে! সরকারের অনন্য দপ্তর গুলি যেমন
সচিব-মন্ত্রি-অথবা প্রয়োজনীয় অন্যকোন যোগ্যতাই আসলে কাজ করেনা।
হায়রে দেশ!সেলুকাস।
মুসা সাহেব লিখেছেন,
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন—আমি চ্যানেলের জন্য কি টাকা চুরি করব, না করেছি? একটি পাল্টা প্রশ্ন করার স্পর্ধা দেখাচ্ছি! প্রশ্নটি হচ্ছে, তাঁর সরকার যে কয়টি নতুন চ্যানেল প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমার ‘একাত্তর’ নামটিসহ একজনকে দিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কোথায় টাকা পাবেন বা পেয়েছেন? তাঁরা কি চুরি করেছেন, না করবেন? তিনি অবশ্যই জানেন, এসব চ্যানেলে তাঁর সরকারের প্রচুর সমালোচনা করা হয়। শুধু তা-ই নয়, এগুলোর অধিকাংশই সরকারবিরোধী পক্ষের ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
সমালোচনা করা দরকার কিন্তু মুসা সাহেবের মত একজন বুদ্ধিজীবীকে অপমান করাটা একজন সাধারণ ব্লগার হিসেবে মানতে পারিনি। আমি মুসা ভাইকে অনেক ধন্যবাদ দেই তার সাহস আর নীতির জন্য।
আমি জানি একসময় তিনি এই দলের এমপি ছিলেন। তারপরও তিনি দলের সমালোচনা করছেন। কারন হাসিনা সরকার লাইন চ্যুত হয়েছে।
এই সরকার তাদের সকল বন্ধুদের ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে। জানিনা তারা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়।
আমাদের কপালে যে আরো দু:খ আছে, তা নিশ্চিত।