একজনের মনোরাজ্যের মন্ত্রী সভা বসেছে।
প্রধান অতীতি সুখ বরাবরের মতই অনুপস্থিত।
সভাপতি বিবেক সাহেব সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সভা শুরু করলেন ।
আজ অনেক কিছুই সিদ্ধান্ত হবে। এই রাজ্যের সকল মন্ত্রী কি প্রধানমন্ত্রীর কথা মত কাজ করবে কি না- এটা চুড়ান্ত করাই এই সভার লক্ষ্য।
উপস্থাপক মন উপস্থাপনার শুরুতেই ভাবনা মহাশয় কে কিছু বলার অনুরোধ করলেন ।
ভাবনা মহাশয় শুরু করলেন, “আমি এই রাজ্যের সব চেয়ে ভাইটাল । আমার মত করে চললে কোন সমস্যাই থাকত না। দেখুন দুঃখ মহাশয়ের কাছে জিজ্ঞাস করে আমার মত চললে উনি সন্তুষ্ট কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু বলে মনোরাজ্যের বিশ্রিঙ্কলার জন্য বিবেক মহাশয় কে দুষারোপ করে ত্রিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বিরক্তির সহিত তার বক্তব্য শেষ করলেন ।”
অতঃপর মন আবেগ নামক অন্য আরেক মন্ত্রী কে তার বক্তব্য পেশ করতে বললেন।
উনি এসেই সোজাসাপ্টা বলে গেলেন যে উনার নাকি এই রাজ্যে কোন মুল্যায়ন ই করা হয়না। যার জন্য প্রধান্মত্রীর কষ্টের কোন শেষ নেই, হবেওনা।
স্বপ্ন মহাশয় তখন ঘুমাচ্ছিলেন, উনার ডাক পড়ল ।
ঘুমু ঘুমু কন্ঠে উনি শুরু করলেন, “রাজ্যে শান্তি এবং স্থিরতা কায়েম করতে হলে উনাকে প্রাধান্ন দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। উনার অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী কোন এক অজ্ঞাত কারনে তার তোলা সকল বিল রিজেক্ট করে দেন।
সিরিয়ালি এবার দুঃখ মহাশয়ের পালা। এদিকে বিবেক বাবুর কেমন জানি অশস্থি লাগছে।
যাহোক , দুঃখ মহাশয় শুরু করলেন, “এই রাজ্যে আমার অবদান অস্বীকার করার দুঃসাহস কারোরই নাই। আমি এই রাজ্যের শুরু থেকে আজ অব্ধি এক সেকন্ডের জন্যই রাজ্য ছেড়ে কোথাও যাইনি। আর প্রধান্মন্ত্রী আমাকে একটুও ভালবাসেনা। এই নিয়ে আমি ক্ষুদ্ধ , আমি লজ্জিত আমি বিরক্ত। ”
উল্লেখ্য যে এই দুঃখ মহাশয় মনোরাজ্যের অপ্রথ্যাশিত অথিতি। তবে তিনি যা বলেছেন সব সত্যই বলেছেন ।
এরপর একে একে আরও অনেকেই বক্তব্য দিলেন তার মধ্যে উল্লেখ করার মত ক্রোধ, হিংসা আর স্মৃতি রানীর বক্তব্য।
উনি বললেন, প্রধান্মন্ত্রীর অভিযোগ আমি নাকি শুধু এই রাজ্যকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাই। আরে বাবা নিজের রাজ্যকে সামনে নেওয়ার মত মিনিমাম যোগ্যতাইত উনার নাই। আমি মনে করি প্রধান্মন্ত্রীর উচিৎ পদত্যাগ করা(মারা যাওয়া)। আমি কি এমনিতেই অতীত নিয়ে বসে থাকি আরে এই রাজ্যের যে কোন বর্তমান অর ভবিষ্যত নাই সেটা আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ।
আর চিন্তা মহাশয় সভায় এসেও শুধু চিন্তাই করে গেলেন। উনি নাকি পরে কথা বলবেন।
ক্রোধ আর হিংসার ভাষণ এখানে তোলে ধরা যাবেনা বলে আমরা দুঃখিত।
পরিশেষে, প্রধান অতীতির সমাপনী ভাষণ,
উনি এসে শুধু এতটুকুই বললেন, আমাকে ক্ষমা করবেন সবাই। আসলে প্রধান্মন্ত্রী আপনাদের সকলের কথামতই চলতে চায় শুধু আমার জন্য পারেনা। যার জন্য আমি এত কিছু করি সেই সুখ যখন আজকের সভাতেও অনুপস্থিত সেহেতু আমার আর কিছু বলার নাই। আমি আর কোন কাজে আপনাদের বাধা দিবনা।
ভাল থাকবেন সবাই।
প্রধানমন্ত্রী ভিতরের রুম থেকে সব শুনছিলেন । বিবেকের এই কথা শুনে তার উপদেষ্টাদের বললেন, বিবেক পারেও। রাজ্যের শুরু হতে কতবার অপমানিত হয়ে এই কথা বলেছে আপনাদের মনে পরে। সময় মত কিন্তু উনি টিকই উঠে দাড়ায় আর বিঘ্ন ঘটায় সবার কাজে । আর আমিওত কেন জানিনা একে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দিতে পারিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯