ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন কোনও তথাকথিত ঘোষিত দিবস পালন করিনা যা আমার মূল্যবোধ পরিপন্থী। বছরের একটা দিন ঘটা করে “মা দিবস”, “বাবা দিবস” কিংবা “ভালোবাসা দিবস” পালনে আমি যেমন ঘোর বিরোধী ঠিক, তেমনি ৩৬৫ দিনের মধ্যে একটি দিবসকে "নারী দিবস" পালনেও আমার ঘোর আপত্তি।
আমি নারী, আমি এতেই গর্বিত। আমি কখনোই পুরুষ হতে চাইনি। আমি মানুষ হতে চেয়েছি। আমার নারী স্বত্ত্বা থেকে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যকে বিসর্জন দিয়ে আমি পুরুষালী স্বত্ত্বা ধারণ করতে চাইনি। বরং নারী স্বত্ত্বার বিশেষ গুণগুলোকে আরও বিকশিত করে এগিয়ে গেছি।
বুকের ওড়না ছুড়ে ফেলে দিলেই নারী স্বাধীন হয়ে যায় না। শরীরে কাপড়ের মাত্রা কমিয়ে পুরুষের মত কাপড় পড়লেই নারী অধিকার আদায় হয় না। যতদিন রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানটি দেশের মাঝে বিদ্যমান সকল উপযোগকে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে নাগরিক অধিকার হিসেবে উন্মুক্ত করে না দেবে ততদিন এইসব লোক দেখানো দিবস পালন করে নারীর এগিয়ে যাবার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে না।
এ লেখাটা বাংলানিউজে লিখেছেন কলাম লেখক ও ব্লগার জিনিয়া জাহিদ। পুরো লেখাটা আপনার সাইটটিতে গিয়ে পড়তে পারেন। আমার কাছে বাণিজ্যিক এ নারী দিবসকে নিয়ে ওনার লেখাটা ভাল লেগেছে। আমিও মনে করি নারীর প্রতি ভালবাসা একদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রতিদিনের। এই নারী আমার মা, বোন, বউ, ভাগ্নি, প্রিয়তমা।