ইদানিং স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয় মনে হয় সব কিছু গুবলেট করে ফেলছে।মেডিকেল কলেজ সমূহে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে রেজাল্টের ভিত্তিতে পড়ার সুযোগ এই এক হাস্যকর সিদ্ধান্ত।মেধাবীরা মেডিকেল এ পড়বে এটাই কাম্য।কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় মেধার যাচাই হয়না এটা ঠিক না।কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ন আর প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গিয়ে যদি এই ব্যাবস্থা নেয়া হয় তবে এটা মাথাব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার মতো ??যুগোপযুগী সিদ্ধান্তই??বটে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের আর একটি হটকারি সিদ্ধান্ত এত কষ্ট করে ডাক্তার হবার পর পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন এ বাধা প্রদান বা তাদের ভাষায় লাগাম টেনে ধরা।
প্রেষণ নীতিমালা ২০১২ করে চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন এখন অনেক শর্তের শৃংখলে আবদ্ধ।
সবচেয়ে মজার এবং উদ্ভট ব্যাপার হলো এবার কিছু কোর্সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এপ্রিল মাসে,আর তাদের নীতিমালা ঠিক হয়েছে মে মাসে কিন্তু সেই চিকিৎসকদেরকেও এই নতুন নিয়মের গর্তে ফেলে দিয়েছে যার ফলে বিভিন্ন উচ্চতর কোর্সে স্বপ্নের ভর্তির সুযোগ পাবার পরও তারা সেই কোর্সে আর ভর্তি হতে পারছেনা।
তাই যারা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য যাদের মন খারাপ হচ্ছে তারা মন কারাপ করবেননা।এতো কেবল শুরু।ডাক্তার হবার পর আপনার মন খারাপের অনেক রকম ব্যাবস্থাই উনারা করে রেখেছেন।
কেউ কেউ সারা জীবন এম বি বি এস থাকবেন কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে গেলেই নানা রকম শৃংখলের দাসত্ব বরণ করতে হবে।
এটাই দেশের সোনার ছেলেদের লোহার নিয়তি।