মাঝে মাঝে মনে হয় এই চার দেয়ালের মাঝে আর নয়, বাইরে বের হতে চাই। পরিভ্রমন করতে চাই সমগ্র বিশ্ব। যেতে চাই দেশের নদীর পাড়ের সেই নীরব স্থানে, যেখানে মাঝির সুরে ভাঙে নিরবতা, সময় কাটাতে চাই সেই ইউরোপের জিপসিদের সাথে, বেহালা হাতে যারা অসাধারন সুর তোলে কিংবা মঙ্গোলিয়ার সেই মরুভূমিতে শুনতে চাই একাকী মেষপালকের গুনগুন করে গেয়ে ওঠা সেই গান। কিন্তু ঘোড় কেটে গেলে মনে হয়, যেখানের আমি সেখানেই আছি, কানে হেডফোন, চোখের সামনে কম্পিউটার আর অবিন্যস্ত মন নিয়ে।
আজ আরও কিছু গান শেয়ার করব আপনাদের সাথে। প্রথমেই হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া আর শীব কুমার শর্মা-র 'ওয়াকিং ইন দ্যা রেইন'। কখনোও আপনার ভালোবাসার সাথে ইলশে গুড়ি বৃষ্টির মাঝে হাতে হাত ধরে হেটেছেন? আর আইপড টাচে বাজতে থাকবে সুরটি... (বিদ্রঃ আমি হাটিনি , পুওর মি)
কখনো কি নিজেকে এস্কেপিস্ট হতে মন চেয়েছে? আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে, সবকিছু ছেড়ে জিপসিদের মতন পথে পথে ঘুরতে। কিন্তু এটাও জানি, রুঢ় বাস্তবতা কখনোই তা হতে দেবে না। জিপসি জীবনের ওপর ভালোবাসার জন্যই গানটি আপলোড করেছিলাম ইউটিউবে, 'জিপসী কিংস' এর 'ত্রিস্তা পেনা'
মারিয়া সেসতিকের একটা গান শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু হৃদয় বিষন্ন করা গানটি আবার দিতে ইচ্ছে করল। গানটির নাম 'রিভার উইদাউট আ নেইম' এবার অবশ্য গানটিতে ইংরেজি অর্থ যোগ করেছি, কারন গানটি বসনিয়ান রোমা ভাষায় (একটা অদ্ভুত ব্যাপার জানেন? সার্বো-বসনিয়ান সেই রোমা ভাষার সাথে আমাদের বাংলা অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষার অদ্ভুত মিল, কুস্তুরিকার 'ব্ল্যাক ক্যাট এন্ড হোয়াইট ক্যাট' ম্যুভিটা দেখার সময় খেয়াল করেছি)।
চায়নার এক গিটারিস্ট 'আরকেন আবদুল্লাহ'-র একটা সুর খুব ভালো লাগে। 'দ্যা কেইভ অফ এ্যা থাউজেন্ড বুদ্ধাস' নামে। ইসলাম প্রচারের আগে চায়নার ওই উইঘুর জাতীগোষ্টির ধর্ম ছিলো শামানবাদ আর বৌদ্ধ। আর সেটা নিয়েই তার সুরটি। (বাংলাদেশের এক শিল্পীর সাথে তার পোষাক আর স্টাইলের মিল পেলাম, নাকি ব্যাপারটা কাকতালিয়!)
বুদ্ধা বারের এই সুরটিও আমার কাছে অসাধারন লাগে। নাম 'লাভ সিক্রেট' শিল্পীর নামটা আমি জানিনা, জানতে অবশ্য চেষ্টাও করিনি, কিছু বিষয় না হয় অন্তরালেই থাক, গুগলকে এত্ত কষ্ট দিয়ে লাভ নেই ...
পরের পর্বে আরও কিছু পছন্দের শিল্পীর গান শেয়ার করব, আপাতত এপর্যন্তই থাক। আশা করি উপভোগ করবেন সুরগুলো।
ইউটিউবে আমার পছন্দের কিছু সুর, সারাদিন বসে বসে যেগুলো শুনি-১