শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি_
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।।
আলোচ্য অংশটুকু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কাব্যের 'সোনার তরী' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রসজ্ঞ টা এমন যে, মানুষের সৃজনী সত্তার ব্যর্থবোধকে এখানে রুপকের মাধ্যমে তুলে ধরা হল। শ্রাবণের আকাশে মেঘ গর্জন করছিল। ক্ষুরধারা বর্ষার নদীস্রোত হিংস্র হয়ে খেলা করছে দ্বীপ-সদৃশ ধান ক্ষেতের চারপাশে। ঠিক সে সময় সেখানে রাশি রাশি সোনার ধান কেটে নানা আশঙ্খা নিয়ে একলা অপেক্ষমাণ এক কৃষক বা কৃষাণি। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে ভরাপালে তরী বেয়ে আসে এক মাঝি। নিঃসঙ্গ কৃষক আশার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠে। তার মনে হয় মাঝিটি যেন তার চেনা। কিন্তু নির্বিকার ভাবে অজানা দেশের দিকে চলে যেতে থাকে সেই মাঝি।নিঃসঙ্গ কৃষক কাতর অনুনয় করে, মাঝি যেন কূলে তরী ভিড়িয়ে তার সোনার ধানটুকু নিয়ে যায়। সোনার তরীতে মাঝি কৃষকের ফসল নিয়ে চলে যায়। কৃষক তাকেও সাথে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু ছোট সোনার তরীতে কৃষকের স্থান হয় না। সোনার ধান নিয়ে তরী চলে যায় অজানা দেশে। আর শূন্য নদী তীরে অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে দাড়িয়ে থাকে কৃষক একলা।
বস্তুত, কবি এই দার্শনিক সত্যকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন যে, মহাকালের তরণীতে সোনার ফসল রুপী মহৎ সৃষ্টিকর্মের কেবল ঠাই হয়। ব্যাক্তি মানুষকে অনিবার্যভাবে বরণ করে নিতে হয় অপরিহার্য বিলয়কে। মানুষের সঞ্চিত ধন মহাকাল গ্রহণ করে, কেবল গ্রহণ করেনা মানুষকে। মানুষের জীবনের এই ট্রাজেডি বড়ই বেদনাদায়ক।
অবিশ্বাসীরা সাড়া জীবনভর অবিশ্বাসই করে গেছেন বিশ্বাসীদের, এ নতুন কিছু নয়। আমিতো শুধু সত্যটাই জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু মানুষের ব্যাবহার অন্ত্যত বেদনাদায়ক। এখানকার কেউকে না আমি চিনি আর না আসল কৃষক বা কৃষাণিকে কেউ চিনে। আমি অনুরোধ করবো আপনাদের,আমি উনার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অনুরোধ করছি, দয়াকরে আসল জনম দাসীকে গাল মন্দ করবেন না। আমি আবারো বলছি তিনি জনম দাসী নামে এখানে লেখেন নি। ইচ্ছে করলে সব কিছু জানার পরেও তার আইপি নাম্বার চেঞ্জ করে নিতে পারতো, কিন্তু আমরা দেখতে চাই ওই নাম দিয়ে যে ব্লগিং করে গেছে তার দৌড় কতদূরে গিয়ে ক্ষান্ত হয়। অপরাধ করলে করেছে সোনার তরীর ওই মাঝির মত কোন একজন। আসল কৃষাণী নয়। গালি পাওয়ার উপযুক্ত যদি কেউ থাকে তা হলে সেটা পাবার উপযুক্ত একমাত্র অপরাধী। নিরপরাধ নন। যেখান কার সমস্যা সেখানেই সমাধান করা শ্রেষ্ঠ।
উনাকে নিয়ে যা কিছু হয়েছে, কাল যে আপনাকে নিয়ে হবেনা তার নিশ্চয়তা কি? এখানকার প্রাসাশন মনে হয়না ওতটা সৎ, বাঘের চোখের মত যার টাকা আছে সে সবই কিনতে পারে। পার্থক্য এতটুকু ওই ক্ষমতাধর অনেক ক্ষমতা বান হলেও সে নিজ বিবেক ছাড়াও আরও কিছু মানুষের কাছে চোর বা প্রতারক হিসেবেই থেকে যাবে আজীবন। এখানে যে কবিতা দেয়া হয়েছিল তা উনারই লেখা। আশা করি আপনারা বোঝার চেষ্টা করবেন এবং ভালো থাকবেন। আর যারা বিরুপ মনোভাবের তারা এই পোস্ট থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন।
ধন্যবাদ।
.......................................
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩