না গুগল আজ কোন ডুডল করে নি। ছবিটা আগের, কোন এক একুশের। তবে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে(২০০০সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে)। বাংলা বর্তমানে চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা(প্রায় ২৮কোটি লোক বাংলায় কথা বলে)। মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পারাটা কি কম গর্বের?
প্রশ্ন উঠতেই পারে, শহীদ দিবস ৮ই ফাল্গুন না হয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন? এ নিয়ে সামুতে আগে কম তর্ক হয় নি।(দিবসটি আন্তর্জাতিক হওয়ায় আমি ২১তারিখকেই সমর্থন করি)। সে যাই হোক, ইতিহাসের পাতায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহর নাম লেখা রবে স্বর্ণাক্ষরে।
ছোট বেলা ভাবতাম, রাষ্ট্রভাষা উর্দু মানে দেশের সবাইকে উর্দুতে কথা বলতে হবে। মানে সবখানে বাংলার জায়গায় উর্দু("কন হে বে তু?/আপ হে কন" জাতীয়)। বড় হয়ে ভুল ভেঙেছে, উর্দুকে জাস্ট প্রশাসনিক/দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা হত(আমি অবস্য ইংরেজীর পক্ষে ভোট দিতাম)।
এবার আসি একুশের চেতনায়। একুশ মানে মাথানত না করা, ক্ষমতাবানদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, নিজেদের আলাদা স্বত্তাকে চিনতে পারা। ভারত থেকে ভাগ হবার পাঁচ বছর পর নেতারা বুঝতে শুরু করলো, আমাদের মিলের(ধর্ম) চেয়ে অমিল(ভাষা, জাতী, সংস্কৃতি...) বেশী। নেতারা ভুল করলে জাতীকে অনেকদিন ভুগতে হয়। হলও তাই: ৪৭-৭১পরাধীন হয়ে থাকলাম, লক্ষপ্রাণ ঝরে গেল(কাশ্মীরীরা তো এখনো ভূগছে)।
চলো স্বপ্ন দেখি, বিজয়ের শপথ রাখিঃ
৭১সালের তলা বিহীন ঝুড়িটা আজ অনেক সমৃদ্ধ। সে এখন বিশ্বে ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। তাঁর ১৬-১৭কোটি সন্তান(৮ম), ৩৩বিলিয়ন রিজার্ভ(দক্ষিন এশিয়ায় ২য়), ২৫.৩৭লক্ষ কোটি টাকার জিডিপি, প্রবৃদ্ধি ৭.৮%(ভালো অবস্থা)।
তারপরও হতাশ হই, দেশে এখনও ২১.৮%লোক দারিদ্র(১১.৩%অতি দারিদ্র), লক্ষ লক্ষ বেকার, দুর্নীতিতে আমরা ১৩তম, গণতন্ত্রে ৮৮তম(১৬৫দেশের মধ্যে)। এর দুটো দিক আছে, পজিটিভ দিকটা হল: ম্যান পাওয়ারকে যদি আমরা ঠিকমত কাজে লাগাতে পারি, দুর্নীতি দুর করতে পারি, সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতে পারি, দেশ কিন্তু অনেক দুর আগাবে। কিন্তু সমস্যা একটাই, আমাদের দেশের মহাসড়গুলোতে(উন্নয়নের মহাসড়কটাও ধরুন) কিন্তু দুর্ঘটনা প্রচুর হয়, দু বছর পর পর রিপেয়ার করতে হয়...
⚠⚠⚠মন্তব্য সেটিংসঃ পোস্টে মন্তব্য সুবিধা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫০