বিয়ের মেহমানঃ চাকুরী হিসেবে মন্দ না সিঙ্গাপুরে বিয়েতে খুব একটা মানুষ হয় না। কারণ এখানে পারিবারিক বন্ধন অত জোরালো না তাই বিয়ের অনুষ্ঠান হলে ব্যস্ততার কারন দেখিয়ে অনেকেই আসতে চায় না। আর এই সমস্যার সমাধান দেয় ভাড়া করে আনা বর বা কনের সঙ্গী সাথি! ফ্রি ফ্রি খাওয়ার সাথে কিছু টাকাও।
প্রফেশনাল পুশারঃ ট্রেনে-বাসে চলতে গেলে এই কথাটি প্রায়ই কানে আসে ‘ভাই ধাক্কা দেবেন না’। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ধাক্কা দেওয়ার কাজটি কারও কারও পেশা হতে পারে। জাপান ও নিই ইয়র্ক সিটিতে রেলস্টেশনে ভিড়ের সময় প্রফেশনাল পুশাররা ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের ভিতর লোক ঢুকাতে সাহায্য করে। আগে এটি স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম চাকরি ছিল। এখন এটি ফুল টাইম চাকরি হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে।
লাইনে দাঁড়ানোর চাকুরীঃ আমাদের অনেক সময় অনেক প্রয়োজনে লাইনে দাঁড়াতে হয়। খুবই বিরক্তিকর কিন্তু সমাধানের পথও আছে। আপনার হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে একজন বিনিমেয় তাকে আপনাকে ঘন্টা হিসাবে পে করতে হবে
ডিওডোরেন্ট টেষ্টারঃ এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের গন্ধ পরীক্ষা করতে হয়। কোন ফ্লেভারটি আমার, আপনার জন্য ভালো হবে এটা তারাই বাছাই করেন। ডিওডোরেন্টের গন্ধ সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় বগল আর গলায়। তাই এই বিষয়ে পেশাদার পরীক্ষককে মূলত বগলের গন্ধই বেশি শুঁকতে হয়। একবার পরীক্ষককে শুঁকতে হয় বগলের দুর্গন্ধ থাকা অবস্থায়, তারপর তাঁকে শুঁকতে হয় সেন্ট না দিয়ে সাধারণ গন্ধ, একেবারে শেষে সেন্ট লাগানোর পর সুগন্ধে ভরা বগলের গন্ধ। এরপরই পরীক্ষক কোম্পানিকে রিপোর্টে লেখেন সেই বিশেষ সেন্ট বা ডিওডোরেন্টের পারফরম্যান্স, ভাল দিক- খারাপ দিক, বাজারে কতটা চলবে, সেই সব বিষয়ে।
বমি পরিস্কারকঃ বিভিন্ন পার্কে অনেক রাইড আছে যেখানে চড়তে অস্বস্তিকর হলেও অনেকে রোমাঞ্চের জন্য রাইড করে বসেন। আবার বমিও করে দেন নিশ্চিন্তে আর এই বমি পরিস্কার করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় কাউকে যে বমি সরিয়ে পরিস্কার রাখবে।
ভাড়ায় কান্নাঃ রুদালি সিনেমা দেখে থাকলে আপনি এই চাকরি সম্পর্কে জানবেন৷ কিছু মানুষকে ভাড়া পাওয়া যায় কোনও মানুষের মৃত্যুতে কাঁদার জন্য৷ যাদের কাজই হল মানুষের মৃত্যুতে গিয়ে কেঁদে আসা এবং পরিবর্তে অর্থ সংগ্রহ৷
ভাড়াটে স্বামীঃ স্বামী হিসেবে পরিচয় দিবে তাতেই মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার রোজগার। আশ্চর্য শুনালেও অবাস্তব না। মূলত অনৈতিক কিছু কাজে অনেক মহিলা ভাড়ায় এমন স্বামী রাখেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে। তবে আমি কিছু মহিলাকে দেখেছি স্বামী হিসাবে পরিচয় দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ নিতে বিনিময় ঋণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে কথিত স্বামীকে টাকা দিতে হয়।
ছবিঃগুগুল।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭