আমার দেখা কিছু সেরা মুভি আজ শেয়ার করব আপনাদের সাথে। হলিউডের মুভি গুলোকে মূলত আমার বানিজ্যিক ধরনের বলে মনে হয়। আর একারনে বেশীরভাগ হলিউডি মুভিগুলো আমার কাছে একঘেয়ে লাগে। কিন্তু নন-হলিউডি মুভি গুলোর একটি উল্লেখ যোগ্য দিক হচ্ছে স্ক্রিপরাইটিং থেকে শুরু করে প্রযোজনা, পরিচালনা করেন একই ব্যক্তি, এর ফলে তিনি তার চিন্তাধারার সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটাতে পারেন যা কিনা কমার্শিয়াল হলিউডের মুভি গুলো-তে হয়ে ওঠেনা।
১। ওল্ড বয় (২০০৩) : দক্ষিন কোরিয়ান নিও নয়ের ম্যুভি। প্রথম দর্শনে মুভিটার অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি, কিন্তু শেষ হয়েছে ডিরেক্টর পার্ক চ্যানউক এর অসাধারন হাতের কাজ দিয়ে। ১৫ বছর আবদ্ধ একটি লোকের সাইকোলজি, প্রতিশোধের স্পৃহা, যৌনাকাঙ্খা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। একটা ডাইলেমা থেকে যায় শেষ পর্যন্ত, কে কার প্রতি প্রতিশোধ নিলো? ভিভালদি আর চপিনের সুরে মোহগ্রস্থ ম্যুভিটি দেখতে ভূলবেন না।
দেখার লিঙ্ক
টরেন্ট লিঙ্ক
২। ব্লাইন্ড চান্স (প্রেযিপাদেইক১৯৮১/১৯৮৭): পোলিশ ডিরেক্টর ক্রিস্তভ কাইস্লোওয়াস্কির এর অসাধারন সৃষ্টি। কমিউনিস্ট শাসনামলে পোল্যান্ডের এক যুবককে নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। জীবনের খুব ক্ষুদ্র কিছু ভুল ভবিষ্যতে বিশালাঙ্কের পরিবর্তন ধটিয়ে দিতে পারে দেখানো হয়েছে এই ম্যুভিতে।
ডাউনলোড লিঙ্ক
টরেন্ট লিঙ্ক
৩। ডাস ওয়াইল্ড লেবেন (এইট মাইলস হাই ২০০৭): ষাট থেকে সত্তরের দশকের এক জার্মান মডেলের জীবনে ঘটে যাওয়া গল্পগুলো নিয়ে যেন গড়ে ওঠা এক রুপকথা। লি হ্যাজেলুডের বিখ্যাত 'সামার ওয়াইন' গানটি পাবেন এখানে। আর মাঝে ভারতেও এক ঝলক ভ্রমন হয়ে যাবে। সে সময়ে জার্মান ছাত্র আন্দোলন হিপ্পি কালচার সবকিছু পাবেন ম্যুভিটিতে।
ডাউনলোড লিঙ্ক
টরেন্ট লিঙ্ক
৪।লাইফ ইজ এ মিরাকল (জিভট ই্যয় কুডো ২০০৪) বসনিয়ার যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত সার্বিয়ান পরিচালক এমির কুস্তুরিকার ম্যুভি। কুস্তুরিকা মুলত স্যুরিয়্যালিস্টিক ম্যুভি বানাতে পছন্দ করে। আন্ডারগ্রাউন্ড , টাইম অফ দ্যা জিপসীস ম্যুভি গুলোর স্রষ্ঠা এই কুস্তুরিকা। যুদ্ধের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা, আশা, স্বপ্ন সবগুলোর অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন কুস্তুরিকা এই ম্যুভিতে। আর সঙ্গিত পরিচালক গোরান ব্রেগোভিচ আমার অলটাইম ফেভারিট।
টরেন্ট লিঙ্ক
৫। রেড ক্লিফ ১/২ (২০০৮): আমার দেখ সেরা মেইনল্যান্ডের চায়নিজ ম্যুভি গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা ছবি। চায়না তখন তিন ভাগে বিভক্ত ছিলো। ম্যুভিটিতে দেখানো হয়েছে একজন চ্যান্সেলরের উগ্রতা, স্ট্র্যাটেজিশিয়ানের বিচক্ষনতা, যোদ্ধার বীরত্ব ও নারীর প্রেমময়তা। আর সাথে আছে আমার প্রিয় তিব্বতীয় শিল্পী আলানের সুর।
দেখার লিঙ্ক
টরেন্ট লিঙ্ক
আজ এ পর্যন্তই থাক। আগামীতে আরও কিছু ম্যুভি সম্পর্কে আলোচনা করব।
সাবটাইটেল নামানোর জন্য এই সাইটে যেতে পারেন।