অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শেখ হাসিনা সরকার মনে হয় এবার সবচেয়ে বেশি বিব্রত বোধে আছে। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা,জিডিপি এগুলি নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার কখনো বিব্রত বোধ করে না। কারণ পরিসংখ্যান ব্যুরো, মোস্তফা কামাল, দীপু মনির উপর শেখ হাসিনার ভরসা আছে এরা যেকোনো ভাবে গোজামিল দিয়ে এসব খাতের স্বাস্থ্যবান পরিসংখ্যান বের করে আনবে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারকে ছাত্রলীগ অল্প কয়দিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকবার বিব্রত করে ফেলেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার না বলে বারবার শেখ হাসিনার সরকার বলছি কেন? এটি খুব সহজ হিসাব এবং বলাটাও যুক্তিযুক্ত। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকলে উনার নামটিও এভাবে চলে আসতো। আমাদের সংবিধান, সরকারব্যবস্থা উনাদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা একাধারে আওয়ামী লীগের সভাপতি, মন্ত্রিসভার সভাপতি, আবার সংসদের নেতা। এখন যেকোন মন্ত্রণালয়ের ভালো-মন্দ উভয়ের জন্য শেখ হাসিনার দায় চলে আসবে। আওয়ামী লীগের ভালো-মন্দ সেটার জন্য শেখ হাসিনার দায় চলে আসবে। সংসদের নেতা হিসেবে সংসদ যদি কার্যকর না হয়, সঠিক ভূমিকা না নেয় সে দায়ও তার উপর চলে আসবে।
চাঁদগাজী সাহেব মোস্তফা কামাল, দীপু মনি নাহিদ সাহেবকে লিলিপুটিয়ান, পিগমী বলে থাকেন এখন এসব পিগমী তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনাকে কি বলবেন জানিনা।
তবে শেখ হাসিনা এবং বেগম জিয়ার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, শেখ হাসিনা তার আশেপাশের লোকজনকে লিলিপুটিয়ান বানিয়ে রাখে, আর বেগম জিয়ার আশেপাশের লোক গুলো বেগম জিয়াকে লিলিপুটিয়ান বানিয়ে দেয়।
আমাদের সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা একজন মানুষকে এত ক্ষমতা দেওয়ার কারণে অন্যদেরকে সহজে লিলিপুটিয়ান বানিয়ে দিতে পারে কিংবা নিজেও লিলিপুটিয়ান হয়ে যেতে পারে সহজে।
যাই হোক যারা শেখ হাসিনার এই বিব্রতবোধের সময়ে শেখ হাসিনাকে টেনে চেয়ার থেকে নামিয়ে ফেলতে চাইছে, তারা আসলে ধাক্কা দিয়ে এভারেস্ট সরাতে চাচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের অতটা দুঃসময় এখনো আসেনি। উনি এসব পিগমীদের নিয়ে আরো অনেক দিন আমাদের মাঝে থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭