১৬ই ডিসেম্বর, স্বাধীনতা অর্জনের অহংবোধের উজ্জ্বলতায় উৎকীর্ণ অনিন্দ্যসুন্দর একটি দিন। একরাশ সোনালি স্বপ্ন হৃদয়ে ধারণের দিন আজ। এখন থেকে ৪৬ বছর আগে আমরা স্বাধীন হয়েছি। অর্থাৎ জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশ স্থাপিত হয়েছে। অপরিমেয় রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে। একটা জিনিস লক্ষণীয়, আমরা যদি বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, শত শত বছর আমরা বহিরাগতদের দ্বারা শাসিত, শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছি। তুর্কি,পাঠান, মোগল পরবর্তীতে ইংরেজ এবং সব শেষ পাকিস্তানিদের দ্বারা আমরা শাসিত ও শোষিত হয়েছি। এদের আগেও আমরা শোষিত হয়েছিলাম। সুতরাং বলা যেতে পারে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে আমরা যে স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করেছে সেটি আমরা আমাদের শত শত বছরের পরাধীনতার অবসান। আমাদের এই স্বাধীনতা লাভ সম্ভবপর হয়েছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সাহসিকতার কারণে। সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর সরকারের যারা নেতা ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান তাদের কথাও স্মরণ করতে হয়। যাদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বাঙালি জাতির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। বাঙালির কাছে বিজয় দিবস শুধু উৎসবের নয়, স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার শপথেরও দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মুখ ফিরিয়ে আগামীতে সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়ার যাত্রা শুরুর দিনও এটি। আজ থেকে ৪৬ বছর আগে এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এদেশের আপামর জনতা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদিন বিজয় লাভ করে। পরাজিত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। জন্ম হয় নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে সর্বোচ্চ অর্জনের দিন ৪৬তম মহান বিজয় দিবস আজ। ১৬ ডিসেম্বর মানেই স্বাধীনতা স্বাদ পাওয়া মুক্ত পাখি। বিজয়ের নিশান উড়ানো দুরন্ত বালক। তবে সেই বিদ্রোহী বালক আজ ৪৭ বছরে পর্দাপণ করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে সমুখপানে। মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদায় সমাসীন আমরা। উন্নয়ন, শান্তি-সমৃদ্ধি, শিক্ষা ও মননে বাংলাদেশ আজ ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের বহু দেশকে। আগামীতে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার টাইগার। এটাই বিজয় দিবসের সবচেয়ে বড় অর্জন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমোঘ নির্দেশে যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। গত ৪৬ বছর ধরে এদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রতিটি মানুষ পরম শ্রদ্ধা আর মমতায় পালন করে আসছে এ দিনটি। যতদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন এ দিনটি পালন করা হবে এমনি মহিমায়। আজ লাল-সবুজের পতাকায় ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। আকাশে বাতাসে পতপত করে উড়বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তির পতাকা। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারাদেশে স্মৃতির মিনার উপচে পড়বে ফুলে ফুলে। বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত। মুক্তিকামী বাঙালি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে একাত্তরের বীরসন্তানদের যাদের তাজা রক্তে মুক্ত হয়েছে এদেশ। হৃদয় উজাড় করে তারা গাইবে ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে/বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা/ আমরা তোমাদের ভুলব না। ১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারাদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। পৌষের রাতের শীত আর কুয়াশাকে তুচ্ছজ্ঞান করে লাখ মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে তাদের প্রাণের অর্ঘ্য নিবেদন করে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়া সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। মুক্তিকামী বাঙালি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে একাত্তরের বীরসন্তানদের যাদের তাজা রক্তে মুক্ত হয়েছে এদেশ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এ উচ্চারণ করে বঙ্গবন্ধু যে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন সেই লক্ষ্যে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অর্জনের প্রত্যয়ে এদেশের দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে মাতৃভূমিকে দখলদারমুক্ত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল বিজয়ের এদিনে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালির স্বনির্মিত ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, এ বিজয়।
হাজার বছর ধরে শৃংখলিত বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধুই প্রথম ঘুম জাগানিয়া গান শুনিয়ে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। সুদীর্ঘ দু’যুগের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাহেন্দ্রক্ষণে ১৯৭১-এর অগ্নিঝরা মার্চে শুনিয়েছিলেন মুক্তির অবিনাশী গান। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ’৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে হানাদারদের প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। স্বাধীনতার ঘোষণায় দুর্বার প্রতিরোধে জেগে ওঠে বাংলাদেশ। শুরু হয় জনযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস নির্বিচারে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘন করে চলে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাদের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে মদদ দেয় এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার সন্তান। তারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস গঠন করে নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চালায়। জামায়াতে ইসলামীসহ অপরাপর মৌলবাদী রাজনৈতিক দল দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
অন্যদিকে স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। তবে তার নির্দেশিত পথ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ নেয় বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকার। মুজিবনগর সরকার হিসেবে পরিচিত এই প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শেষে ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৯৩ হাজার সৈনিক। যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস এদেশবাসীকে হত্যা করেছে, অসহায় মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে এক রাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে বীর বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতিকে করেছে গৌরবোজ্জ্বল, দিয়েছে সার্বভৌম্য ভূখণ্ড।
অস্থায়ী সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে এসে ডিসেম্বরের গোড়ায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠন করা হয় যৌথ কমান্ড। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি যৌথবাহিনীর হাতে মার খেয়ে একে একে পিছু হটতে থাকে দখলদার পাকিস্তান বাহিনী। চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় পতাকা উড়িয়ে ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অর্জিত হয় বাঙ্গালীর স্বাধীনতা, হানাদার মুক্ত হয় প্রিয় বাংলাদেশ। সেদিন মানুষ বিজয়ের আনন্দে উত্তেলিত ক্ষণে ক্ষণে, পরক্ষণেই স্বজন হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। চারিদিকে হাহাকার ও কান্নার শব্দে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। কিন্তু দৃঢ়চেতা বাঙালি সব মুখ বুঝে সহ্য করে যায়। মনের ভিতর লুকিয়ে রেখে সামনে পা বাড়ায়। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও চড়াই-উতরাই চার দশক পর একাত্তরের ঘাতকদের বিচার হয়েছে। মিরপুরের কসাই নামে পরিচিত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ফাঁসির রশিতে ঝুলতে হয়েছে বদর নেতা ও জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে। এক রশিতে ঝুলানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও অপর যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্যদের। বড় ঘাতকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিচার শেষ হওয়ায় কয়েক বছর ধরে তাই এই দিনটি স্মরণ করা হয় কিছুটা ভিন্নভাবে। সবার চোখে-মুখে কিছুটা হলেও কলঙ্কমোচনের স্বস্তি। তবে ঘাতকদের বিচার এখনও শেষ হয়নি। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখনও বিচার চলছে অন্য ঘাতকদের। সে কারণে এবারের বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বস্তরের মানুষ নতুন করে শপথ নেবেন। কলঙ্কমোচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ঘাতকদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাকিদেরও বিচারের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিতে সজাগ থাকার শপথ নেবেন।
আজ ১৬ই ডিসেম্বর স্বজন হারানোর ব্যাথা আর অশ্রু আনন্দে স্বাধীনতা লাভের মহেন্দ্রক্ষন, ৪৭তম মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের এই ৪৬ বছর অনেক চরাই-উতরাই পেরিয়েছে জাতি। কখনো সামনে এগিয়েছে, আবার পিছিয়ে গেছে নানা রাজনৈতিক টানাপোড়নে। তবুও হতোদ্যম হয়নি জাতি। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে শুধু বাংলাদেশি বা বাঙালিরা নয়, বরং আজ বিশ্ববাসী চেয়ে দেখছে ‘বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ কী করে সামনে এগুচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশের অর্জন গর্ব করার মত। তবে শুধু গর্ব অনুভব করলেই হবে না, এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের অনুধাবন করতে হবে যে, কত বেশি মূল্যের বিনিময়ে এ বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যে কোনো মূল্যের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নয়, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তবে রাজনৈতিক হানাহানি এবং দুর্নীতি বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনাকে যেন আষ্ট্রেপৃষ্ঠে বেধে ফেলছে। গণতন্ত্রকে আকড়ে ধরে সুশাসনের পথে অবিচল থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় আরো মহীয়ান হতে পারে। বিজয়ের এই দিন বাঙালী জাতির স্বপ্নের বাস্তবায়নের দিন। আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ আরও প্রাগ্রসর হবে। গণমুখী হবে। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে শ্রেণীবৈষম্য থাকবে না। বৈষম্য এখন যা আছে, তা ক্রমাগত কমবে। নারীর ক্ষমতায়ন হবে। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। শিক্ষার বিস্তার ঘটবে ও মান উন্নত হবে। এক কথায় সামাজিক উন্নয়নের সব সূচকের ক্রমাগত অগ্রগতি চাই। আমরা চাই, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিন দিন আরও উন্নত হোক। গণতান্ত্রিক চেতনার সম্পূর্ণ বিকাশ হোক। সাধারণ মানুষ যেভাবে চায়, রাজনৈতিক দলগুলো সে রকম নেতৃত্ব দেবে। আজ ৪৭তম বিজয় দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরন করছি তাদের, যাদের আত্মত্যাগে পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। এই বিজয় দিবসের প্রত্যয় হোক সুখী, সমৃদ্ধ,স্বর্নিভর বাংলাদেশ গড়ার । সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩