somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইনসাইড স্টোরি অফ রোমান হলিডে

১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু কিছু মুভি আছে, যেসব মুভির ইফেক্ট সারা জীবন মানুষের মধ্যে থেকে যেতে পারে। কিছু মুভি আছে, যেসব মুভি থেকে পাওয়া মেসেজ মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে। অন্যদিকে, এমন কিছু মুভিও আছে, যেসব মুভি মানুষের মনকে খুব ভালো লাগার অনুভূতিতে ভাসিয়ে দিতে পারে। আবার, এমনও কিন্তু হয় যে কিছু ট্রেডমার্ক মুভি দেখাটা যেন গর্বের বিষয়, বরং না দেখাটা হয়ে দাড়ায় প্রেস্টিজ ইসু! সেসব মুভিকে আমরা বলি এভারগৃন মুভি, সেসব মুভিকে আমরা বলি গোল্ড মুভি।

তেমন একটি মুভিই হলো রোমান হলিডে, যে মুভিটি সাদাকালো হওয়ার পরেও আজও মানুষের মনে চির রঙিন।

প্রথমেই জানিয়ে দেই মুভির ডিরেক্টরের নাম। উইলিয়াম উইলার। জন্ম ১ জুলাই, ১৯০২, জার্মানীতে; মৃত্যু (হার্ট-এটাকে) ২৭ জুলাই, ১৯৮১, আমেরিকায়। জিতেছেন তিনটি অস্কার সহ ১৮ টি পুরস্কার। রোমান হলিডে তার ৫৯ তম মুভি। ১৯২৫ সালে তার দি ক্রুক বাস্টার মুভির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ডিরেক্টর হওয়ার রেকর্ড গড়েন। ১৯৫৪ সালে রোমান হলিডে মুভির জন্য অস্কারে বেস্ট ডিরেক্টর নমিনেশন পেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি কিন্তু পুরস্কারটি পাননি।

মুভির নায়ক রিপোর্টার জো ব্রাডলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্রেগরি পেক। পুরো নাম এলড্রেড গ্রেগরি পেক। জন্ম ৫ এপৃল ১৯১৬, আমেরিকায়; মৃত্যু (কার্ডিওরেসপিরেটরি এ্যারেস্ট ও ব্রঙ্কনিউমোনিয়ায়) ১২ জুন ২০০৩, আমেরিকাতেই। জিতেছেন অস্কার সহ ৩৩ টি পুরস্কার। ১৯৬২ সালে টু কিল এ মকিংবার্ড-এর জন্য বেস্ট এ্যাক্টর ইন এ লিডিং রোল ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতলেও নমিনেশনই পাননি রোমান হলিডের জন্য। রোমান হলিডে তার ২০ তম মুভি। তার অন্যতম বিখ্যাত মুভির নাম স্পেলবাউন্ড

মুভির নায়িকা প্রিন্সেস এ্যান চরিত্রে রূপদান করেছেন অড্রে হেপবার্ন। পুরো নাম অড্রে ক্যাথলিন রাস্টন। জন্ম ৪ মে, ১৯২৯, বেলজিয়ামে; মৃত্যু (কলন ক্যান্সারে) ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩, সুইজারল্যান্ডে। জিতেছেন অস্কার সহ ২৪ টি পুরস্কার। রোমান হলিডে তার ৯ম ছবি হলেও বড় কোন চরিত্রে এটিই তার প্রথম মুভি। আর তা দিয়ে ১৯৫৪ সালে বেস্ট এ্যাকট্রেস ইন এ লিডিং রোল ক্যাটাগরিতে জিতেছেন অস্কার পুরস্কার। এই মুভির জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তখনকার সময়ে ১২,৫০০ আমেরিকান ডলার।

রোমান হলিডে ছিলো মূলত ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক কাপ্রার প্রজেক্ট। সেটা ১৯৪৯ সালের ঘটনা। তিনি জো ব্রাডলি ও পৃন্সেস এ্যান-এর চরিত্র দুইটি যথাক্রমে ক্যারি গ্রান্ট ও এলিজাবেথ টেলর-কে দিয়ে করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তার লিবারটি ফিল্মস প্রডাকশন কোম্পানি ফিনানশিয়াল প্রবলেমে পড়ে যায় এবং তিনি কোম্পানিটি প্যারামাউন্ট-এর কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। ব্লাকলিস্টেড রাইটার ডাল্টন ট্রুমবোর সাথে প্যারামাউন্টের সম্পৃক্তি ও টাইট বাজেটের কারনে তিনি এই প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। রোমান হলিডের অরিজিনাল স্টোরি এই ডাল্ট ট্রাম্বোরই লেখা। ইটালিতে প্যারামাউন্টের কিছু এ্যাসেট এমনিতেই পড়ে ছিলো। তাই রোমে শুটিংয়ের সময় তারা এই এই এ্যাসেটের এ্যাডভানটেজ পেয়েছিলো। ডিরেক্টর উইলিয়াম উইলার প্রথমে জিন সিমনস-কে দিয়ে প্রিন্সেস অ্যানের পার্ট করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিমনস তখন ছিলেন সময় দিতে পারেননি। কিন্তু শেডিউল জটিলতায় তার আর ইতিহাসের অংশ হওয়া হলো না।

পুরো শুটিং ইটালিতে হওয়া প্রথম আমেরিকান মুভি এই রোমান হলিডে। মুভির বাজেট ১.৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার হলেও, এটি তৈরি করতে লেগে যায় ৫ মিলিয়ন ডলার। মুভির শুটিংয়ের সময় ইটালিতে চলছিলো গ্রীষ্মকাল। তাপমাত্রা ছিলো গড়ে প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

যখন পেক মুভিটির স্কৃপ্ট হাতে পান, তিনি তখন এই কমেডি মুভিটি করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন; কারণ, এর আগে তিনি কোন কমেডি মুভিতে অভিনয় করেননি। কিন্তু এরপর থেকে রোমান্টিক কমেডির স্কৃপ্ট পড়ার সময় তার মনে হতো এতে ক্যারি গ্রান্টের ফিঙ্গারপৃন্ট আছে! যেই ক্যারি গ্রান্টের হওয়ার কথা ছিলো রোমান হলিডের জো ব্রাডলি, তার সাথে কাজ করার সুযোগ কিন্তু অড্রে হেপবার্ন পেয়েছিলেন। তবে সেটা ১৯৬৪ সালে, শ্যারেড মুভিতে। মুভিটিতে কাজ করার সময় তাদের দু'জনের ভেতরে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। পরে গ্রান্ট জানান, তিনি যাদের সাথে কাজ করে আনন্দ পান, এমন অভিনেত্রীদের মধ্যে হেপবার্ন একজন।
মুভির শুটিংয়ের জন্য যখন গ্রেগরি পেক ইটালিতে আসেন, তখন ব্যক্তিগত ভাবে তার মন ছিলো বিষন্ন। কারণ, তার মাত্র কিছুদিন আগে তার প্রথমা স্ত্রী, গ্রেটা-র সাথে তার সেপারেশন ও ডিভোর্স হয়েছে। তখন গুজব ওঠে যে পেক হেপবার্নের প্রেমে পড়েছেন। বলে নেয়া ভালো যে পেক হেপবার্নের জন্য তার সমান সম্মানীই এ্যারেঞ্জ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুভির শুটিংয়ের সময় তার সাথে ভেরোনিক পাসানি নামের এক ফরাসি মেয়ের পরিচয় হয়, যিনি পেশায় ছিলেন একজন রিপোর্টার। পরে তার সাথে পাসানির বিয়ে হয় এবং তারা জীবনের শেষ পর্যন্ত এক সাথেই ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে, রোমান হলিডে ছিলো তার জন্য লাকি মুভি!

মুভির শুরুর সময় যে বয়স্ক জেন্টেলম্যানকে হেপবার্নের সাথে নাচতে দেখা যায়, তিনি ইটালি ভাষায় হেপবার্নকে একটি কথা বলেন। সেই কথাটি ইংরেজি করলে দাড়ায়- আই ওয়ান্ট এ্যাবসোলিউটলি টু ডাই অন দি শিপ!
দি এ্যামবাসি বল সিকোয়েন্সে উপস্থিত সুধীরা সত্যিকারেই ছিলেন ইটালির সব নোবেল পারসনস। তারা তাদের স্যালারির পুরোটাই চ্যারিটিতে ব্যয় করেন।

রোমের মুদ্রার নাম লিরা। পেক ট্যাক্সি ভাড়া হিসেবে ১০০০ লিরা ও হেপবার্নকে সাথে নিয়ে যাবার জন্য টিপস হিসেবে ড্রাইভারকে আরো ১০০০ লিরা দেয়। সেই ২০০০ লিরার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৭ আমেরিকান ডলার।

মুভিতে পেক যে দুই স্কুল-চিলড্রেনের কাছ থেকে ক্যামেরা ধার নিতে চায়, সেই দুই স্কুল-চিলড্রেন আসলে ডিরেক্টর উইলারেরই দুই মেয়ে- জুডি উইলার ও ক্যাথেরিন উইলার।

মুভির এক পর্যায়ে, পেক যখন মাউথ অফ দি স্টোন থেকে হাত তার বের করে আনবেন, তখন পেকের হেপবার্নের সাথে একটু জোক করার প্লান আটলেন। এই অংশটুকু আসল স্কৃপ্টে ছিলো না। তিনি তার হাত কোটের ভেতরে লুকিয়ে ফেললেন ও এমন ভাব করলেন যেন হাত সত্যিই কেটে গেছে। হেপবার্নতো রীতিমত চমকে উঠলেন। ডিরেক্টর কিন্তু তখনো কাট বলেননি, বরং এই টেকটিই তিনি সিলেক্ট করলেন। আর এটিই ছিলো পুরো মুভির একমাএ টেক যা একবারেই সিলেক্ট হয়েছিলো।

মুভির শেষের দিকে পেক-কে গুডবাই জানানোর সময় অনভিজ্ঞ হেপবার্ন কোনমতেই চোখে পানি আনতে পারছিলেন না! ফলে, ডিরেক্টর উইলিয়াম উইলার একই টেক অনেকবার নেবার পরও পারফেক্ট হচ্ছে না বলে হেপবার্ন-কে কমপ্লেন করেন। বেচারী হেপবার্ন তখন ভো করে কেদে দিলেন। সুপ্রিয় পাঠক নিশ্চই বুঝে গেছেন যে তখন টেকটি নেয়া হয় এবং তা হয় পারফেক্ট।

মুভির শেষে উপস্থিত রিপোর্টাররা সবাই ছিলেন সত্যিকারেই রিপোর্টার।

মুভির কাজ শেষ হওয়ার পরে পেক প্রডিউসারদের বলনেন যে হেপবার্ন নি:সন্দেহে এই মুভির জন্য অস্কার পেতে যাচ্ছে, তাই মুভিতে টাইটেলের আগে তার নামটি রাখতে বললেন। প্রডিউসাররা সেটাই করলেন ও হেপবার্নও অস্কার পেলেন! আর রোমান হলিডে মুভিটি ৩ টি অস্কার সহ পেয়েছে মোট ৮ টি পুরস্কার। আইএমডিবির বেস্ট ২৫০ টি মুভির মধ্যে রোমান হলিডে আছে ২২৮ নাম্বারে।

এবার সুপ্রিয় পাঠককে আমরা নিয়ে যাবো মুভির টেকনিকাল কিছু মিসটেকে। এতে করে আপনারা যখন মুভিটি দেখবেন, তখন আপনাদের মনে হবে যেন আপনারা শুটিংয়ের সময় সামনে ছিলেন আর দেখতে পাচ্ছেন মুভির মেকিং। এখান মুভিটির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অসঙ্গতি তুলে ধরা হলো।

প্যালেস থেকে পালানো সময় হেপবার্ন একটি পিজা ডেলিভারি ট্রাকের পেছনে ওঠে। কিন্তু তিনি যে বাক্সের পেছনে লুকান, নামার সময় দেখা যায় যে সেই বাক্সটির লেবেল চেঞ্জ হয়ে গেছে!

হেপবার্নকে নিয়ে ট্যাক্সিতে ওঠার পরে ট্যাক্সির পেছনের বামপাশের দরজার উপরের জানালার কাচের লেভেল ছিলো হেপবার্নের গলার বেশ নিচে। কিন্তু পরের সিনেই সেই লেভেল বেশ উপরে উঠে যায়!

যখন পেক হেপবার্নকে নিয়ে নিজের এ্যাপার্টমেন্টে ওঠায়, তখন টাই খুলে দেবার সময় হেপবার্নের শার্টের বাম দিকের কলার উপরের দিকে বাকা হয়ে উঠে যায়। কিন্তু তার পরের শটেই দেখা যায় শার্টের কলার আবার আগের মতোই ফ্লাট হয়ে শার্টের ওপর পড়ে আছে। তারই একটু পরে দেখা যায় পরপর কয়েকটি শটে হেপবার্নের বাম হাত দিয়ে পাজামা ধরার স্টাইল পাল্টে যায়।

মুভিতে যখন পেক হেপবার্নকে ফলো করছিলেন, তখন রাস্তার লোকজনকে তাদের স্বাভাবিক কাজ করার বদলে মুভির শুটিং দেখাতেই যেন বেশি মনোনিবেশ করেছিলো।

চুল কাটতে সেলুনে ঢোকা থেকে শুরু করে টাওয়ারে সামনে বসা পযর্ন্ত হেপবার্নের হাতের কাফ বেশ কয়েক বার জায়গা বদল করে শেষ পর্যন্ত হাতের অনেক উপরে উঠে স্থির হয়! একই সাথে সুপ্রিয় পাঠক দেখতে পাবেন যে টাওয়ারের সামনে বসার পর এক মুহূর্তেই হেপবার্নের শার্টের টাই ভ্যানিশ হয়ে যায়! আবার একটু পরে পেক সেখানে বসার আগ মুহূর্তে জেলাটো ভরা ছিলো, কিন্তু বসার পরের মুহূর্তেই জেলাটো উপরের অংশ খালি হয়ে যায়!

হেয়ার কাট শেষ করার পর যখন, হেপবার্ন দি পিয়াজ্জা-তে প্রবেশ করে, তখন পেছনের টাওয়ারের ঘড়িতে বাজে দুপুর ১২ টা ৩৫, কিন্তু তার পরের সিনেই যখন পেক তাকে ফলো করে, তখন ঘড়িতে বাজে ১২ টা ৩২! আবার যখন টাওয়ারের সামনে হেপবার্ন বসেন, তখন ঘড়িতে বাজে ২ টা ৪০, যদিও পিয়াজ্জায় ঢোকা, জেলাটো (এক ধরনের কোন-আইসকৃম) কেনা ও সেখানে বসতে বড়জোড় কয়েক মিনিট লাগার কথা। তাদের কথোপকথন শুরু হয় ২ টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু পরের ক্লোজআপ শটেই যখন পেক বসেন, তখন ঘড়িতে বাজে ৪ টা ৫৫ থেকে ৪ টা ৫৮ মতো! আবার, যখন পেক দাড়িয়ে গিয়ে হেপবার্নকে বলে- টুডে’স গনা বি এ হোলিডে, তখন ঘড়িতে বাজে ৩ টা ৫০ মিনিট।

আবার, পেক যখন আরভিংয়ের গায়ে ড্রিংক ঢেলে দেয়, তখন স্পষ্টই দেখা যায় যে তার জামা ভিজে গেছে। কিন্তু পরে যাওয়া থেকে উঠে চেয়ারে বসার পরই সেই ভেজা দাগ মুহূর্তেই উধাও!

পেকের এ্যাপার্টমেন্টে যখন মিস্টার হ্যানেসির সাথে তার কথা শেষ হয়, তখন পেক তার হাতের এনভেলপটি দুই হাত দিয়ে ধরে রাখে, কিন্তু পরের শটেই দেখা যায় এনভেলাপটি তার ডান হাতে, আর ডান হাত মাজায় ভর করে রাখা!

মুভির শেষের দিকে ব্রাডলির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে প্যালেসে ফেরার পর প্রথম সিনেই মিডিয়াম ও ক্লোজআপ শটে হেপবার্নের হেয়ার স্টাইল পাল্টে যায়।

আসলে মুভিতে এমন হয়ই, কারণ এভাবে টাইম ও সিকোয়েন্স মেইন্টেন করে তো আর শুটিং করা সম্ভব নয়; তবুও দেখতে তো একটু দৃষ্টিকটু লাগেই। এ বিষয়গুলি আপনাদেরকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখতে হবে।
অডিও-ভিজুয়াল সেকশনেও অসঙ্গতি ছিলো। যেমন, যখন পেক ও হেপবার্ন মটরসাইকেলে থাকে তখন হেপবার্নের বলা ডায়লগ- নো নো নো, লেট গো। আই ক্যান ডু ইট, হেপবার্নের লিপসিংয়ের সাথে ঠিক মেলে না! একইভাবে, যখন পেক বিছানা থেকে হেপবার্নকে কাউচে ট্রান্সফার করে, তখন হেপবার্ন বিড়বিড় করে বলে- সো হ্যাপি, যদিও তার ঠোট নড়তে দেখা যায় না!

অনেকের মনেই প্রশ্ন যে মুভিটি সাদাকালো কেন? বিশাল অংকের খরচ তো একটা ফ্যাক্টর ছিলোই, তাছাড়া ডিরেক্টর ভেবেছিলেন যে মুভিটি রঙিন করলে রোমের রোমান্টিক পরিবেশ, নায়ক-নায়িকার কালারফুল অ্যাপিয়ারেন্সে কিছুটা ম্লান হয়ে যেতে পারে। অবশ্য আমার মতে, ব্লাক এ্যান্ড হোয়াইট ইজ মোর কালারফুল দ্যান কালার!

রোমান হলিডেকে চমৎকার একটি টুরিস্ট মুভিও বলা হয়। কারণ, পেক এতে হেপবার্নকে বলতে গেলে পুরো রোমের সব দর্শনীয় স্থান একদিনেই ঘুরে দেখায়। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন ফন্টানা দি ত্রেভি, পিয়াজ্জা দি স্পাগনা, বোক্কা ডেলা ভারিটা, ক্যাসেল সান এ্যাঞ্জেলো ও পোলাজো কলোনা সহ অনেক কিছু। তাহলে, সুপ্রিয় পাঠক আর দেরি কেন, ব্যস্ত জীবন থেকে দুই ঘন্টা সময় ধার নিন। আর গ্রেগরি পেক ও অড্রে হেপবার্নের সাথে টুরিস্ট হয়ে ঘুড়ে আসুন রোম। ও বুঝেছি বুঝেছি, সাথে মুভির মতই সঙ্গী নিতে চান? অসুবিধা কি, তখন নাহয় একজন টুরিস্ট আর অন্যজন গাইড হয়ে যাবেন! কি, আপত্তি নেই তো?!

[পুনশ্চ: লেখাটি এডিটেড ফর্মে ৯ মার্চ ২০০৭ তারিখে দৈনিক যায়যায়দিন এর ফ্যামিলি অ্যান্ড স্টাইল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।]
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৬
২৫টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×