ঢাল নেই তলোয়ার নেই আমি নিধিরাম সরদার ....কথাটি বলে ছিলেন
সুরঞ্জিত সেন বাবু। গত তিন বছর ধরে জাতিকে ওয়াজ নছিয়ত করার কাজে তিনি ছিলেন অগ্রদূত। সকল বিষয়ে তার মুখথেকে বচন ছিল অনিবার্য় । সংবিধান নিয়ে নানান কথা বলে ,বাংলাদেশের সংবিধানকে নিজের হিসেবের খাতার মত কাটাকুটি করে ছিলেন তিনি।
কথায় কথায় তাৎচ্ছিল্য করে খালেদা জিয়া ও তার দলকে উপদেশ দেওয়া এমনকি তিনি হাসিনাকেও কম উপদেশ দেন নাই। কিন্তু কথায় বলেনা যে 'চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন'। তেমনি করে বাবু ও ধরা পড়ল।
সর্বদা মিডিয়ায় সরব এই বাবু কাল যখন এপিএসের টাকাসহ ধরা পড়ার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুললেন তাঁর মুখ থেকে হঠাৎ হাসি হারিয়ে যায়। এপিএস প্রসঙ্গ উঠতেই তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন সুরঞ্জিত ।
মাত্র চারমাস ধরে মন্ত্রী হয়ে তিনি গত তিন বছরের ঝাল উঠাচ্ছেন!
এই ঘটনায় প্রমান হল জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী এমপিরা। তারা দেশকে ৭৪ এর মত তলাবিহিন ঝুড়ি বানানোর পায়তারা করছে।
নিলর্জ্জ মন্ত্রী আবার বলেন ,টাকা নিয়ে চলাফেরা করা ব্যক্তিগত অধিকার, এটি কোনো অপরাধ নয়। ব্যক্তিগত সম্পদ নিয়ে চলার অধিকার সবারই রয়েছে।
কথা হল মন্ত্রীর এপিসের বেতন কত?
৭০লক্ষ টাকাতো দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িও গাড়িতে নিয়ে বাসায় যায়না।
কথায় কথায় হাসিনা বলেন তার মন্ত্রীরা নাকি ধোয়া তুলসি পাতা। অতি কথনপ্রিয় হাসিনা কেন এই ব্যাপারে এখনও বালিকা সুলভ কথা বললো না?
সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবো কিনা, যুদ্ধপরাধীদের বিচার কোন আইনে হবে, ইত্যকার নানা বড় বড় ইস্যুতে সুরঞ্জিত সেনগুপ প্রতিদিন মিডিয়ায় দাঁত বের করে চোখ মুখ ভেংচি দিয়ে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছেন।
মিডিয়ায় দেখলাম সবর্দা তারেক কোকোকে নিয়ে কাটুন এক ব্যঙ্গ করে নানা সংবাদ ছাপানো প্রথমআলো বাবুর এই....কাটার সংবাদটা চেপে গিয়ে নামকাওস্তে ছেপেছেন। আহারে ! ভাদাদের জন্য করুনা হয়। বদমাইসি করে কেউ পার পায়না। তাই ব্লগারদের অনুরোধ করছি আসুন সুরঞ্জিতের ...কাটার ব্যবস্থা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৩৩