ডঃ করিম(ছদ্দ নাম) একজন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সরকারী চাকুরীজীবি।সারাদিন তার কাটে কম্পিউটারে বসে।ডাটা অ্যানালাইসিস করা সুক্ষ ভাবে বিচার বিশ্লেষন করা রিপোর্ট তৈরী করা ইত্যাদি বিষয়েই তার কাজ।দেশে বিদেশেও তার প্রচুর সময় ব্যায় করতে হয়।উচ্চ শিক্ষাও গ্রহন করেছেন বিদেশ হতে। বয়স ও নেহায়েত কম হয়নি। ৫০ বছর পার করেছেন ।উনি যদি কলম দিয়ে কিছু লিখতে যান তবে তার হাত এমনই কাঁপে যে নিজের পুরো নাম লিখতেই ২-৩ মিনিট সময় ব্যায় হয়ে যায়।শুধু তাই নয় অক্ষর গুলোও আকা-বাকা ,ছোটবড় অর্থাৎ নিজের লেখার ওপর কন্ট্রোল নেই।
মুল কথায় আসি এই ভদ্রলোকের যা হয়েছে তা এক ধরনের রোগ যা অতিরিক্ত কি-বোর্ড ব্যাবহারের কারণে হয়েছে।
আমরা সবাই এখন কম্পিউটার ব্যবহারে অভ্যস্ত।পেশাগত কারনে ,সময় কাটানোর জন্য এছাড়াও ফেইসবুক,টুইটার বা ব্লগিং এ অনেকক্ষন ধরে ডুবে থাকি।কিন্তু আমরা কি আমদের শারীরিক সাবধানতা বা সম্ভব্য ক্ষতিসমূহ সম্পর্কে কতটুকু জানি।কম্পিউটার আমরা অবশ্যই ব্যাবহার করব তবে সাবধানতা মেনে চলে।
কিছু অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যাবহার কারার কারনে কিছু রোগ সৃষ্টি হতে পারে যেমনঃঃ-
চোখের সমস্যাঃ অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যাবহার করার কারণে অনেকক্ষণ ধরে মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এতে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে চোখের পলক অনেক কম নড়াচড়া করে। এতে চোখ শুস্ক হয়ে যায়। একে ড্রাই আই সিনড্রোম বলে। চোখ ব্যাথা,মাথা ঝিমঝিম করা,চোখ লাল হয়ে যাওয়া,মাথা ব্যাথা,চোখে ঝাপ্সা দেখা ইত্যাদি হতে পারে।
এছাড়াও সব চেয়ে বড় যে সমস্যা হতে পারে তা হল গ্লুকোমা নামের এক রোগ যা চোখের রক্তচাপ বৃদ্ধিতে হয়। ফলস্বরূপ ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে অন্ধত্ব এর দিকে ধাবিত হতে পারে।
হাত ও কব্জির সমস্যাঃ অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার ব্যাবহার করলে হাত এর আংগুল ও কবজি ব্যাথা করে। এই সমস্যা থাকলে কার্পাল-টানেল সিনড্রোম নামের রোগ হয় যাতে শুধু আংগুল বা কবজি নয় পুরো হাতের ব্যাথা হয় যা আপনাকে কিছুতেই শান্তি দিবেনা।
কম্পিউটার ব্যাবহারের সময় যদি আপনার আসনটি ঠিক না হয় বা বসার পজিশন ঠিক না থাকে তবে শিরদাড়া বা মেরুদন্ডের ব্যাথায় কাতর থাকতে হবে সারাক্ষন । তাই বসার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।