ব্লগার নোমান ভাইয়ের সাথে কথা ছিলো, বিকেল ৪.০০ টায় মেগাসিটি বাস কাউন্টারে দেখা হবে। তারপর দুজনে যাত্রা করবো। কিন্তু, মর্মান্তিক ঘুমে বিভোর এই আমাকে নোমান ভাই ৪.১০ এ ঘুম থেকে তুলেন,ফোন করে। কি সর্বনাশ! আধা ঘন্টা সময় চেয়ে নিলাম। পড়িমড়ি করে ছুটলাম। এর মাঝে নোমান ভাইয়ের ঝাড়ি অব্যাহত রইলো। বাস কাউন্টারে পৌছে দেখি উনি নিজেই নাই! চান্সে পালটা ঝাড়ি দেবার চেষ্টা করলাম। খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না। দুজনে বাসে চেপে পৌছে গেলাম শাহবাগ! পথে সহচর ভাই কল দিয়ে নোমান ভাইকে ঝাড়ি দেন,আর নোমান ভাই আমার নাম বলেন! আর আমি হাসি। নেমেই দেখি সহচর ভাই,তার ট্রেডমার্ক জাগোফাইডের টি-শার্ট পরিয়া ছুটিয়া আসিলেন এবং মর্মাহত হইলেন। নোমান ভাই উনাকে চিনিতে পারেন নাই! আমি কিন্তু ঠিকই চিনেছি। তার সাথে চিলেন ইসতিয়াক আহমেদ চয়ন ভাই! কিছু মানুষকে দেখলে বুঝা যায়না, তাদের গুপ্ত একটা লেজ আছে। যেই লেজ কী-বোর্ড হাতে নিলে বের হয়ে পড়ে। দারুন সব বান্দরামীর মাধ্যমে জনগুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য পাঠকদের মাঝে বিলিয়ে দেন। চয়ন ভাই, তেমন।
চারজনা মিলে একে একে বাকিদের সাথে আড্ডায় জমে গেলাম। ভেতরে তখন ব্যাপক জ্ঞান বিতরন চলছিলো। আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাইরে আমাদের আড্ডা চলছিলো সেখানে কে নেই! জিসান ভাই, হেলাল ভাই (এই দুজনকে বিভিন্ন পোষ্টে ভাই ডেকে ফেলেছিলাম ভুলে। কালকে উনাদের দেখে শুধরে নিতে চেয়েছি।কিন্তু প্রানবন্ত মানুষদের বয়স বাড়েনা। তাই ভাই থাকুক।) আবদুল্লাহ আল মনসুর ভাই (ব্লগের গুরুজনদের একজন,ভালোলাগার একজন),সহচর(ভীষন আড্ডাবাজ!),নোমান নমি(আড্ডাবাজ।কিন্তু ভাগলেন আগেই! সুতোয় টান পড়েছে জ্যা!),ইসতিয়াক আহমেদ চয়ন(চুপচাপ চারিপাশ,আর সুন্দর হাসি!), রাষ্ট্রপ্রধান (আমাকে বলেছিলেন, ক্যামেরায় ফিল্ম নাই। পরে দেখি অনেক ছবি তুললেন। ব্লগে সেগুলোর কোন খোঁজ মিলেনাই। আসলেই ফিল্ম ছিলো!), সুপান্থ সুরাহী ভাই(প্রো-পিকের মানুষটাকে খুঁজে পাবেন না), আরজুপনি আপু(প্রামবন্ত এক মহিলা,সারাক্ষন নিশাতের সাথে ফিসফিস করে কাটিয়েছেন),নিশাত(রেডিও আহার এই আরজে আরজুপনির সাথে ফিসফিস করে সময় পার করেছেন।কি কথা তাহার সাথে!), নষ্ট কবি (যাকে খাওয়ান খাওয়ান বলে বারবার বিভ্রান্ত করেছি।কিন্তু লাভ হয়নি।),শিপু ভাই (উনার কথা কিছুই বলার নেই। নিজের মাঝে একজন শিশুকে লালন করেন), আরিফ রায়হান মাহি (আপনার পোষ্টটাতে এখনও যাওয়া হয়নি), নাইম আহমেদ(এই শয়তানটা বিশেষ দিনে কাজ রাখলো! শপিং করে বিশাল একটা ব্যাগ বয়ে তবু এলো! তার চায়না শুভ হোক। একখান চাইনিজ মুবাইলের আবেদন করিলাম),অসামাজিক০০৭০০৭(আপনাকে কে অসামাজিক বলে!)আর.এইচ.সুমন(চলে গেলনতো,খাওয়া মিস করলেন),মুখপোড়া(আপনি ভাবুক!), ছোটমির্জা(ডেষ্টিনির ব্রান্ড আম্বেসেডর), আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়(মুগ্ধ নয়নে সবাইকে দেখছিলেন!),অস্তমিত গন্তব্য(ব্যাস্ত!), তন্ময় ফেরদৌস(কথা কম বলেন?), ফয়সাল তূর্য( উনাকে ভালো শ্রোতা মনে হলো! আমার কিছু কবিতা উনাকে শোনানোর ইচ্ছা রাখি), সাকিন উল আলম ইভান (চুপিচুপি আড্ডায়! সিলেট থেকে আসা পরিচিতজনের মধ্যে একমাত্র), অণুজীব( রম্য লিখকেরা এতো লাজুক হওন ভালানা),রেজওয়ান মাহবুব তানিম(কবিতার ভবিষ্যত নিয়ে উনাকে খুব চিন্তিত মনে হলো)।
আরো অনেকে ছিলেন। একজনের নাম কিন্তু বলিনাই, এখন বলবো। সে হইলো, আশকারি রহমান ওরফে আশাকরি রহমান! এই পিচ্ছিটা ব্লগিং করে! এর ব্লগিং দেখে ভাববেন,বুড়া কেউ! ছুইট একটা ছুড ভাই পেলাম!
এবার কিছু কঠিন কথা বলি। ব্লগ ডে কাদের জন্য ছিলো? বক্তাদের জন্য? স্কুলের বাচ্চাদের অনুষ্ঠানের সাথে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি, কালকের অনুষ্ঠানের সব কেমন যেনো মেকি মেকি! বাইরের আড্ডাটা না দিয়ে ভুলে যদি ভেতরে গিয়ে বসতাম! আগামী কয়েকদিন মেজাজের লাগাম কে ধরতো! শেষকালে সেরা ব্লগার নির্বাচনের পালা! যাদের নাম ঘোষনা করা হলো, তাদের অনেকেই অযোগ্য। কিছু ব্লগারের সন্মাননা সমর্থন করি। অধিকাংশই আপত্তিজনক।
পারভেজ আলম,হাসান মাহবুব এর মতো ব্লগারদের বাদ দিয়ে আসিফ মহিউদ্দিনদের পুরষ্কৃত করা স্বাধীন ব্লগিংকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।