-এই শোন শোন, ফোনটা রেখো না প্লিজ! (মেয়ে)
-তো কি করব? (ছেলে)
-রাগ করোনা প্লিজ আমার কথাটা শোন।
-জী বলেন কি বলবেন?
-এভাবে বলো না প্লিজ।
-কি ভাবে বললাম?
-এই যে আপনি করে বলছো।
-আচ্ছা ঠিক আছে। কি বলবি বল?
-ওই দেখো ভাল হচ্ছে না কিন্তু!
-ওক্কে! ম্যাডাম তোমার যা বলার আছে বলো?
-না বলব না। কিচ্ছু বলার নাই।
-কি ঝামেলা! আপনি করে বললাম, তুই করে বললাম,
তুমি করেও বললাম! কোনটাই পছন্দ হলো না?
-জানি না আমি।
-ওক্কে ওক্কে! এই গুলো বাদে যেটা আছে সেটা বলি।
যা বলার জন্যে আমাকে কল কাটতে বারন করা হলো সে কথাটা
বলার জন্য তাকে বিনিতভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সে কি কথাটা
অনুগ্রহ পূর্বক আমাকে শোনাবে? এখন আপনি, তুই, তুমি কিচ্ছু বলি নাই।
-ওই দেখো একদম ভাল হচ্ছে না কিন্তু??
নিজে রাগ করে ফোন রাখতে চাইলে বলে আমি একটু রাগ ভাঙ্গাতে চেষ্টা করলাম
আর এখন আমাকেই পচানো হচ্ছে। যাও কথা নাই তোমার সাথে।
-তাহলে কার সাথে কথা আছে ম্যাডাম?
-ওই আবার?? আমি কিন্তু কান্না করব এখন!
-না না একদম না, প্লিজ ওটা করো না। এত সুন্দর করে লাগানো কাজল গলে পরে যাবে তো।
-ওহ কাজলের জন্যে দরদ হচ্ছে আর আমি কিছুই না তাই না!!
-কাজল তো বাহানা মাত্র। আমার পৃথিবী, আমার বেঁচে থাকার সঙ্গী,
যাকে নিয়ে আমি সহস্র বছর বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। এ সবই তো শুধু তুমি। কাজল তো না।
-হইসে এখন সাহিত্যিক হতে হবে না।
ফাজিল একটা।
ভালবাসি এত্তগুলো ভালবাসি ফাজিলটা কে।
-আপনি, তুই, তুমিকেও এত্তগুলো ভালবাসে ফাজিল টা।
কিছু কিছু অভিমান কিছু দুষ্টুমি কখনো ভালবাসায় যন্ত্রণার কারন হতে পারে না, বরং ভালবাসার গভীরতা সৃষ্টি করে।