অবশ্য এতে আপনার আমার কিছু করার ও নাই । কারন সবাইতো চায় ছুটি টা উপভোগ করতে। আর সরকারী ছুটিগুলোতো সেই একই সময়ে সবার জন্যই। ফলে যেখানে আপনি যাচ্ছেন নিরিবিলি একটু সময় কাটাবেন, অথবা পরিবারকে সময় দিবেন সেই একই সময়ে একই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আরো অনেকেই। হয়তো তাইই ঈদের ছুটি গুলোতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে উপচেপড়া ভীড়। তখন তা আর বিনোদন থাকে না ভীড়ের চাপে কখন বাড়ী ফিরবো ঐটাই মাথায় কাজ করে। অনেকটা ভিক্ষার দরকার নাই কুত্তা সামলার মত অবস্থা।
যাই হোক নগর জীবনের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে একটু নিরিবিলি পরিবেশে ঈদের দিন বা তার পরে বেড়িয়ে আসতে পারেন ঢাকার কছেই "রাজেন্দ্র ইক্যো রিজরট"-এ। অসম্ভব সুন্দর ইক্যো রিজরটটি শহরের কোলাহলকে দূরে ঠেলে দিয়ে আপনাকে দিতে পারে সত্যিকারের এক প্রশান্তি। এটা আমার বিশ্বাস।
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে মাত্র ১৩ কি:মি: সামনে ভবানীপুর বাজার। সেখান থেকে মাত্র ৩ কি:মি: পূর্ব দিকে ভাওয়াল জঙ্গলের ভিতরে রিজরটটি আমার জানামতে প্রায় ১৫০ বিঘা জমির উপর তৈরী করা হয়েছে। জঙ্গল বলাতে ভয় পাওয়ার কোনো কারন নাই। বরং এটা ভাবতে পারেন যে জঙ্গলের ভিতরে প্রাকৃতিক পরিবেশকে কোনোরুপ ডিষ্টার্ব না করে রিজরটটি তৈরী হওয়ায় আপনাকে কতটুকু প্রকৃতির ছোয়া দিতে সক্ষম। নিরাপত্তার দিক থেকে ১০০ তে ১০০ রিজরটটি খুব কাছেই বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক এবং ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অবস্থিত।
ওরে বাবা অনেক খানিই তো লিখে ফেললাম। আর পারবো না, কিছু ছবি দিয়ে দিচ্ছি। আশাকরি ভালো লাগবে। সাথে তাদের ফেইসবুকের লিংকও। যাদের পছন্দ হবে তারা সরাসরি (০১৭১৭৫৩২২২২) ফোনে বুকিং দিয়ে দিয়েন কারণ তাদের রুম সংখ্যা কম, মাত্র ৩৬ টি। ফেইসবুক লিংক: রাজেন্দ্র ইক্যো রিজরট্
ও আরকেটি কথা, শুনেছি এখন তাদের প্যাকেজ অফার চলছে তাই কম খরচে রিজরটটি ঘুরে আসার অপূর্ব সুযোগ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩