বাংলাদেশের প্রথম সারির সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফয়েজ আহমেদ। তার ছদ্ম নাম ছিলো করিম শাহানী। আজীবন তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে সোচ্চার ছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমাজতন্ত্রের আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল। ছয় দশকের বেশীকাল ধরে আমাদের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ফয়েজ আহমেদ। সাংবাদিকতার জগতে ফয়েজ আহমদ একজন ব্যতিক্রম ব্যাক্তিত্ব। নির্লোভ, সরল এবং একই সঙ্গে দৃঢ়চিত্ত এ মানুষটি অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন তাঁর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, জ্ঞান, মেধা ও কর্তব্যপরায়ণতা দিয়ে। এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন ফয়েজ আহমদ। গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে ১৯৯২ সালের ২৬শে মার্চ যে গণ আদালত গঠিত হয়েছিল তার অন্যতম বিচারক ছিলেন ফয়েজ আহমদ। এর জন্য বিএনপি সরকার ফয়েজ আহমদের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছিল। ছড়া সাহিত্যেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ফয়েজ আহমদের বইগুলোর মধ্যে ‘মধ্যরাতের অশ্বারোহী’ সবচেয়ে বিখ্যাত। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২ মে ঢাকা জেলার বিক্রমপু পরগণার বাসাইলডোগ গ্রামে এক সামন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষার শিশুতোষ সাহিত্যিক ও খ্যাতিমান সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত সাংবাদিকতা জগতের অভিভাবক ও মধ্যরাতের অশ্বারোহী খ্যাত সাহিত্যিক ফয়েজ আহমদের জন্মদিনে ফুলের শুভেচ্ছা।সাহিত্যিক ফয়েজ আহমদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০