ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পর্ব-১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পর্ব-২
@ ঢাকায় ঝগড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ। বৃদ্ধা নিহত আহত ১০
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রলারের সংঘর্ষ, ২১ জনের লাশ উদ্ধার
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারো 'ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা' সংঘর্ষ, আহত ৫
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ঘর জামাই' ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ, ২৬ জন হাসপাতালে
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ফেসবুক পোস্ট' নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশ মোতায়ন
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ঘরজামাই' ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৬
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন ভেঙে আবারও সংঘর্ষ, আহত ২০
'@ ময়লা পানি' নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ!
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৫
@ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
@ ‘ময়লা পানি’ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ!
উপরের সংবাদগুলো সম্প্রতি বিভিন্ন দৈনিক পত্র্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম যা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। গত ৫ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত গণপিটুনি, থানা লুট, টেটা যুদ্ধ, ইসলামি উগ্রপন্থি রাজনৈতিক সহিংসতা, হিন্দু মন্দির আক্রমন, করোনাকালে লকডাউন অমান্য করে লাখো মানুষের জানাজা আয়োজন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে সংঘর্ষ, কোপা আমেরিকার ফুটবল ম্যাচের ফাইনাল খেলায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানিসহ নানান ‘তুচ্ছ’ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’-এ (ফেসবুক ও ইউটিউবে) ‘ট্রল কনটেন্ট’ এর আধারে পরিণত হয়েছে। সামান্য ঘটনা থেকে জাতীয় অনেক ইস্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতি সংঘর্ষে। আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানো রীতিমতো ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। পান থেকে চুন খসে পড়লেই দা, লাঠি, টেঁটা, ফলা ও বল্লমের মতো দেশীয় মারণাস্ত্র নিয়ে সঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। যুগ যুগ ধরে চলা এসব গ্রাম্য সংঘর্ষে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সংঘর্ষ-সংঘাতের আরেক নাম। মুহূর্তে মুহূর্তে সরাইলের জনপথ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় এই সংঘর্ষ। বছরের পর বছর চলতে থাকা এই সংঘাত যেন এখন তাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কারো হাত ঢাল-সুড়কি, কারো হাতে টেঁটা-বল্লম, কারো হাতে দেশীয় অস্ত্র, কারো হাতে গুলতি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের প্রতি ধেয়ে যায়। ইট, কাটা মুলি বাঁশ, তীর-ধনুকও ব্যবহার হয় এখানে। নারীরাও মরিচের গুড়া সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে।' মৃত্যু এখানে দুধভাত। মনুষ্যত্ব এখানে দুর্লভ। আধিপত্য বিস্তার, ফল পাড়া, খড় শুকাতে দেওয়া, জায়গা নিয়ে বিরোধ, রান্নার ধোয়া অন্য বাড়িতে যাওয়া, পূর্ব শত্রুতা, সিডি-ক্যাসেট বাকিতে না দেওয়া, কানের দুল চুরি, নারী ও প্রেমঘটিত ঘটনার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে নিজেদের পেশিশক্তি দেখানোর জন্য গ্রামের সর্দাররা দাঙ্গা লাগিয়ে রাখেন। এলাকায় যার আধিপত্য থাকে তিনি আর্থিকসহ নানা সুবিধা ভোগ করেন। এর ফলে ছোট-খাটো ঘটনাগুলোকে সংঘর্ষে রূপ দেন ওই গ্রাম্য সর্দার-মাতব্বররা। প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। আর মামলা চালানোর জন্য আসামিদের কাছ থেকে তোলা হয় চাঁদা। এই চাঁদার বেশিরভাগ টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকান সর্দাররা। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা অসহিষ্ণু জেলা হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কারণ জনগণের মধ্যে বছরের পর বছর কুসংস্কার, সংকীর্ণতা, নির্বুদ্ধিতা, কপটতা, অহমিকার চর্চাই বেশি হয়েছে। প্রশ্ন জাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি সত্যিই ভয়ের জনপদ?
(ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১, ট্রেন ও যান চলাচল বন্ধ)
'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে এখানে ঘটেছিলো রক্তারক্তির ঘটনা। শুরুটা গত ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন হলেও তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে পরদিন ২৭শে মার্চ থেকে। ২৬শে মার্চ কোনো কর্মসূচি ছিল না হেফাজতে ইসলামের। ওইদিন বিকালে হঠাৎ করেই বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত ‘জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ থেকে একটি মিছিল বের হয়। আরো একটি মিছিল বের হয় ভাদুঘরের ‘জামিয়া সিরাজীয়া দারুল উলুম’ থেকে। তারপর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই দুটি মিছিলে নানা পেশার লোকজন অংশ নেন। মিছিলকারীরা কাউতলী মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। ফিরে যেতে অনুরোধ করে। এসময় বাধা উপেক্ষা করেই সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
গত ৩১ মার্চ জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ নিয়ে ওইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় ভূইশ্বর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মলাই মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাস্তার পাশে দল বেঁধে সংঘর্ষে অংশ নেন দুই পক্ষের কয়েকশ লোক।
গত ১ এপ্রিল লুডু খেলা নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামে ঘটে তুলকালাম কাণ্ড। কয়েকজন কিশোরকে স্মার্টফোনে লুডু খেলতে নিষেধ করলে তা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাধে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ। গ্রামের জামাল গোষ্ঠী ও রাব্বানী গোষ্ঠীর কয়েকশ লোক জড়িয়ে পড়েন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে আহত হন অন্তত অর্ধশত মানুষ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ওই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফকিরদিয়া গ্রামে কিশোররা ক্রিকেট খেলতে চাইলে করোনাভাইরাসের কথা বলে স্থানীয় কয়েকজন তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে কিশোরদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত ১ এপ্রিল সকালে ফকিরদিয়া গ্রামের মুন্সিবাড়ির শাহ হোসেনের লোকজন ও সরকার বাড়ির আলমগীর মিয়ার লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। দুই ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ঘর-বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
এরপর ৪ এপ্রিল সকালে জেলার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে জমিতে মাটি কাটা নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তানভীর (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
একই দিনে মার্বেল খেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের ভাদুঘর দক্ষিণপাড়ায় শিশুদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়। শিশুরা সেই ঝগড়ার কথা বাড়িতে জানানোর পর সেটি রূপ নেয় গোষ্ঠীগত সংঘর্ষে। ওইদিন সন্ধ্যায় মোল্লাবাড়ি ও শেখবাড়ি গোষ্ঠীর লোকজনদের ওই সংঘর্ষে চোখ হারান মোজাহিদ নামে এক তরুণ। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১৫ জন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৫ এপ্রিল সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ও বড়উছড়া গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গান গাওয়ার জেরে ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১২ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের এক সমর্থককের পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে আরেক পক্ষ। সেই মিছিল থেকে দেয়া হয় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৩০ জন। এছাড়া উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামে বুধবার রাতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ২৬ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ও ভর্তি হন। এলাকাবাসী ও সংঘর্ষে আহতদের সূত্রে জানা গেছে, আটলা গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া বুধবার দুপুরে একই এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে খুরশিদ মিয়াকে ‘ঘর জামাই’ বলে ডাক দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার হাজি মার্কেটের সামনে খুরশিদ মিয়াকে মারধর করেন সোহাগ মিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে বাজারে থাকা লোকজন সোহাগ ও খুরশিদ মিয়ার বিষয়টি নিষ্পতি করে দেন। পরে রাতের বেলা উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
৮ সেপ্টেম্বর,ফেসবুক পোস্ট' নিয়ে সংঘর্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আলাকপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এক মাস আগে ঢাকায় ঘটে যাওয়া তিন ব্যক্তির ঝগড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় আয়েশা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। পরে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাতেও সংঘর্ষ হয়ে থাকে তবে যত দোষ সব নন্দ ঘোষ নামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপানো। আবার অনেকের মতে, সব দোষ ঘুরে-ফিরে একজনের ওপর দেয়া। এ নন্দ ঘোষটা কে? কিংবা কেন তার ঘাড়ের ওপর সব দোষ পড়ে? হিন্দু ধর্মানুসারীদের আরাধ্য বিশিষ্ট দেবতা কৃষ্ণকে ঘিরে। বাসুদেব কংসের হাত থেকে নিজের অষ্টম পুত্র কৃষ্ণকে রক্ষা করার জন্য বৃন্দাবনের ঘোষপল্লীতে নন্দ ঘোষের বাড়িতে রেখে আসেন বাসুদেব। নন্দ ঘোষ কৃষ্ণকে পুত্রস্নেহে পালন করেন। নন্দ পত্নী যশোদাও খুব স্নেহ করতেন। কৃষ্ণ ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব দুরন্ত ছিলেন। কখনো লোকের বাড়ি থেকে মাখন-ননী চুরি করে খেয়ে নিচ্ছে, কিংবা হয়তো সরোবরে স্নান করতে নামা নারীদের পোশাক লুকিয়ে ফেলছে। এভাবে তো বৃন্দাবনবাসীর ঘুম হারাম করে দিচ্ছিল ছোট্ট নন্দলাল। তাই গ্রামের সবাই এসে নন্দ ঘোষের কাছে নালিশ জানাতো। বিচারের বদলে কৃষ্ণকে আদর করতেন তিনি। তখন সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ত নন্দ ঘোষের উপর। বৃন্দাবনবাসী মনে করলো, এই নন্দ ঘোষের প্রশ্রয় পেয়েই এত বাড় বেড়েছে কৃষ্ণের। ঘোষ মশাইও অম্লান বদনে মাথা পেতে নিতেন সমস্ত দোষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়াও অবলীলায় মাথা পেতে নিচ্ছে সব সংঘর্ষের দোষ।
লেখাটি দম্পাদনা করতে ৫টি পত্রিকার সাহায্য নেয়া হয়েছে।
সম্পাদনায়ঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
[.facebook.com/nurmohammad.bali|ফেসবুক-১] ফেসবুক-২
[email protected]
সূত্রঃ ১। অপরাজেয় বাংলা (রাজীব নন্দী) ২। খোলা কাগজ অনলন সংস্করণ, ৩। দৈনিক আগামির সময় অনলন সংস্করণ, ৪। সিলেট রিপোট'(এর সূত্র মানব জমিন) ৫। জাগো নিউজ২৪.কম, অনলাইন সংস্করণ/আরএআর/এমকেএইচ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২২ রাত ৯:২৭